Chandannagar: সোহেলের হাতেই তৈরি হচ্ছে মায়ের মণ্ডপ, আনন্দে তিনি বললেন, ‘আমি ঋণী
Hooghly: চন্দননগরের শিল্পী সোহেল মূলত স্যান্ড আর্ট নিয়ে কাজ করেন। তবে বিগত কয়েক বছর ধরে জগদ্ধাত্রী পুজো দুর্গা পুজোও করছেন। এবার চুঁচুড়ার পার্বতী রায় লেন সর্বজনীন দুর্গা পুজোর মণ্ডপ সাজানো হচ্ছে। আর সোহেলের হাতেই পড়েছে এই গুরু দায়িত্ব। মণ্ডপে তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন সচিন, সৌরভ, বিরাটের মত ক্রিকেট নক্ষত্রদের।

চন্দননগর: তাঁর ধর্ম ইসলাম। নামাজ পড়েন। সেই তিনি আবার জগদ্ধাত্রী পুজোতেও সামিল হন। বহু চর্চিত পুজা মণ্ডপের জন্ম দিয়েছেন তিনি। এবার মহম্মদ সোহেলের হাতেই দায়িত্ব পড়েছে পুজোর আগামী চারদিনের।
চন্দননগরের শিল্পী সোহেল মূলত স্যান্ড আর্ট নিয়ে কাজ করেন। তবে বিগত কয়েক বছর ধরে জগদ্ধাত্রী পুজো দুর্গা পুজোও করছেন। এবার চুঁচুড়ার পার্বতী রায় লেন সর্বজনীন দুর্গা পুজোর মণ্ডপ সাজানো হচ্ছে। আর সোহেলের হাতেই পড়েছে এই গুরু দায়িত্ব। মণ্ডপে তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন সচিন, সৌরভ, বিরাটের মত ক্রিকেট নক্ষত্রদের। আছেন গানের জগতের আশা ভোঁসলে,অরিজিৎ সিং, এ আর রহমানরা।অন্য খেলার জগতের নীরজ চোপড়া, ডি গুকেশ, মেরি কম রাও কিন্তু আছেন। রয়েছেন অমিতাভ, শাহরুখ খানরা।
মা দুর্গা যে ক’টা দিন এখানে থাকবেন, সেই কটা দিনের দায়িত্ব সহেলকে দেওয়া হয়েছে। আর এই দায়িত্ব পেয়ে তিনিও খুশি। এর জন্য ক্লাব কর্তৃপক্ষকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন শিল্পী সোহেল।
পুজোর কমিটির কোষাধ্যক্ষ শুভ মুখোপাধ্যায় বলেন, “সোহেলের কী জাত, কী ধর্ম সেটা আমরা দেখিনি। কারণ ওঁর সবচেয়ে বড় পরিচয় হল তিনি একজন শিল্পী। আর শিল্পীর কোনও জাত হয়না। তাঁর পরিচয় তাঁর শিল্প কর্মে।” সোহেল বলেন, “মুসলিম হওয়ার পরও আমায় মণ্ডপ তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমি তো ঋণী।”
বস্তুত, পার্বতী রায় লেনের পুজো এবার ৩৯ বছরে পড়েছে। তার জন্য চলছে শেষ মুহূর্তের সব রকম প্রস্তুতি। মণ্ডপের কাজ প্রায় শেষ। কাপড়ের উপর ছবি এঁকে কাচের টুকরো দিয়ে নক্ষত্র বাহার করা হয়েছে।
