Kidnap: বিয়ের ফাঁদে: পাত্রীর দেখানোর নাম করে অপহরণ, মুক্তিপণ চাওয়া হল ১০ লাখ টাকা!

Balurghat: বিয়ের জন্য পাত্রী খুঁজছিলেন যুবক। কিন্তু সেই পাত্রী দেখতে গিয়েই জোর করে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হল তাঁর। তারপর নাবালিকা ও তার গ্যাংয়ের হাতে অপহৃত হলেন যুবক।

Kidnap: বিয়ের ফাঁদে: পাত্রীর দেখানোর নাম করে অপহরণ, মুক্তিপণ চাওয়া হল ১০ লাখ টাকা!
বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে অপহৃত হন যুবক। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 21, 2021 | 6:50 PM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বিয়ের জন্য পাত্রী খুঁজছিলেন যুবক। কিন্তু সেই পাত্রী দেখতে গিয়েই জোর করে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হল তাঁর। তারপর নাবালিকা ও তার গ্যাংয়ের হাতে অপহৃত হলেন যুবক। তার পর তাঁর বাড়ির লোকের কাছে মুক্তিপণ চাওয়া হল ১০ লাখ টাকা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়।

জানা গিয়েছে, বিয়ের ফাঁদে ফাঁসিয়ে এক যুবককে অপহরণ করা হয়। তাঁকে অপহরণ করে বিহারের কিষাণগঞ্জের একদল দুষ্কৃতী। তার পর বাড়িতে যায় মুক্তিপণের দাবি। জানানো হয় ১০ লক্ষ টাকা দিলে তবেই ছাড়া পাবেন যুবক। এর পর পুলিশের দ্বারস্থ হয় যুবকের পরিবার। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। অবশেষে শনিবার রাতে বালুরঘাট থানার পুলিস ও বিহারের কিষাণগঞ্জ থানার পুলিশের যৌথ অভিযানে উদ্ধার করা হয় ওই যুবককে। গ্রেফতার করা হয় দুষ্কৃতীদের। রবিবার ওই যুবককে পরিবারের কাছে ফিরেছেন। তিনি সুস্থ আছেন বলেই খবর।

ঠিক কী ঘটেছে?

জানা গিয়েছে, অপহৃত ওই যুবকের নাম মোমিনূর মণ্ডল। তাঁর বাড়ি বালুরঘাট ব্লকের ডাঙা গ্রামপঞ্চায়েতের কেওরশ্বর এলাকায়। যুবকের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৫ দিন আগে দুই বন্ধুর সঙ্গে বিহারে বেড়াতে যান মোমিনূর। সেখানে নাকি প্রথমে পাত্রী দেখানোর নাম করে জোর করে এক কিশোরীর সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয় তাঁর। এর পর তাঁকে আটকে রেখে বাড়িতে ফোন করে ওই নাবালিকা ও তার সঙ্গীরা। চাওয়া হয় ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণয়। এই ভাবে প্রায় ১১ দিন আটকে নাবালিকার ডেরায় আটকে থাকেন যুবক। এদিকে যুবকের পরিবার গত দু’ দিন আগে পুলিশের দ্বারস্থ হয়। জানানো হয়, ভিন রাজ্যে অপহৃত হয়েছে তাদের বাড়ির ছেলে। এরপর বালুরঘাট পুলিশ শুরু করে তদন্ত। বিহারের কিষাণগঞ্জ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে তারা। তার পর সেখানে গিয়ে ওই যুবককে উদ্ধার করে নিয়ে আসে পুলিশ।

এ বিষয়ে ওই যুবকের প্রতিবেশী ফিরোজ মণ্ডল বলেন, “বিহারের ওই কয়েকজন মিলে একটি গ্যাং চালায়। এভাবেই যুবকদের বিয়ের ফাঁদে ফাঁসিয়ে মুক্তিপণ চায়। ওই দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ খুব ভাল উদ্যোগ নিয়েছে। তাতে আমরা খুব খুশি।”

যুবকের মা বলেন, “ছেলে ফোন করে কাঁদত। বলত, ‘আমাকে মারধর করছে। উদ্ধার করো।’ ১০ লক্ষ টাকা চেয়েছিল। আমরা গরিব মানুষ, অতো টাকা কোথায় পাব! ছেলের চিন্তায় খাওয়া-দাওয়া করতে পারিনি। বাধ্য হয়ে পুলিশের কাছে যাই। ছেলেকে উদ্ধার করে এনে দিয়েছে ওরা। আমি ভীষণ খুশি।”

ডিএসপি হেডকোয়ার্টার সোমনাথ ঝাঁ জানান, “এক যুবককে বিহারের দুষ্কৃতীরা আটকে রেখে মুক্তিপণ চায়। পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। সেই সঙ্গে এদিন এক নাবালিকা ধর্ষণের অভিযুক্তকেও ইসলামপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”

আরও পড়ুন: Corona Death: প্রথম ডোজ়ের একমাস পর করোনা কেড়েছিল বৃদ্ধার প্রাণ, আটমাস পর এল তাঁর দ্বিতীয় টিকার শংসাপত্র!