Birbhum Kenduli Mela: সিদ্ধান্ত বদল, গঙ্গাসাগরের পর অনুমতি পেল কেন্দুলী মেলাও
Birbhum: করোনা বিধি মেনে হবে পূণ্যস্নানও।
বীরভূম: লাগাম ছাড়া সংক্রমণ বৃদ্ধি রাজ্যে। সেই কারণে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেথে বন্ধ করা হয় বীরভূমের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী জয়দেব কেন্দুলি মেলা। তবে সেই সিদ্ধান্ত এবার বদল। মেলা এই বছরও হচ্ছে। তবে সেটা ছোটো করে। এমনটাই জানালেন বোলপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ।
এই পরিস্থিতিতেও হঠাৎ সিদ্ধান্ত বদল কেন?
মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ জানিয়েছেন, যেহেতু জয়দেব মেলা ঐতিহাসিক মেলা, তার সঙ্গে বহু ইতিহাস জড়িয়ে আছে। এই ধর্মীয় আবেগ আমরা বন্ধ করতে পারব না। তাই বাধ্য হচ্ছি। বহু জায়গা থেকে বিভিন্ন বাউলের দল, কীর্তনিয়ার দল এখানে আখড়া করেন। যেহেতু এটি বাউল শিল্পীদের মিলনের আখড়া হিসেবে পরিচিত সেই কারণে এই ঐতিহ্যকে মাথায় রেখে মেলা করা হবে। তবে অন্যান্য বছর যে দোকান পাঠ দিয়ে মেলা করা হয় এই বছর তা হবে না। মেলায় দোকানপাঠ কম থাকবে। পাশাপাশি পূণ্যস্নানও করা হবে।
তবে জয়দেব মেলা যদি হয় সেক্ষেত্রে ভিড় সামাল দিয়ে করোনা পরিস্থিতি কতটা মানা হবে? কী বলছেন ওই এলাকার সাধারণ মানুষ? কতটা চিন্তিত তাঁরা? এক এলাকাবাসী জানান, “বীরভূম জেলায় সংক্রমণ বাড়ছে। তাতে যদি জয়দেব মেলা হয় তাতে করোনা বিধি কতটা মানা হবে তা নিয়ে চিন্তা থাকছেই। জয়দেব মেলায় লক্ষাধিক মানুষ পূণ্যস্নান করেন। তাই আদৌ পরিস্থিতি কী হবে তা নিয়ে যথেষ্ঠ চিন্তায় আমরা। কারণ করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রিত না হলে একলাফে জেলার সংক্রমণ যে বেড়ে যাবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই মেলা না হলে মন খারাপ হত ঠিকই কিন্তু মেলা হওয়ায় আতঙ্ক বাড়ছে।”
মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, “যেভাবে জয়দেব মেলা হয় সেই রকম ভাবেই হবে। করোনা বিধি মেনেই মেলা হবে। মানুষ যাতে সুস্থভাবে স্নান করতে পারেন সেই বিষয় দেখা হবে। যেভাবে প্রতি বছর পুলিশ প্রশাসন মানুষের সাহায্যে কাজ করে এইবারও করবে। পাশাপাশি ইলামবাজার পঞ্চায়েত সমিতি, ও জয়দেব পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা মেলার উপর নজর রাখবে। ”
প্রসঙ্গত, গত ৮ জানুয়ারি শুক্রবার বোলপুরের মহকুমা শাসক জগন্নাথ জানিয়েছিলেন মেলা হবে না কিন্তু পুণ্যস্নানের ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু এবার সেই সিদ্ধান্ত নিয়মের বদল ঘটানো হলো। প্রত্যেক বছর মকর সংক্রান্তির দিন বীরভূমের জয়দেবে অনুষ্ঠিত হয় কেন্দুলি মেলা। যেখানে প্রত্যেক বছর লক্ষাধিক মানুষ ভিড় করেন। কার্যত বাউলা কার্মেলা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে এই মেলাটি। মেলাজুড়ে ভরে যায় কীর্তনিয়া, বাউল শিল্পীদের আখাড়াতে।
আরও পড়ুন: Chandannagar Municipal Election: ফরাসডাঙায় ভোটের আগে ফরাসিদের স্মারক গড় নিয়ে জোর তরজা