Hooghly: অবসর নিয়েছেন ‘একা কুম্ভ’ শিক্ষিকা, হবে না পুনর্নিয়োগও! তাই বন্ধই হয়ে গেল স্কুল

Hooghly: এ রাজ্যে শিশু শিক্ষা মিশনের কর্মসূচি অনুযায়ী, ১৯৯৭-৯৮ সালে চালু হয় শিশু শিক্ষা কেন্দ্র।মূলত প্রাক প্রাথমিক স্তরের শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্য নিয়ে বামফ্রন্ট সরকার শুরু করে শিশু শিক্ষা কেন্দ্রগুলি।

Hooghly: অবসর নিয়েছেন 'একা কুম্ভ' শিক্ষিকা, হবে না পুনর্নিয়োগও! তাই বন্ধই হয়ে গেল স্কুল
স্কুলের সামনে পড়ুয়ারাImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 09, 2024 | 10:36 AM

হুগলি: স্কুলের একজন শিক্ষিকা। তিনিও অবসর নিয়েছেন। আর তারপর থেকেই বন্ধ হয়েছে পড়াশোনা। স্কুলের দরজায় তালা। আসছে না পড়ুয়ারা। শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ না হলে পুরোপুরিই বন্ধ হয়ে যাবে স্কুল। আশঙ্কা করছেন অভিভাবকরা। দ্রুত শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগের দাবিতে গ্রামের বাসিন্দারা সরব হলেও প্রশাসন জানিয়ে দিল আর কোনও শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগ হবে না ওই স্কুলে। হুগলির হরিপালের কৃষ্ণপুর বেলেরপাড় শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের পঠনপাঠনই এখন স্থগিত।

গত ৩১ ডিসেম্বর অবসর নিয়েছেন একমাত্র শিক্ষিকা। আর গত বছরেই স্কুলে পাট চুকেছে পড়াশোনার। ওই এলাকার বেশিরভাগ পরিবারের সদস্যরাই দিন আনা দিন খাওয়া। বেসরকারি কোনও স্কুলে তাঁদের সন্তানদের ভর্তি করাটাই বিলাসিতার সামিল। এই পরিস্থিতিতে গ্রামের ওই স্কুলটি ভরসা। গ্রামবাসীরা এটাও আশঙ্কা করছেন, ওই স্কুলটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেলে স্কুলের ভবন দুষ্কৃতীদের আখড়ায় পরিণত হবে। বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক কাজকর্মও হতে থাকবে

তবে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হল, আর কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকা নিয়োগ হবে না ওই স্কুলে। তবে ওই স্কুলের পড়ুয়াদের অন্য কোনও স্কুলে ভর্তি করার আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

এ রাজ্যে শিশু শিক্ষা মিশনের কর্মসূচি অনুযায়ী, ১৯৯৭-৯৮ সালে চালু হয় শিশু শিক্ষা কেন্দ্র। মূলত প্রাক প্রাথমিক স্তরের শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্য নিয়ে বামফ্রন্ট সরকার শুরু করে শিশু শিক্ষা কেন্দ্রগুলি। প্রচলিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যে পাঠক্রম রয়েছে তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা হয় এসএসকে-তে। পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠন হয় এমএসকে গুলিতে। রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের অধীন শিশু শিক্ষা মিশন এই কেন্দ্র দুটি চালায়।

জানা গিয়েছে, বাম আমলে ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল হরিপালের কৃষ্ণপুর গ্রামের এসএসকে-টি।বর্তমানে এই স্কুলে ছাত্র ছাত্রীরা সংখ্যা ছিল ৭০-৮০ জন। এতদিন এক জন শিক্ষিকা ও দুজন শিক্ষা কর্মী ছিলেন স্কুলে। গত ৩১ ডিসেম্বর ওই শিক্ষিকা অবসর নেওয়ার পরই বন্ধ হয়ে যায় পড়াশোনা। বন্ধ হয়েছে মিড ডে মিলও। এক প্রকার তালা বন্ধ হয়ে পড়ে আছে স্কুলটি।

যদিও হুগলি জেলা পরিষদের শিক্ষা ও তথ্য সংস্কৃতি দফতরের কর্মাধ্যক্ষ ডঃ সুবীর মুখোপাধ্যায় বলেন, “একটা সময় শিশুদের শিক্ষা মুখি করতে এই ধরণের স্কুল চালু করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে প্রাথমিক স্কুলগুলিতেই ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। সেকারণেই শিশু শিক্ষাকেন্দ্রগুলিতে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগের কোনও চিন্তা ভাবনা নেই সরকারের।” তাঁর বক্তব্য, যে ভাবনা নিয়ে এই শিশু শিক্ষা কেন্দ্র গুলি তৈরি করা হয়েছিল, বর্তমানে তার প্ৰয়োজনীয়তা কমে গিয়েছে। ওই শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে যারা পড়াশোনা করছিল তাদের জন্য অবশ্যই উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।