AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

North Bengal Tour: ধস-বন্যায় বন্ধ রাস্তা, পাহাড়ে ঘুরতে গেলে কি সমস্যায় পড়বেন?

Tourist: বর্ষায় মরশুমে পাহাড়ে সতর্ক করা হয়েছে বর্ডার রোড অর্গানাইজেশনকে। পাহাড়ের বিভিন্ন ধসপ্রবণ এলাকায় রাখা হয়েছে পে লোডার। ধস যদি নামেও, দ্রুত যাতে ধস সরিয়ে যাতে রাস্তা খোলা যায় সেই লক্ষ্যে নানা পদক্ষেপ করা হচ্ছে।

North Bengal Tour: ধস-বন্যায় বন্ধ রাস্তা, পাহাড়ে ঘুরতে গেলে কি সমস্যায় পড়বেন?
দার্জিলিং শহর
| Edited By: | Updated on: Jun 20, 2022 | 7:56 PM
Share

শিলিগুড়ি: এক দিকে বর্ষাজনিত পরিস্থিতি, অন্য দিকে লাগাতার বর্ষণের জেরে ধস। এই ধসের জেরে পাহাড়ে বিভিন্ন রাস্তায় অনিয়মিত হয়েছে যান চলাচল। বন্ধ হচ্ছে বিভিন্ন রাস্তাও। এর মধ্যেই পাহাড়ে আসছেন পর্যটকরা। কিন্তু যারা আগামী কয়েক দিনের মধ্যে পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন তাঁদের অনেকেই দ্বন্দ্বে ভুগছেন, ঘুরতে যাবেন কি না। কিন্তু কাজে ছুটি নেওয়া হয়ে গেলে, তা বাতিল করতেও মন খচখচ করছে। ছুটি তো আর সব সময় পাওয়া যায় না! এখন ঘুরতে গেলে কি খুব সমস্যা হবে? কোনও রাস্তা বন্ধ থাকলে কি বিকল্প রাস্তা নেই? এ সবেরই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করল টিভি৯ বাংলা।

গত কয়েকদিন ধরেই লাগাতার ধস নামছে সিকিম এবং কালিম্পংগামী ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে। তবে এ নিয়ে বিশেষ চিন্তার কোনও কারণ নেই। বড় কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে সিকিম এবং কালিম্পং যাওয়ার জন্য লাভা হয়ে সেখানে পৌঁছনোর বিকল্প পথ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে একটু ঘুরে যেতে হবে ঠিকই। কিন্তু যাওয়া বাতিল করতে হবে না। দার্জিলিং এর ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। পাঙ্খাবারি হয়ে দার্জিলিং পৌঁছানোর রাস্তা ছাড়াও রোহিণী হয়ে দার্জিলিং পৌঁছানোর বিকল্প রাস্তা রয়েছে। একটি রাস্তায় সমস্যা থাকলে অপর রাস্তাটি বেছে নিতে পারবেন।

শিলিগুড়িতে ঢোকার মুখে প্রবল বর্ষায় বালাসনেও বিপত্তি। ভেসে গিয়েছে হিউম পাইপের ব্রিজ। তবে মূল ব্রিজ (ওই ব্রিজটিও ক্ষতিগ্রস্থ) দিয়ে দুদিকে যান চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে গাড়ির গতি কমেছে। কিন্তু যানবাহন চলছে। এ ছাড়া মেডিক্যাল মোড় থেকে শিলিগুড়ি আসার বিকল্প পথও রয়েছে। বহু পর্যটক বিকল্প পথের খোঁজ খবর করেই আরামেই ঘুরছেন পাহাড়ে। সেই সঙ্গে উপভোগ করছেন বৃষ্টি।

বর্ষায় মরশুমে পাহাড়ে সতর্ক করা হয়েছে বর্ডার রোড অর্গানাইজেশনকে। পাহাড়ের বিভিন্ন ধসপ্রবণ এলাকায় রাখা হয়েছে পে লোডার। ধস যদি নামেও, দ্রুত যাতে ধস সরিয়ে যাতে রাস্তা খোলা যায় সেই লক্ষ্যে নানা পদক্ষেপ করা হচ্ছে।

তবে অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে বিক্ষোভ ও অসমে বন্যাজনিত পরিস্থিতির কারণে বেশ কিছু ট্রেন বাতিল হয়েছে বা বিলম্বে চলছে। ঘুরতে আসার পরিকল্পনা থাকলে ট্রেন সম্পর্কিত খোঁজ খবর আগে ভাগে নিয়ে রাখুন। পাশাপাশি ঘুরতে আসার আগে আগাম হোটেল বুক করে রাখুন। অন্তত এমনটাই পরামর্শ দিচ্ছেন হোটেল আসোসিয়েশনের কর্তারা। পর্যটকদের অভয় দিয়ে ট্যুর অপারেটর সংগঠনের কর্তা সম্রাট সান্যাল বলেছেন, “পর্যটন খোলাই আছে। বিপদে প্রতিটি পর্যটকের পাশে আমরা আছি। প্রশাসন সব রকম সাহায্য করছে। নির্ভয়ে ঘুরুন। সাময়িক কোনও সমস্যা এলেও পাশে পাবেন সকলকে।”