Rishra: ‘ফিরে যান’, রিষড়া যাওয়ার আগে দিল্লির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে বাধা পুলিশের
Rishra: পুলিশের তরফ থেকে সাফ জানানো হয়েছে এখনও ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তাই সেখানে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দলের সদস্যরা গেলে জনসমাগম হতে পারে। ভেঙে যেতে পারে ১৪৪ ধারা।
রিষড়া: ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে (Fact Finding Team) বাধা। কোন্নগরে আটকে দেওয়া হল দিল্লির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে। হাওড়া-রিষড়া কাণ্ডে (Howrah-Rishra) দিল্লি থেকে রাজ্যে এসেছেন ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি অন হিউমান রাইটস ভায়োলেশনের’ সদস্যরা। কিন্তু, রিষড়া ঢোকার মুখে শ্রীরামপুরে তাঁদের আটকে দিল পুলিশ। সূত্রের খবর, রিষড়ায় আসার আগে এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যরা ছিলেন কলকাতার একটি হোটেলে। সেখান থেকেই সোজা রওনা দেন রিষড়ার উদ্দেশে। কিন্তু, রিষড়া ঢোকার আগে শ্রীরামপুরের বাঙ্গিহাটি দিল্লি রোডে তাঁদের কনভয় আটকায় পুলিশ। ফিরে যেতে বলা হয়। ছয়জনের একটি প্রতিনিধি দল আজ যাচ্ছিলেন রিষড়াকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলতে। সেখানকার রিপোর্ট তাঁদের জমা দেওয়ার কথা কেন্দ্রের কাছে। বাধা পাওয়ার পর অনুসন্ধানকারী দলের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ তর্ক-বিতর্কও চলে পুলিশের।
যদিও প্রতিনিধি দলের সদস্যরা প্রশ্ন তোলেন, কেন তাদের যেতে দেওয়া হবে না? তাঁরা এলাকায় ঘুরে মানুষের সঙ্গে কথা বলে কিছু তথ্য সংগ্রহ করতে চান। এরপরে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারের সঙ্গেও তাঁরা কথা বলবেন বলে জানান।
কিন্তু, পুলিশের তরফ থেকে সাফ জানানো হয়েছে এখনও ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তাই সেখানে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দলের সদস্যরা গেলে জনসমাগম হতে পারে। ভেঙে যেতে পারে ১৪৪ ধারা। সে কারণেই আপাতত সেখানে যেতে তাঁদের নিষেধ করা হচ্ছে। অন্যদিকে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যরা আবার জানাচ্ছেন তাঁরা যে রিষড়ায় আসছেন তা আগে থেকেই জানিয়েছিলেন পুলিশকে। চিঠিও দেওয়া হয়েছিল পুলিশ কমিশনারকে। শ্রীরামপুরে যে পুলিশ কর্তারা তাঁদের পথ আটকান তাঁরা ইতিমধ্যে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের কাছ থেকে এ সংক্রান্ত নথিপত্র সংগ্রহ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, রাম নবমীর শোভাযাত্রায় হামলার অভিযোগ কয়েকদিন আগেই হাওড়ার অশান্ত হয় হাওড়ার শিব। একই ছবি দেখা গিয়েছিল হুগলির রিষড়াওতে। এখনও সেখানে জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। এই অবস্থায় সেখানে যে তথ্য অনুসন্ধানকারী দল যে আসছে সে খবর আগেই শোনা গিয়েছিল। তা নিয়ে চাপাউতরও শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে।