TMC on SIR: ‘একটা নাম বাদ গেলে বাংলাজুড়ে রক্ত-গঙ্গা বইয়ে দেব’, SIR নিয়ে হুঁশিয়ারি আরও এক TMC নেতার
SIR in West Bengal: তাঁর কথায়, 'আপনাদের একটা কর্তব্য রয়েছে। ভোটার তালিকায় নাম এল কিনা ঠিক করে দেখে নেবেন। কারওর নাম যেন বাদ না যায়। কেউ একান্তই বাদ পড়লে আমাদের জানাবেন। মনে রাখবেন এই দলটা তৃণমূল কংগ্রেস। আজকে বলে গেলাম, যত দিন আমাদের দেহে রক্ত রয়েছে, ততদিন পর্যন্ত আমরা শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে এসআইআর রুখব।

কোচবিহার: রাজ্যের ভোটার তালিকার বিশেষ ও নিবিড় পরিমার্জন যে শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা, তাতে কোনও সন্দেহই নেই। আপাতত এই বিশেষ সমীক্ষা ঘিরে সরগরম বাংলার রাজনৈতিক আবহ। একদিকে সুর চড়াচ্ছে শাসক শিবির। অন্যদিকে, SIR নিয়ে কেন এত ভয় প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। বুক ভরা আত্মবিশ্বাস নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী তো বলেই দিয়েছেন, বাংলায় SIR হলে ১ কোটি ভুয়ো ভোটারের নাম বাদ যাবে। এই আবহেই বিস্ফোরক একুশের নির্বাচনের আগে ‘অভিমানী’ হয়ে ওঠা তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়কালে নির্বাচনে বিজেপির হাওয়া ‘গায়ে লাগিয়ে’ আবার দলে ফিরেছিলেন তিনি।
কোচবিহারের মেখলীগঞ্জে দলের বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে কমিশনের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তৃণমূল নেতা। বিজেপি ‘রিমোট টিপে কমিশনকে পরিচালনা করছে’ বলে অভিযোগ তুললেন তিনি। পাশাপাশি, এসআইআর-এ কোনও ভাবে একটা বৈধ ভোটারের নাম বাদ গেলে ‘রক্ত-গঙ্গা বইয়ে দেওয়া হবে’ বলেও হুঁশিয়ারি দিলেন রাজীব। তাঁর কথায়, ‘আপনাদের একটা কর্তব্য রয়েছে। ভোটার তালিকায় নাম এল কিনা ঠিক করে দেখে নেবেন। কারওর নাম যেন বাদ না যায়। কেউ একান্তই বাদ পড়লে আমাদের জানাবেন। মনে রাখবেন এই দলটা তৃণমূল কংগ্রেস। আজকে বলে গেলাম, যত দিন আমাদের দেহে রক্ত রয়েছে, ততদিন পর্যন্ত আমরা শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে এসআইআর রুখব। একটা বৈধ ভোটারের নাম বাদ গেলে আগুন জ্বলবে, রক্ত-গঙ্গা বইয়ে দেব বাংলাজুড়ে।’
উল্লেখ্য শুধু রাজীব নন, এসআইআর প্রসঙ্গে এই সুর শোনা গিয়েছে দলের অন্য় নেতা-বিধায়ক-সাংসদদের মুখেও। দিন কয়েক আগেই আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ব্যারাকপুরের তৃণমূল সাংসদ পার্থ ভৌমিক। তাঁর কথায়, ‘আমরা কোনও বৈধ ভোটারের নাম বাদ দিতে দেব না। ওরা যদি একটা বৈধ ভোটার দেওয়ার চেষ্টা করে, তা হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় আগুন জ্বালিয়ে দেবে। জ্বলবে বাংলা।’
কিন্তু এই ক্ষোভটা এতটা চড়ল কবে? এসআইআর নিয়ে কমিশন কিংবা রাজ্যের সিইও দফতরের বিরুদ্ধে একুশের সভা মঞ্চ থেকেই আসরে নামার ঘোষণা করে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘোষণা করে দিয়েছিলেন, কমিশন ঘেরাওয়ের কথাও। তবে এতটা পর্যন্ত ক্ষোভ ছিল সীমিত। যা সম্প্রতি যেন মাত্রা পেল মুখ্য়মন্ত্রীর বার্তার মধ্যে দিয়ে, মত একাংশের। নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে কমিশনের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপি অভিযোগ করছিল, ওটা বার্তা নয় থ্রেট। মমতার কথায়, ‘আগুন নিয়ে খেলবেন না। একটা প্রবাদ রয়েছে, বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড়। যিনি রাজ্য থেকে গিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। সময় হলে বলব। আশা করি, তিনি খুব বেশি বেড়ে খেলবেন না।’
