Hooghly death: কেন এত দেরি হচ্ছে ফোন করতেই এসেছিল সেই খবরটা, ঠাকুর আনতে গিয়ে মৃত্যু ৩ জনের
Hooghly: জানা যাচ্ছে, মৃতদের নাম,ভাস্কর দেবধারা (২৯)। বাড়ি সুগন্ধার শঙ্করবাটি। প্রীতম চক্রবর্তী (৩০) ও স্বপন দে (৪০)। উভয়ের বাড়ি চন্দননগর সুরেরপুকুরে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে প্রথমে চন্দননগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তারপর পোলবা থানার পুলিশ সেখানে যায়।

চন্দননগর: আজ পঞ্চমী। চারিদিকে পুজো পুজো গন্ধ। তারই মধ্যে হুগলি থেকে এল মর্মান্তিক খবর। ঠাকুর আনতে গিয়ে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। মৃত্যু তিনজনের। আহত তিনজন। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির পোলবার অনন্তপুরে।
জানা গিয়েছে পোলবার শঙ্করবাটি গ্রামের সদস্যরা চন্দননগর পটুয়াপাড়া থেকে ঠাকুর আনতে গিয়েছিলেন। এখানকার শঙ্করবাটি হাইস্কুলে প্রতিবছরই দুর্গাপুজো হয়। এবারও তার অন্যথা হয়নি। সেই ঠাকুর আনতে গিয়েই চলে গেল তিনটে প্রাণ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঠাকুরের গাড়ি গ্রামে পৌঁছে গেলেও পিছনে থাকা চারচাকা গাড়িটি তখনো পৌঁছয়নি। সেই গাড়িতে চালক সহ ছয়জন ছিলেন। পুজো কমিটির এক সদস্য জানান,অনেক দেরী হচ্ছে দেখে ওই গাড়িতে থাকা একজনকে ফোন করা হয়। তখনই ফোন ধরে পুলিশ। তিনি জানান দুর্ঘটনা ঘটেছে। খবর পাওয়ার সঙ্গে-সঙ্গে কমিটির সদস্যরা সেখানে পৌঁছান। তাঁদের উদ্ধার করে চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার মধ্যরাতে চন্দননগর রেল ওভার ব্রিজ থেকে নামার সময় রাস্তার পাশে থাকা ইটের স্তুপে সজোরে ধাক্কা মারে চারচাকা গাড়িটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুজনের। চারজনকে গুরুতর আহত অবস্থা উদ্ধার করে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে একজনের মৃত্যু হয়। একজনকে এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাকি দুজনের চিকিৎসা চলছে চুঁচুড়ায়।
জানা যাচ্ছে, মৃতদের নাম,ভাস্কর দেবধারা (২৯)। বাড়ি সুগন্ধার শঙ্করবাটি। প্রীতম চক্রবর্তী (৩০) ও স্বপন দে (৪০)। উভয়ের বাড়ি চন্দননগর সুরেরপুকুরে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে প্রথমে চন্দননগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তারপর পোলবা থানার পুলিশ সেখানে যায়।
যার জমির সামনে ইট রাখা ছিল, তিনি বলেন, “প্রচন্ড গতিতে গাড়িটি এসে ধাক্কা মারে।গাড়িতে মদের বোতল পাওয়া গিয়েছে। সম্ভবত তাঁরা মদ্যপান করেছিলেন।” মৃতদেহ ময়না তদন্ত হবে আজ চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে। ঘটনায় শোকের ছায়া শঙ্করবাটি গ্রামে।।
