Chinsurah: যমালয়ের নয়, চুঁচুড়া কাঁপাচ্ছে মর্ত্যের জীবন্ত ‘ভোলা’! কী করছে প্রশাসন? তীব্রে আতঙ্কে প্রশ্ন স্থানীয়দের
Chinsurah: এদিন সকালেও একই কাণ্ড। কল্যাণীর মদনপুর থেকে ডিম বিক্রি করতে এসেছিলেন বছর পঞ্চান্নর কোহিনূর বিবি। ভোলা তাড়া খেয়েছেন তিনি। প্রাণে বাঁচলেও ডিম ভর্তি ট্রে গিয়েছে ভেঙে।
‘যমালয়ে জীবন্ত মানুষ’! ভানুর কীর্তিতে আজও বুঁদ বাঙালি। সিনেমায় যমলোক থেকে যমরাজকে তাড়িয়ে ছিল ‘ভোলা’। এখন আর এক ভোলার কীর্তিতে জোর শোরগোল মর্ত্যলোক। ভয়ে কাঁটা হয়ে রয়েছে হুগলির চুঁচুড়ার বাসিন্দারা। এলাকার লোকজন বলছেন, স্বভাব একদমই ভাল নয় ভোলার। কয়েক দিন ধরেই মেজাজ বিগড়েছে। সাদা কালো রঙের নাদুসনুদুস চেহারার ষাঁড়টা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গোটা এলাকা। ভয়ে বাড়ি থেকে বের হতেই পারছে না বাচ্চারা। ভোলে কে বাগে আনি সাধ্যি কার! বাজার থেকে লোকালয়, মাথায় ধারালো দু’টো লম্বা শিং দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সর্বত্র।
ইতিমধ্যেই ষাঁড়ের গুঁতোয় জখমও হয়েছেন চুঁচুড়া মল্লিক কাশেম হাট এলাকার বেশ কয়েকজন ব্যক্তি। এদিকে বাজারে না এলেও উপায় নেই। তাই বাধ্য হয়ে প্রাণ হাতে করেই লোকজন আসছেন বাজারে। যদিও এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, সকালে তাঁদের আসার হাজির হয়ে যাচ্ছে বাজারে। একবার একে গুঁতোতে যাচ্ছে তো একবার ওকে।
এই খবরটিও পড়ুন
স্থানীয় বাসিন্দা রাজু খান বলছেন, “গত কয়েক মাস ধরেই এখানে দাপাচ্ছে ও। বেশ কয়েকজন তো আহতও হয়েছেন। ভয়ে আত্মরক্ষার জন্য তো লাঠি হাতে ঘুরতে হচ্ছে।” এদিন সকালেও একই কাণ্ড। কল্যাণীর মদনপুর থেকে ডিম বিক্রি করতে এসেছিলেন বছর পঞ্চান্নর কোহিনূর বিবি। ভোলা তাড়া খেয়েছেন তিনি। প্রাণে বাঁচলেও ডিম ভর্তি ট্রে গিয়েছে ভেঙে। মাথায় হাত কোহিনূরের। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এ ভাবে চলতে পারে না। যে কোনও সময় যে কারও প্রাণ সংশয় হয়ে যেতে পারে। সকলেই চাইছেন দ্রুত ব্যবস্থা নিক প্রশাসন।