Goghat news: পুজোর আগে বিজেপি-তৃণমূল কর্মীরা গ্রেফতার একসঙ্গে, কেন?
Hooghly: পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম অনিমেষ চট্টোপাধ্যায়, জগন্নাথ রায়, তিনকড়ি বিশুই, শান্তি পদ খাঁড়া, রামপদ বিশুই ও রণজিৎ দত্ত। এদের সকলেরই বাড়ি গোঘাটের কোকন্দ এলাকাতেই। জানা গিয়েছে, বিজেপির গোঘাট ২ নম্বর মণ্ডলের ভাইস প্রেসিডেন্ট জগন্নাথ রায়।

গোঘাট: পুজোর আগে জুয়ার আসর থেকে হাতে-নাতে বিজেপি নেতা সহ পাঁচ তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করল গোঘাট পুলিশ (Goghat Police)। ধৃতদের মধ্যে বেশির ভাগই প্রৌঢ়। গোঘাটের কোকন্দের অনিমেষ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে এই জুয়ার আসর চলছিল রমরমিয়ে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গোঘাট থানার পুলিশ অভিযুক্তদের জুয়ার আসর থেকে গ্রেফতার করে। পুজোর আগে এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম অনিমেষ চট্টোপাধ্যায়, জগন্নাথ রায়, তিনকড়ি বিশুই, শান্তি পদ খাঁড়া, রামপদ বিশুই ও রণজিৎ দত্ত। এদের সকলেরই বাড়ি গোঘাটের কোকন্দ এলাকাতেই। জানা গিয়েছে, বিজেপির গোঘাট ২ নম্বর মণ্ডলের ভাইস প্রেসিডেন্ট জগন্নাথ রায়। ধৃতদের বাকি পাঁচ জনই এলাকার তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত। বেশ কয়েকদিন ধরে এই এলাকায় জুয়ার আসর চলছিল। সেই নিয়ে বারবার অভিযোগও আসছিল পুলিশের কাছে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ হানা দেয়। আর হানা দিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে। তাঁদের কাছ থেকে কয়েক হাজার টাকা, ১০৪ টির মত তাস, সহ অন্যান্য কিছু জিনিস উদ্ধার করে পুলিশ। সকলকেই আরামবাগ মহকুমা আদালতে নিয়ে যায় গোঘাট থানার পুলিশ।
তৃণমূল নেতা স্বপন নন্দী বলেন, “পুলিশ সব সময়ই অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। পুলিশকে বলব দলমত নির্বিশেষে অন্যায় করলেই ব্যবস্থা নিক।” আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সম্পাদক দোলন দাস বলেন, “আমি এই বিষয়ে জানি না। তবে যদি কেউ আমাদের দলের কর্মী এই কাজের সঙ্গে যুক্ত হয় অপরাধ প্রমাণিত হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”
