South Dinajpur Suicide: কথা কানে তুলছিল না, মত্ত ছিল মোবাইলে গেম খেলায়, চরম পরিণতি দেখলেন বাবা
South Dinajpur Suicide: যা দেখে বকাবকি করে বাবা। আর এতেই অভিমানে কীটনাশকে আত্মঘাতী হল ছেলে।
দক্ষিণ দিনাজপুর: পড়াশোনা করার জন্য বারবার বলেছিলেন বাবা। কিন্তু কথা শোনেনি। পড়াশোনা ছেড়েছিলেন মাঝ পথেই। বাধ্য হয়েই ছেলেকে চাষের কাজে লাগিয়েছিলেন। কিন্তু সেটাতেও মন ছিল না। মন ছিল কেবল মোবাইলে গেম খেলাতেই। মাঠে কাজে যাওয়ার বদলে মোবাইলে গেম খেলতেই মত্ত থাকতেন তিনি। যা দেখে বকাবকি করেন বাবা। আর তাতেই অভিমানে কীটনাশকে আত্মঘাতী হলেন ছেলে। মৃত যুবকের নাম সঞ্জয় হাজরা(২৩)। বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন থানার রামচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভিকাহারে। বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন মঙ্গলবার গভীর রাতে ওই যুবকের মৃত্যু হয়৷ বুধবার দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে তপন থানার পুলিশ।
জানা গেছে, সঞ্জয় হাজরা অনেক দিন আগেই পড়াশুনা ছেড়ে দিয়েছেন। তিনি কৃষিকাজ করতেন। বর্তমানে আমন ধান পেকেছে। যার ফলে মাঠ থেকে ধান বাড়ি নিয়ে আসার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সকালে বাবা কাজে আগেই যান। সকালে মাঠে যাওয়ার কথা ছিল ছেলে সঞ্জয়েরও। কিন্তু বেলা গড়িয়ে গেলেও মাঠে যাননি সঞ্জয়। মোবাইলে গেম খেলতেই ব্যস্ত ছিলেন। এরপরই বাড়িতে এসে ছেলেকে বকাবকি করেন বাবা। আর সেই রাগে ও অভিমানে কীটনাশক খান সঞ্জয়।
বিষয়টি নজরে আসতেই সঞ্জয়কে প্রথমে তপনে ও পরে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বালুরঘাটে চিকিৎসায় অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠছিলেন তিনি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গবার রাত দুটো নাগাদ মৃত্যু হয় সঞ্জয়ের। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, ছোট থেকেই জেদ সঞ্জয়ের। এবিষয়ে হুকুমচাঁদ শর্মা নামে এক আত্মীয় বলেন, “এখনকার ছেলেমেয়েরা মোবাইল নিয়েই থাকে৷ মোবাইলে গেম খেলছিল কাজ বাদ দিয়ে। এই নিয়ে বকাবকি করায় কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হয় সে। গত বৃহস্পতিবার কীটনাশক খায় এবং মঙ্গলবার গভীর রাতে মারা যায়।”