Goghat: গ্রেফতার হয়েও হাসি থামছে না! হাসতে হাসতেই প্রিজন ভ্যানে তৃণমূল নেতা
TMC: গোলমাল থামাতে গিয়ে রক্ত ঝরেছিল উর্দিধারীদের। সেই ঘটনায় স্বতোঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছিল গোঘাট থানার পুলিশ। শুক্রবার রাতেই দশজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল গোলমালের ঘটনায়। তারপর শনিবার রাতে তৃণমূলের কুমারগঞ্জ অঞ্চল সভাপতি সদরুজ্জা মোল্লা ওরফে রাহুল-সহ মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গোঘাট: শুক্রবার রাতে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়েছিল গোঘাটের কুমারগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের ভুরকুন্ডা এলাকা। পরিস্থিতি সামলাতে গিয়ে দুই পক্ষের মাঝে পড়ে ইটের আঘাতে জখম হয়েছিলেন পুলিশকর্মীরা । গোলমাল থামাতে গিয়ে রক্ত ঝরেছিল উর্দিধারীদের। সেই ঘটনায় স্বতোঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছিল গোঘাট থানার পুলিশ। শুক্রবার রাতেই দশজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল গোলমালের ঘটনায়। তারপর শনিবার রাতে তৃণমূলের কুমারগঞ্জ অঞ্চল সভাপতি সদরুজ্জা মোল্লা ওরফে রাহুল-সহ মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার রাতে পুলিশি অভিযানে শাসক শিবিরের অঞ্চল সভাপতি ছাড়াও গ্রেফতার করা হয়েছে শেখ খলিল, শেখ সোহেল, শেখ সাবির ও সইদুল ইসলাম। এরা প্রত্যেকেই এলাকায় তৃণমূলের নেতা হিসেবেই পরিচিত। গতরাতে এক বিশেষ অভিযানে অঞ্চল সভাপতি-সহ পাঁচজনকে পাকড়াও করে পুলিশ। রবিবার অভিযুক্তদের আরামবাগ মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে পুলিশের তরফে। পুলিশ সূত্রে খবর, অঞ্চল সভাপতি-সহ দু’জন তৃণমূল কর্মী নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হতে পারে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাতে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছিল কুমারগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের ভুরকুন্ডা এলাকায়। দুই পক্ষেরই বেশ কয়েকজন জখম হয়েছিলেন। এমনকী পুলিশকর্মীরা যখন সেই পরিস্থিতি সামলাতে যান, তখন পুলিশকর্মীরাও আহত হয়েছিলেন দু’পক্ষের ঝামেলার মধ্যে পড়ে। সেদিনের গোলমালের পর তৃণমূল ও বিজেপি একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিল। ঝামেলার মধ্যে আট জন পুলিশকর্মী কম-বেশি আহত হয়েছিলেন সেদিনের ঘটনায়। এবার সেই ঘটনায় শুক্রবার ও শনিবার মিলিয়ে মোট ১৫ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
