Visva Bharati University: করোনার হানা, ফের এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ হল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়!
Shantiniketan: গত বছরের ১ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন শুরু হয় নির্দিষ্ট ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে।
বীরভূম: মাত্র দিন কয়েক আগেই খুলেছিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Visva Bharati University)। শুরু হয়েছিল ক্লাসে বসে পড়াশোনাও। কিন্তু করোনা (Corona) পরিস্থিতিতে আবারও এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল বিশ্ববিদ্যালয়। মঙ্গলবার এক নির্দেশিকায় এমনই জানাল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
করোনা পরিস্থিতির অবনতির জেরে আগামী এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ রাখা হচ্ছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। মঙ্গলবার একটি অনলাইন বৈঠকের পর এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী (Bidyut Chakraborty)।
গত সপ্তাহেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী ও আধিকারিকদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবরে সেন্ট্রাল অফিস অফিস বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ। পরিস্থিতি অবনতিতে এবার এক প্রকার বাধ্য হয়েই বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখা হল। তবে পড়ুয়াদের জন্য অনলাইন মারফত চলবে ক্লাস বলে জানানো হয়েছে এদিনের বিজ্ঞপ্তিতে। পাশাপাশি সমস্ত জরুরি পরিষেবা চালু রাখা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণের কারণে প্রায় দেড় বছর বন্ধ ছিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। অফিসের কাজকর্ম ছাড়া পঠনপাঠন চলত অফলাইনে। গত ১৬ নভেম্বর রাজ্যে যখন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খোলে, সে সময়েও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হয়নি। কর্তৃপক্ষের তরফে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শান্তিনিকেতনের (Shantiniketan) এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে ১ ডিসেম্বর। সেই মতো গত বছরের ১ ডিসেম্বর পঠনপাঠন শুরু হয় নির্দিষ্ট ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে।
যেমন স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের শেষ সেমেস্টার এবং এমফিলের পড়ুয়াদের ক্লাস শুরু করার কথা বলা হয়। যে পড়ুয়ারা করোনা প্রতিষেধকের দু’টি ডোজ়ই নিয়েছেন, তাঁরাই ক্লাস করার সুযোগ পান। দূরত্ববিধি মানা হয় ক্লাসের মধ্যেও। এক বেঞ্চে মাত্র ২ জন করে পড়ুয়াকে বসানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। তাছাড়া মুখে মাস্ক এবং বারবার হাত স্যানিটাইজ় করা বাধ্যতামূলক করা হয়।
কিন্তু তবুও সংক্রমণ থেকে রেহাই নেই। একাধিক কর্মীর মধ্যে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখারই সিদ্ধান্ত নিতে হল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে।
আরও পড়ুন: Howrah Municipality: জল যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে বর্ষার আগেই নিকাশির আমূল সংস্কার! বরাদ্দ ৪ কোটি