Pandua: ঘর লিখে দেয়নি, রাগে আস্ত গ্যাস সিলিন্ডারই বাবার মাথায় বসিয়ে দিল ছেলে
Allegation of Murder: রোজকার মতো এদিন সন্ধ্যাতেও রান্নাঘরে রান্না করছিলেন ফরিদা বিবি। শেখ বসির এবং তাঁর স্ত্রী নিজেদের ঘরে ছিলেন। বসিরের ছোট ছেলে শেখ মহসীন ভিন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন। এদিনই পাণ্ডুয়ার বাড়িতে ফেরে। আর তারপরেই ঘটে যায় এই ঘটনা।

পান্ডুয়া: সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ। তাতেই চরম পরিণতি বাবার। হুগলি পান্ডুয়ার সাতঘরিয়ার বাসিন্দা শেখ বসির (৬৪)। ছিলেন মানসিক ভারসাম্যহীন স্ত্রীকে নিয়ে। বড় ছেলে আগেই মারা গিয়েছে। সাতঘড়িয়াতেই তাঁর আরও একটি বাড়ি আছে। সেখানেই তাঁর বড় বৌমা ফরিদা বিবি তাঁর দুই ছেলেকে নিয়ে থাকেন। বসির ছোট ছেলেও রয়েছে। কিন্তু সদ্য সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ চরমে ওঠে। প্রতিবেশীরা বলছেন তা নিয়ে প্রায়শই ঝামেলা লেগেই থাকত। কিন্তু তাই বলে যে এই কাণ্ড ঘটে যাবে তা কেউ ভাবতে পারেনি।
রোজকার মতো এদিন সন্ধ্যাতেও রান্নাঘরে রান্না করছিলেন ফরিদা বিবি। শেখ বসির এবং তাঁর স্ত্রী নিজেদের ঘরে ছিলেন। বসিরের ছোট ছেলে শেখ মহসীন ভিন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন। এদিনই পাণ্ডুয়ার বাড়িতে ফেরে। আর ফেরা মাত্রই ফের শুরু হয়ে সম্পত্তি নিয়ে বচসা। সূত্রের খবর, বাবাকে একটি ঘর লিখে দেওয়ার জন্য জোর করতে থাকে মহসীন। বিবাদ চরমে ওঠে। যদিও বসির তা লিখে দিতে অস্বীকার করেন। অভিযোগ, সেই সময়ই ঘরে থাকা গ্যাসের সিলিন্ডার তুলে নিয়ে বাবার মাথায় সজোরে আঘাত করেন। মূহূর্তেই রক্তে ভেসে যায় গোটা ঘর। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বসির।
এদিকে ততক্ষণে চিৎকার চেঁচামেঁচি শুনে ছুটে এসেছেন প্রতিবেশীরাও। খবর চলে যায় থানায়। খবর পাওয়া মাত্রই চলে আসে পান্ডুয়া থানার পুলিশ। তড়িঘড়ি ৬৪ বছরের ওই বৃদ্ধকে উদ্ধার করে পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে দেন। আটক করা হয়েছে অভিযুক্ত শেখ মহসীনকে। একইসঙ্গের পরিবারের অন্য়ান্য সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। শুক্রবার চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে বসিরের দেহের ময়নাতদন্ত হবে বলে জানা যাচ্ছে।
