South Dinajpur: হাসপাতাল থেকেই সদ্যোজাত চুরির চেষ্টা, ধৃত দুই মহিলা
Child Trafficking: নিরাপত্তা বাড়াতে হাসপাতালে ভিজিটিং কার্ড ছাড়া প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। নিরাপত্তারক্ষীদের কি ভাবে সর্তক থাকতে হবে, তা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে হাসপাতাল চত্বর পরিদর্শনে যান ডিএসপি হেডকোয়ার্টার বিক্রম প্রসাদ ও বালুরঘাট থানার আইসি সুমন্ত বিশ্বাস।

বালুরঘাট: বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগ থেকে সদ্যোজাত শিশুকে চুরি করার চেষ্টার অভিযোগ। ঘটনায় আপাতত দুই মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাঁদের আদালতে পেশ করা হয়। এদিকে হাসপাতাল থেকে শিশু চুরির চেষ্টার ঘটনার পরই হাসপাতালে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম সোনালি মুর্মু ও মেনকা মার্ডি। দুজনেরই বয়স তিরিশ থেকে পঁয়ত্রিশের আশপাশে।
নিরাপত্তা বাড়াতে হাসপাতালে ভিজিটিং কার্ড ছাড়া প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। নিরাপত্তারক্ষীদের কি ভাবে সর্তক থাকতে হবে, তা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে হাসপাতাল চত্বর পরিদর্শনে যান ডিএসপি হেডকোয়ার্টার বিক্রম প্রসাদ ও বালুরঘাট থানার আইসি সুমন্ত বিশ্বাস। জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে পারপতিরামের এক প্রসূতির নবজাতককে কোলে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিল দুই সোনালি ও মেনকা নামে দুই মহিলা।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ওই দুই মহিলাই ঘটনার সময়ে মদ্যপ ছিলেন। ওই অবস্থাতেই তারা সদ্যোজাত চুরির চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ। হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা হাতেনাতে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ অপহরণ ও পকসো আইনে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার তাদের আদালতে তোলা হলে আগামী ১৫ তারিখ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাসপাতালে। হাসপাতালে নিরাপত্তারক্ষীদের আরও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে ওই দুই মহিলা হাসপাতালে গিয়েছিল এবং বাচ্চাটিকে কোলে নিয়েছিল, তা এখনও পরিস্কার নয় পুলিশ ও হাসপাতালের কাছে। এমনকি মদ্যপ অবস্থায় থাকার পরও কীভাবে ওই দুই মহিলা হাসপাতালে প্রবেশ করল তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। হাসপাতালের এক রোগীর পরিজন বললেন, “হাসপাতালের মধ্যেই নিরাপত্তার অভাব। প্রসূতিদের এমনিকেই শারীরিক অবস্থা ঠিক থাকে, তাঁরা ক্লান্ত থাকেন। কোনও সময়ে ঘুমিয়ে পড়লে, পাশ থেকে ঘুমন্ত শিশুকে কেউ তুলে নিয়ে যেতেই পারে। যা অবস্থা হাসপাতালের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেই আরও কঠোর পদক্ষেপ করতে হবে।”
