Serampore: ‘গরিব খেটে খাওয়া মানুষ ভোট দিয়েছেন’, ১০ বছর পর TMC-কে সরিয়ে আসন দখল বামেদের
CPIM: হুগলির পাণ্ডুয়ায় শ্রীরামবাটি সমবায়। দশ বছর ধরে তৃণমূলের দখলে ছিল সেটি। সেখানেই ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গেল ঘাসফুল। তৃণমূলের হাত থেকে এই সমবায় ছিনিয়ে নিল বামেরা। ১১-১ আসনে জয়লাভ করে সিপিএম (CPM) সমর্থিত 'সমবায় বাঁচাও' মঞ্চের প্রার্থীরা। এরপরেই লাল আবির উড়িয়ে জয় সেলিব্রেট করে তারা।

হুগলি: আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা ভোট। ইতিমধ্যেই ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলি। আর ছাব্বিশের ভোটের আগে বড় জয় পেল বামেরা। পাণ্ডুয়ায় সমবায় নির্বাচনে জয়ী সিপিএম। জানা যাচ্ছে, দশ বছর হয়েছে নির্বাচন, আর তাতেই জয়ী লাল শিবির।
হুগলির পাণ্ডুয়ায় শ্রীরামবাটি সমবায়। দশ বছর ধরে তৃণমূলের দখলে ছিল সেটি। সেখানেই ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গেল ঘাসফুল। তৃণমূলের হাত থেকে এই সমবায় ছিনিয়ে নিল বামেরা। ১১-১ আসনে জয়লাভ করে সিপিএম (CPM) সমর্থিত ‘সমবায় বাঁচাও’ মঞ্চের প্রার্থীরা। এরপরেই লাল আবির উড়িয়ে জয় সেলিব্রেট করে তারা।
পান্ডুয়ার প্রাক্তন সিপিআইএম বিধায়ক আমজাদ হোসেন বলেন, “চার মাস আগে ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তৃণমূল করতে দেয়নি। তারা জানত তাদের উপর মানুষের ভরসা নেই। দশ বছর ধরে তৃণমূল এই সমবায় দখল করেছিল। সমবায়কে লুট করেছে। এই সমবায়কে দুর্নীতি মুক্ত করে পরিচালনা করতে বাম প্রার্থীদের ভোট দিয়েছে ক্ষেতমজুর, কৃষক বরগাদার,পাট্টাদাররা।মানুষের পরিবর্তন হচ্ছে এটা থেকেই বোঝা যাচ্ছে। এই জয় আগামী দিনের বড় লড়াই এর প্রস্তুতি।”
পাণ্ডুয়া ব্লক তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি সঞ্জয় ঘোষ বলেন, “কেন এমন হল সেটা দলের মধ্যে আলোচনা করে বিশ্লেষণ করা হবে। জেলায় দলের উচ্চ নেতৃত্বকে জানানো হবে। সকলে বসে তদন্ত করব। কেন এমন হল। এত উন্নয়নের কাজ করা সত্ত্বেও কেন এমন ফল হল। বিশ্লেষণ করে দেখা হবে এবং আগামীদিনে যাতে সমবায় জিততে পারি সেটা দেখা হবে।”
