Kanchan Mullick: উত্তরপাড়ায় কাঞ্চন, হাতের পাঁচ আঙুল দেখিয়ে বললেন…
Kanchan Mullick in Uttarpara: কাঞ্চন মল্লিক বলেন, "যেদিন উত্তরপাড়া থেকে বিদায় নেব, সেদিন বিদায় সম্ভাষণে উত্তরপাড়ার মানুষের সম্পর্কে অভিজ্ঞতা বলে দিয়ে যাব।" ছাব্বিশে উত্তরপাড়া থেকে প্রার্থী হবেন কি না, এই নিয়ে তিনি জানান, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিদ্ধান্ত নেবেন।

উত্তরপাড়া: তিনি উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক। তবে তাঁকে এলাকায় দেখা যায় না বলে বারবার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি, শাসকদলের অন্দরেও এই নিয়ে আলোচনা হয়। সেই কাঞ্চন মল্লিককে শনিবার উত্তরপাড়ায় ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান‘ শিবিরে দেখা গেল। এলাকায় তাঁকে দেখতে পাওয়া যায় না বলে যাঁরা সমালোচনা করেন, সেইসব সমালোচকদেরও জবাব দিলেন।
‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ শিবির কেমন চলছে, তা দেখতে কয়েকদিন আগে উত্তরপাড়ায় এসেছিলেন পুর ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সেদিন স্থানীয় বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিককে দেখা যায়নি। উত্তরপাড়ার তৃণমূল কর্মী, কাউন্সিলরদের একাংশের অভিযোগ ছিল, কাঞ্চনকে এলাকায় দেখা যায় না। তাঁকে সিনেমায় শুটিংয়ে দেখা যায়। কিন্তু বিধায়ক হিসাবে উত্তরপাড়ার মানুষ তাঁকে পায় না।
এদিন ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ শিবিরে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে হাতের পাঁচটা আঙুল দেখিয়ে কাঞ্চন বলেন, “হাতের পাঁচটা আঙুল সমান নয়। যাঁরা বলছেন, আমাকে দেখা যায় না, তাঁদের অনুষ্ঠানেও আমি ছিলাম। সেই ছবি গোল গোল দাগ করে দেখিয়ে দিয়ে বলব, এই যে আমি।”
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই একটি সিনেমার শুটিংয়ে দেব, মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে অভিনেতা কাঞ্চন উত্তরপাড়ায় এসেছিলেন। উত্তরপাড়ায় ‘বহিরাগত’ বিধায়ক নিয়ে উত্তরপাড়াবাসী এমনকী শাসকদলের কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ আছে। উত্তরপাড়া নিয়ে তাঁর কেমন অভিজ্ঞতা? এদিন ২০ নম্বর ওয়ার্ডে ওই শিবিরে উপস্থিত হয়ে কাঞ্চন মল্লিক বলেন, “যেদিন উত্তরপাড়া থেকে বিদায় নেব, সেদিন বিদায় সম্ভাষণে উত্তরপাড়ার মানুষের সম্পর্কে অভিজ্ঞতা বলে দিয়ে যাব।” ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি ফের উত্তরপাড়ায় প্রার্থী হবেন কি না, এ নিয়ে অভিনেতা বিধায়ক বলেন, “আমি জানি না। আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহ্বানেই এসেছিলাম। তিনিই ঠিক করবেন।”
‘আমাদের পাডা, আমাদের সমাধান’ শিবিরে কাঞ্চনের আসা নিয়ে সিপিআইএম হুগলি জেলা কমিটির সদস্য আভাস গোস্বামী বলেন, “অবশেষে আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান শিবিরে বিধায়ককে দেখা গেল। এই শিবিরের মাধ্যমে বিধায়ককে খুঁজে না পাওয়ার যে সমস্যা, তার সমাধান হবে কি না জানি না, তবে উত্তরপাড়ার মানুষের যে সমস্যা সেই সমস্যা দূর করতে বিধায়কের কোনও ভূমিকা দেখা যায়নি। রাস্তাঘাটের অবস্থা বেহাল। জল জমার সমস্যা দীর্ঘদিনের। কাঁঠালবাগান এলাকায় একটা আন্ডার পাস বা ওভারব্রিজের দাবি নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করেননি তিনি।”
