AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Meenakshi Mukherjee: অসৌজন্যের রাজনীতি! ভরা সভায় মুখে লাগাম হারালেন মীনাক্ষী, কুণাল বললেন, ‘বাপ-ঠাকুরদার কাছে থেকে…’

Meenakshi Mukherjee: এদিন ইঙ্গিতে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের দিকে তোপ দেগে মীনাক্ষী বলেন, 'ওরা চুরি করেছে, নির্লজ্জ। একটা মুখপাত্র বসিয়ে রেখেছে, তার আমরা ভাষণ শুনব? সে বলে দেবে পশ্চিমবঙ্গে রাজনীতি কী হবে?'

Meenakshi Mukherjee: অসৌজন্যের রাজনীতি! ভরা সভায় মুখে লাগাম হারালেন মীনাক্ষী, কুণাল বললেন, 'বাপ-ঠাকুরদার কাছে থেকে...'
Image Credit: নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Jun 29, 2025 | 10:28 PM
Share

পলাশি: বাম আমলে শীর্ষ নেতাদের ভাষণ পর্বে বিরোধী পক্ষের প্রতি সৌজন্য হারানোর এই ‘ট্রেন্ড’ বড়ই দেখা যেত। দেখা গিয়েছে, তৃণমূল জমানাতেও। ওয়াকিবহাল মহলে, রাজনৈতিক সমাজের এটাই এখন নতুন ট্রেন্ড। সৌজন্য নয়, মেতে ওঠো ‘অসৌজন্যের রাজনীতি’।

শনিবার নদিয়ার কালীগঞ্জে গিয়েছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম-সহ বাম ব্র্রিগেডের এক ঝাঁক নেতা-নেত্রী। গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির নতুন সদস্য মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। সেখানেই বোমায় নিহত তামান্নার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাঁরা পৌঁছে যান পলাশিতে। সেখানেই আয়োজিত হয়েছিল একটি জনসভা। তাতেই ভাষণ দিতে উঠে নিজের লাগাম হারালেন মীনাক্ষী। করে বসলেন কুরুচিকর মন্তব্য।

এদিন ইঙ্গিতে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের দিকে তোপ দেগে তিনি বলেন, ‘ওরা চুরি করেছে, নির্লজ্জ। একটা মুখপাত্র বসিয়ে রেখেছে, তার আমরা ভাষণ শুনব? সে বলে দেবে পশ্চিমবঙ্গে রাজনীতি কী হবে? কোথায় গেল এখানকার বিধায়ক?’ এই বাক্যের মাঝেই কুণালের বিরুদ্ধে একবার কিছু বিশেষ অরুচিকর শব্দবন্ধনীর প্রয়োগ করেছেন মীনাক্ষী।

বাম যুবনেত্রীর সংযোজন, ‘এ কোন রাজনীতি বাড়িতে-বাড়িতে খাবার চাল আছে কিনা দেখে না। কিন্তু থলিতে বোমা নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। এটা পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি হতে পারে না। এদেরকে পাগলের মতো ছেড়ে রেখেছে রাস্তায়। টিভির পর্দায় এদের ভাষণ শুনব আমরা? সারদাতে চুরি করেছে। তারপর একটা রাজনৈতিক দলের মুখপাত্র হয়েছে, তার ভাষণ শুনব?’ জানিয়ে রাখা ভাল, এই বাক্যের মাঝেও আরও বেশ কিছু কুরুচিকর শব্দের ব্য়বহার করেছেন তিনি।

পাল্টা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘ওরা আমাকে সহ্য করতে পারছে। বলতে বলতে আজ এই কথাগুলো বলে দিয়েছে। আর যিনি আমার নামে এই সব বলছেন, তাঁকে বলব, তাঁর বাপ-ঠাকুরদার কাছ থেকে জেনে আসুক কোন পরিবার, কাদের সম্পর্ক কথা বলছেন।’ এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে সারদা নিয়ে করা অভিযোগকে নস্যাৎ করে কুণাল বলেন, ‘রইল বাকি সারদা। কোথাও এক ইঞ্চি প্রমাণিত হয়নি কুণাল ঘোষ দুর্নীতি করেছে। তর্ক আছে, বিতর্ক আছে। সিপিএমের গণশক্তি সারদা-সহ সব ক’টা চিটফান্ড থেকে কত কোটি টাকা বিজ্ঞাপন নিয়েছে, সেটা তাদের প্রকাশ করে দিতে বলুন না।’