Potato: বৃষ্টি নেই, হওয়ার কোনও পূর্বাভাসও নেই, এবার নতুন সমস্যায় লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতির মুখে আলু চাষিরা
Potato Cultivation: নতুন ভাবে বীজ লাগিয়েও শান্তি নেই। ঘন কুয়াশা আর শীত কমে যাওয়ায় আলুতে নানান পোকা মাকড় হয়ে যাচ্ছে। চাষিরা বলছেন, আবার আলুতে নাভি-ধ্বসা রোগ হয়ে গেলে সবই নষ্ট হয়ে যাবে।
হুগলি: বৃষ্টি নেই। আকাশ মোটামুটি পরিষ্কার। আগামী কয়েকদিনেও বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস দেননি আবহাওয়াবিদরা। তবুও ক্ষতির মুখে আলু চাষিরা। দিনের পর দিন ঘন কুয়াশা ও শীত কমে যাওয়ায় আলু চাষে দেখা দিয়েছে নতুন ‘দোষ’। গাছে পোকার আক্রমণ বাড়ছে। ঘন কুয়াশায় আলু গাছে ক্ষতি হচ্ছে বিস্তর। এক ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই আবারও নতুন সমস্যার মুখে আলু চাষিরা।
একদিকে অকাল বৃষ্টিতে তাঁদের আলু বীজ মাঠেই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। কোনওরকমে ফের ঋণ নিয়ে আবারও আলু বসিয়েছেন আলু চাষিরা। কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়ান তাঁরা। কিছুদিন ভাল আবহাওয়া ছিল। কিন্তু কয়েকদিন ধরে ঘন কুশায়ায় আবারও তাঁদের ক্ষতির সম্মূখীন হতে হবে। সে ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত আলু চাষিরা।
নতুন ভাবে বীজ লাগিয়েও শান্তি নেই। ঘন কুয়াশা আর শীত কমে যাওয়ায় আলুতে নানান পোকা মাকড় হয়ে যাচ্ছে। চাষিরা বলছেন, আবার আলুতে নাভি-ধ্বসা রোগ হয়ে গেলে সবই নষ্ট হয়ে যাবে। তাই ফের মাথায় হাত গোটা আরামবাগ মহকুমা সহ আশপাশের এলাকার অগণিত আলু চাষির।
এক চাষির বক্তব্য, “ঋণ নিয়ে চাষ করেছিলাম। প্রচুর টাকার দেনা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু অসময়ের বৃষ্টিতে সব শেষ হয়ে যায়। ভেঙে পড়েছিলাম। আবার ভগবানের নাম করে বীজ বুনি। এটাই তো সারা বছরের আয়ের সময়। কিন্তু এখন নতুন সমস্যা। শীত সেভাবে পড়লই কই। তার ওপর যা কুয়াশার দাপট। এই আবহাওয়ায় আলু গাছের গোড়ায় পোকা হয়ে যায়। তাতেও চাষের ক্ষতি হয়।” যে সমস্ত চাষিরা ঋণ নিয়ে চাষ করেছিলেন, তাঁদের মাথায় বাজ পড়ছে। জেলা প্রশাসনের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন তাঁরা।
গত কয়েকদিন ধরে কলকাতা-পার্শ্ববর্তী এলাকা ও জেলাগুলিতেও মারাত্মকভাবে কুয়াশা দাপট বেড়েছে। প্রতি বছর অন্তত ডিসেম্বর শেষ থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ, মকর স্নানের সময়ে শীত থাকে বাংলায়। এবার তেমনটা হচ্ছে না। সঙ্গে কুয়াশার চাদরে ডেকেছে আকাশ। স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া। রোদ না ওঠার আলু গাছের গোড়াতেও পোকা হয়ে যাচ্ছে। ফলে আলু চাষিদের অবস্থা যে তিমিরে ছিল, সেই তিমিরেই রয়ে গিয়েছে।