AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Hooghly: দিদারও জমজ, মায়েরও! এবার স্বপ্না ভাঙলেন পারিবারিক রেকর্ড, কোল আলো করে এল ৩ সন্তান

Hooghly: অঙ্কিত, আদি ,অগ্নিকে দেখতে ভিড় করছেন প্রতিবেশীরা। বাড়িতে উপচে পড়ছে জনতার ঢল। কে আগে ভূমিষ্ঠ হয়েছে আর কে পড়ে তা নিয়েও মানুষের কৌতূহলের অন্ত নেই। খুশির হাওয়া গোটা পরিবারে।

Hooghly: দিদারও জমজ, মায়েরও! এবার স্বপ্না ভাঙলেন পারিবারিক রেকর্ড, কোল আলো করে এল ৩ সন্তান
খুশির হাওয়া পরিবারে Image Credit: TV 9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jan 22, 2025 | 8:06 PM
Share

হুগলি: শুধু জমজ নয়, একসঙ্গে একেবারে তিন সন্তানের জন্ম। তাতেই শোরগোল হাসপাতালে। ১৭ জানুয়ারি সকাল আটটায় পূর্ব বর্ধমানের কালনার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয় হুগলির বৈঁচিগ্রাম পূর্ব পাড়ার বাসিন্দা স্বপ্না ক্ষেত্রপালকে। ওইদিনই বিকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ তিন পুত্র সন্তানের জন্ম দেন স্বপ্না। কয়েকদিন হাসপাতালের ভর্তি ছিলেন। তারপর ফিরে আসেন বাড়িতে। তিন সন্তানের নামও ঠিক হয়ে গিয়েছে। বড় ছেলের নাম অঙ্কিত, মেজ ছেলের নাম আদি, আর ছোট ছেলের নাম অগ্নি। তিন সদ্যজাতকে নিয়েই এখন খুশির হাওয়া পরিবারে। 

স্বপ্নার স্বামী সুব্রত ক্ষেত্রপাল পেশায় দিনমজুর। খুশিতে ভাসছেন তিনিও। তিন পুত্র ঘরে আসতেই গোটা পাড়ায় বিলি করেছেন মিষ্টি। যদিও সুব্রত-স্বপ্না বলছেন, তাঁদের পরিবারে যমজ সন্তান অনেকেরই হয়েছে। বংশ পরম্পরায় তা হয়ে আসছে। স্বপ্নার দিদার দুই মেয়ে ছিল যমজ। আবার স্বপ্নার মা গঙ্গা ক্ষেত্রপালের ছয় সন্তান। তাদের মধ্যে দুই পুত্র সন্তান যমজ। এবার স্বপ্নার কোলে তিন সন্তান! 

অঙ্কিত, আদি ,অগ্নিকে দেখতে ভিড় করছেন প্রতিবেশীরা। বাড়িতে উপচে পড়ছে জনতার ঢল। কে আগে ভূমিষ্ঠ হয়েছে আর কে পড়ে তা নিয়েও মানুষের কৌতূহলের অন্ত নেই। স্বপ্না বলছেন, তিনি যখন দু’মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন তখনই পেটের আলট্রাসনোগ্রাফি করা হয়েছিল। তখনই জানতে পেরেছিলেন পেটে বেড়ে উঠছে তিন সন্তান। যদিও প্রসবের নির্দিষ্ট সময়ের দেড় মাস বাকি থাকতেই অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকেরা। সফলও হয়। সুস্থই আছে তিন ভাই। স্বপ্নার মা গঙ্গা ক্ষেত্রপাল বলছেন, “আমার মায়ের যমজ সন্তান হয়েছিল। আমারও যমজ সন্তান হয়েছিল। এখন আমার মেয়ের তিনটে যমজ সন্তান হয়েছে। তিনটেই ছেলে। নাতিরা ভাল আছে। আমরা খুব খুশি।”