Birbhum Clash: অবৈধ কয়লা মজুত ঘিরে রণক্ষেত্র বীরভূম, গুলিবিদ্ধ একাধিক গ্রামবাসী, আক্রান্ত পুলিশও
Birbhum Clash: অবৈধভাবে কয়লা মজুত করার খবর ছিল পুলিশের কাছে। সেই কয়লা বাজেয়াপ্ত করতে গেলেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
বীরভূম: অবৈধভাবে কয়লা মজুত করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত বীরভূম। পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীদের খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে। চলে গুলিও। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ৪-৫ জন গ্রামবাসী। আহত হয়েছে পুলিশ আধিকারিকেরাও। শুক্রবার দুপুরে বীরভূমের খয়রাশোলের নোপাড়া গ্রামে জনতা- পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ড লাগোয়া লোকপুর থানা এলাকার এই নোপাড়া গ্রামে দীর্ঘদিন ধরেই অবৈধ কয়লা মজুত করার অভিযোগ সামনে আসছিল। ঝাড়খণ্ড থেকে এনে এই কয়লাগুলি মজুত করা হচ্ছিল বলে খবর। শুক্রবার পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে সেই কয়লা বাজেয়াপ্ত করার জন্য অভিযান চালানো হয়। এরপরই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বেঁধে যায় গ্রামবাসীদের। বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে এই খণ্ডযুদ্ধ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় প্রায় পাঁচ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। এলাকায় রয়েছে ব্যাপক উত্তেজনা।
ঠিক কী অভিযোগ?
কয়লা চোরাকারবারিদের আনাগোনা বাড়ছিল ওই নোপাড়া গ্রামে। পুলিশের কাছে খবর আসে, অনেক দিন ধরেই ওই গ্রামের বেশ কয়েকজন চোরাকারবারি ঝাড়খণ্ড থেকে কয়লা নিয়ে আসছেন, সেই কয়লা মজুত করে রাখা হত এই গ্রামে। তারপর সেই কয়লা বীরভূম থেকে রাজ্যের একাধিক জায়গায় পাচার করা হয়। সেই অভিযোগের কথা শুনেই এ দিন আচমকা ওই গ্রামে হানা দেয় পুলিশ। বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়।
এ দিন কী ঘটেছে ?
শুক্রবার দুপুরে পুলিশ বাহিনী ওই গ্রামে গিয়ে একটি গাড়িতে তল্লাশি চালায়। অবৈধভাবে কয়লা মজুত করার অভিযোগে বেশ কয়েকজন গ্রামবাসীকে আটকও করা হয়। পুলিশের দাবি, এরপরই আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন গ্রামাবসীরা। পুলিশ কয়লা সরানোর কাজ শুরু করতে যেতেই ছুটে আসে গ্রামের লোকজন। এরপরই শুরু হয় গোলাগুলি।
গ্রামবাসীদের দাবি, পুলিশ এ দিন তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ৪-৫ জন গ্রামাবসীর গুলি লেগেছে বলে খবর। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ দিকে, পুলিশের দাবি, গ্রামবাসীদের আক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন একাধিক পুলিশকর্মী। দুজন ওসি আক্রান্ত হয়েছেন। কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা গ্রাম। পরিস্থিতি সামাল দিতে আরও পুলিশ বাহিনী পাঠানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই ঝাড়খণ্ড থেকে আসা কয়লা বোঝাই ৩০ টি লরি আটক করে পুলিশ। ওই সব লরিতে বেআইনি খনি থেকে তোলা কয়লা ছিল বলে জানা গিয়েছে। ওই ঘটনায় ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানায় কুলটি থানা ও সালানপুর থানায় কয়লা বোঝাই লরিগুলি আটক করা হয়। ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের ডুবুরডিহি চেকপোস্টে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশের অভিযানে ঝাড়খণ্ড থেকে আসা লরিগুলিকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন : CBI Summoned: অনুব্রত মণ্ডলকে তলব সিবিআইয়ের, ‘অসুস্থ’ বলে এড়ালেন হাজিরা
আরও পড়ুন : Body recovered from New Town: নিউটাউনের আশ্রম থেকে উদ্ধার রাঁধুনির দেহ, মহারাজের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ