Fraud lottery Results: লটারির রেজাল্টের শিট ছাপিয়ে অভিনব কায়দায় প্রতারণা ব্যান্ডেলে
Hooghly: হুগলির ব্যান্ডেল স্টেশন রোড কৈলাসনগর মোড়। সেখানে একটি লটারির দোকানে গতকাল সন্ধে নাগাদ এক ব্যক্তি বাইকে চড়ে আসেন।
হুগলি: অভিনব প্রতারণা ব্যান্ডেলে।লটারির টিকিট জালিয়াতির ঘটনা শোনা যায়। তবে লটারির রেজাল্টের শিট ছাপিয়ে অভিনব প্রতরণা।
হুগলির ব্যান্ডেল স্টেশন রোড কৈলাসনগর মোড়। সেখানে একটি লটারির দোকানে গতকাল সন্ধে নাগাদ এক ব্যক্তি বাইকে চড়ে আসেন। সেই সময় দোকানে বেশ ভালই ভিড় ছিল। ভিড় যেই মুহূর্তে একটু ফাঁকা হয়েছে ওই ব্যক্তি লটারির দোকানে গিয়ে জানান তাঁর টিকিটে একটি পুরষ্কার মিলেছে। ব্যক্তির কথা শুনে দোকানদার বিকাশ ঘোষ কর্মচারী শ্যামল দাসকে মিলিয়ে দেখতে বলেন। দেখা যায় আড়াইশো টাকার ২৫ প্রাইজ লেগেছে।হিসাব অনুযায়ী ৬ হাজার ২৫০ টাকা হয়।
ব্যক্তি জানান, তিনি আরও কিছু টাকার টিকিট নেবেন।টিকিট ভাঙিয়ে দেওয়া যাবে কি না। বিকাশ জানান ভাঙিয়ে দেবেন। তবে ওই ব্যক্তি বলেন, ৬ হাজার ২৫০ টাকা থেকে টিকিটের দাম বাবদ ৭২০ টাকা বাদ দিয়ে বাকি টাকাটা তাকে দিয়ে দিতে। দোকানদার বলেন, তার কাছে এত টাকা নেই। ডিস্ট্রিবিউটরের কাছ থেকে আনতে হবে।
তখন আগত ব্যক্তিকে দোকানে বসিয়ে রেখে ডিস্ট্রিবিউটারের কাছে গিয়ে ওই টিকিট দেখিয়ে টাকা চাইলে ডিস্ট্রিবিউটর টিকিট মিলিয়ে দেখেন সেই টিকিটের কোনও পুরষ্কারই নেই। তড়িঘড়ি দোকানদার দোকানে ফিরে এসে দেখেন ওই ব্যক্তি আর নেই বেপাত্তা হয়ে গিয়েছেন।
এই বিষয়ে বিকাশ ঘোষ বলেন, ‘আমি মোবাইলে রেজাল্ট মিলিয়ে দেখি টিকিটে কোনও প্রাইজ নেই তাহলে এই রেজাল্টের তালিকা কোথা থেকে এলো! পরে বুঝতে পারি আমার রেজাল্টটা ওই প্রতারক সরিয়ে দিয়ে নিজের রেজাল্টটা ওখানে ঢুকিয়ে দেয়।’ দোকানদার আরও বলেন, ‘আমি ডিস্ট্রিবিউটারের ঘরে না গেলে বুঝতে পারতাম না তখন হয়ত আমার অনেক টাকা চলে যেত।’
স্থানীয় সূত্রে খবর, দোকানে লটারির রেজাল্টের যে তালিকা থাকে নজর এড়িয়ে নিজের পকেটে ঢুকিয়ে নকল রেজাল্ট রেখে দেয়।দেখে বোঝার উপায় নেই নকল। আর আসল কারণ রেজাল্ট শিট প্রিন্ট করা। লটারি খেলার কিছুক্ষণের মধ্যেই ওয়েব সাইটে ফল প্রকাশ হয়। সেখান থেকে ডাউনলোড করে লটারি ব্যবসায়ীরা দোকানে টাঙিয়ে রাখেন। সেখানেই প্রতারণার ফাঁদ পাতে প্রতারকরা। আরও কয়েকটি জায়গায় একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ।