Balurghat: পুলিশকে কি চ্যালেঞ্জ? ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পরপর চুরি বালুরঘাটে
Balurghat: ওই আয়ুর্বেদিক ওষুধের দোকানের ঠিক বিপরীতেই একটি রাষ্ট্রায়াত্ত্ব ব্যাঙ্ক। ওই ব্যাঙ্কের পেছনে এক চা বিক্রেতার বাড়ির বাথরুমের ভেন্টিলেটার দিয়ে চোর বাড়িতে ভোর বেলায় প্রবেশ করে।

কুমারগঞ্জ: পুলিশকে কার্যত ওপেন চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কুমারগঞ্জে চুরি করছে দুষ্কৃতীরা। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আবারো চুরির ঘটনা ঘটল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জে। রবিবার কুমারগঞ্জ ব্লকের সাফানগর এলাকায় একটি আয়ুর্বেদিক ওষুধের দোকান ও একটি বাড়িতে চুরির ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। রবিবার দোকানের মালিক দোকান খুলে দেখতে পান চুরির ঘটনা। সিঁড়িঘর দিয়ে নেমে এসে চোরেরা। এরপর দোকানে ঢোকে। তারপর ক্যাশ বাক্স ভেঙে কয়েক হাজার টাকা চুরি করে চম্পট দেয়। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।
ওই আয়ুর্বেদিক ওষুধের দোকানের ঠিক বিপরীতেই একটি রাষ্ট্রায়াত্ত্ব ব্যাঙ্ক। ওই ব্যাঙ্কের পেছনে এক চা বিক্রেতার বাড়ির বাথরুমের ভেন্টিলেটার দিয়ে চোর বাড়িতে ভোর বেলায় প্রবেশ করে। তারপর স্টিল আলমারি ও শোকেজের লক ভেঙে বেশ কয়েক ভরি সোনার গয়না ও বেশ কয়েক হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দেয় বলে বাড়ির মালিক জানিয়েছেন। তবে দুপুর পর্যন্ত কোনও পুলিশ আধিকারিকের দেখা মেলেনি বলে অভিযোগ দোকানদার ও বাড়ির মালিকের। এদিকে চলতি সপ্তাহে তিন দিনে ছয় জায়গায় চুরির ঘটনা এলাকাবাসীর মনে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে।
গত বৃহস্পতিবার কুমারগঞ্জ ব্লকের একটি ব্যাঙ্ক ও পোস্ট অফিসে চুরির ঘটনা ঘটেছিল। শনিবার পুনরায় কুমারগঞ্জ ব্লকের গোপালগঞ্জের দুটি বাইক শোরুমে চুরির ঘটনা সামনে আসে। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় এলাকাবাসীরা কুমারগঞ্জ ব্লক অফিসে বিক্ষোভ দেখায়। পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। রবিবার পুনরায় আবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে আতঙ্কিত কুমারগঞ্জবাসী। পুলিশকে যেন চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এমন দুঃসাহসিক ঘটনা ঘটানোর সাহস পাচ্ছে দুষ্কৃতীরা।
এবিষয়ে আয়ুর্বেদিক ওষুধ দোকানের মালিক সুবীর বসাক বলেন, “ছাদ থেকে সিঁড়ি দিয়ে নেমে দোকানের ক্যাশ বক্স থেকে নগদ প্রায় দুই হাজার টাকা চুরি হয়।” পাশাপাশি বাড়ির মালিক স্বাধীন কুমার বসাক বলেন, “আলমারি ভেঙে দেড় ভরি সোনার গহনা ও নগদ প্রায় দশ হাজার টাকা চুরি গিয়েছে। চুরির বিষয়টি সকালবেলায় জানতে পারি। পুরো ঘটনার তদন্তে নেমেছে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ।”

