Flood Situation: জল নামতে শুরু করেছে, কিছুটা হলেও পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে প্লাবিত এলাকাগুলোর
Flood Situation: রূপনারায়ণের জলের চাপ রয়েছে। খুব ধীর গতিতে তার নামছে। ইতিমধ্যেই খানাকুল দু'নম্বর বিডিও ও বি এম ও এইচ জল পেরিয়ে জামের ভেতর স্বাস্থ্য শিবিরে ম্যালেরিয়া টেস্ট ও বন্যা দুর্গতদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাচ্ছেন । এদিকে ত্রাণ নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে এলাকায়।
হুগলি, মেদিনীপুর: শেষ কয়েকদিনে বৃষ্টি হয়নি। সামনে অবশ্য নিম্নচাপের পূর্বাভাস রয়েছে। কিন্তু তার আগে জোরাল রোদ ওঠায় পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হচ্ছে। ডিভিসি-র জল ছাড়ার পরিমাণও কমেছে। এই পরিস্থিতিতে বানভাসি এলাকাগুলোতে জল নামতে শুরু করেছে। আরামবাগ মহকুমায় বন্যা পরিস্থিতির বেশ কিছুটা উন্নতি হয়েছে। যদিও খানাকুলের ধান্যঘোরি,মাড়োখানা ও রাজহাটি ১ পঞ্চায়েত-সহ বেশ কিছু এলাকা এখনও জলমগ্ন। তবে জল কমছে বলে জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।
অধিকাংশ এলাকাতেই যাতায়াতের প্রধান রাজ্যসড়কগুলি থেকে নেমে গেছে জল। তবে কৃষিজমি ও নীচু এলাকাগুলি এখনও প্লাবিত। খানাকুলের একেবারে বন্যা কবলিত হিসাবে পরিচিত মাড়োখানা পঞ্চায়েতের চাঁদকুণ্ডু, ধলডাঙা, সুন্দরপুর এলাকা এখনও জলমগ্ন রয়েছে। সেখানে এখনও নৌকাই ভরসা। বেশিরভাগ এলাকাতেই নামের ভেতর কোথাও এক হাঁটু কোথাও বুক সমান জল। মুণ্ডেশ্বরী দিয়ে ডিভিসির জল বইছে।
রূপনারায়ণের জলের চাপ রয়েছে। খুব ধীর গতিতে তার নামছে। ইতিমধ্যেই খানাকুল দু’নম্বর বিডিও ও বি এম ও এইচ জল পেরিয়ে জামের ভেতর স্বাস্থ্য শিবিরে ম্যালেরিয়া টেস্ট ও বন্যা দুর্গতদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাচ্ছেন । এদিকে ত্রাণ নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে এলাকায়। এলাকার মানুষদের দাবি, প্রতিবছর বন্যায় সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এইসমস্ত এলাকাগুলি একেবারে প্রত্যন্ত হওয়ায় ত্রাণ পাওয়া যায় না। পানীয়জলের জন্যও হাহাকার করতে হয়।
অন্যদিকে, শিলাবতী নদীর জলস্তর বেড়ে প্লাবিত ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা কয়েকদিন ধরে। জলে ডুবেছে রাস্তাঘাট শুরু করে একাধিক ঘরবাড়ি ও বিঘের পর বিঘে কৃষি জমি। এখনও ডিঙি নৌকো করে চলছে যাতায়াত, চরম সমস্যায় ঘাটালের বানভাসি এলাকার মানুষজন। গত শুক্রবার থেকে ধীরগতিতে কমতে শুরু করেছে ঘাটালের বন্যার জল, জল কমলেও এখনও প্লাবিত রয়েছে ঘাটাল পৌর বেশ কিছু নীচু এলাকা-সহ গ্রামীণ বিস্তীর্ণ এলাকা। প্লাবিত ঘাটাল পৌর এলাকা থেকে জল নামতেই পৌর বিভিন্ন এলাকায় ব্লিচিং ছড়িয়ে জমে থাকা আবর্জনা পরিষ্কার চলছে পৌর সাফাই কর্মীদের।