Port: এবার বলাগড়ে মিনি বন্দর, কলকাতার চাপ কমাতে জমি পরিদর্শনে আধিকারিকরা
Hooghly: কলকাতা বন্দরে যে সমস্ত কন্টেনার আসে, হুগলি নদীতে জলপথে বার্জের মাধ্যমে বলাগড়ে নিয়ে আসা হবে।
হুগলি: এবার বলাগড়ে (Balagarh) তৈরি হচ্ছে মিনি বন্দর। কয়েকশো কোটি টাকা খরচ করে এই বলাগড় টার্মিনাল প্রজেক্ট করা হচ্ছে। রূপরেখা তৈরি হয়েছে আগেই। যেখানে এই প্রকল্প হচ্ছে, এবার সেই জায়গা ঘুরে দেখল কলকাতা বন্দরের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। বলাগড়ে গঙ্গার ধারে তৈরি হচ্ছে এই প্রকল্প। বলাগড়ের ভবানীপুর চরে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের ৩০০ একর জমি রয়েছে। তার পাশেই রয়েছে সিইএসসির ৩০০ একর জমি। যে জমিতে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র হওয়ার কথা ছিল। ১৯৯৮ সালে সেই কাজ শুরু হয়। তৈরি হয় ব্রিজ, রাস্তা। তবে এরপর ২০০০ সালের প্লাবনে ঘটে বিপত্তি। সেই ব্রিজের একাংশ ভেঙে পড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় রাস্তারও। মাটি পরীক্ষায় গ্রিন সিগনাল না পাওয়ায় তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ স্থগিত হয়ে যায়।
কেন্দ্র সরকারের অধীনে থাকা পোর্ট ট্রাস্ট এবার ভবানীপুর চরে মিনি বন্দর তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে। গঙ্গা থেকে খাঁড়ি পার করে মিলনগড় হয়ে ফের গঙ্গায় মিশেছে। সেখানেই হবে টার্মিনাল। কলকাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দরের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন পিএল হারান্ধ। তিনি এদিন বলাগড়ে যান। পোর্ট ট্রাস্টের অফিসারদের নিয়ে ভবানীপুর চর ঘুরে দেখেন। খুঁটিয়ে দেখেন সাইট ম্যাপও।
তিনি জানান, কলকাতা বন্দরে এখন যে সব কার্গো, কন্টেনার আসে সেগুলি বাইরে যেতে সমস্যায় পরে। কলকাতা বন্দর ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকে। তবে রাস্তা খোলা থাকে ৭-৮ ঘণ্টা। ফলে বড় কন্টেনার যাতায়াতে সমস্যায় পড়ে। সময় লেগে যায় অনেকটা। তাই বলাগড়ে ৩০০ একর জমির উপর তাঁরা নতুন করে প্রকল্পের কাজ করবে।
কলকাতা বন্দরে যে সমস্ত কন্টেনার আসে, হুগলি নদীতে জলপথে বার্জের মাধ্যমে বলাগড়ে নিয়ে আসা হবে। এরপর পণ্য খালি করে ৬ নম্বর রাজ্য সড়ক দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় চলে যাবে। এর জন্য রাস্তা ও ব্রিজও তৈরি করা হবে। এই ‘মিনি বন্দর’ চালু হলে এলাকার উন্নয়নও হবে বলে আশাবাদী তারা। এতে বলাগড়ের হালও বদলে যাবে। আপাতত প্রকল্পটি ‘অ্যাপ্রুভাল’-এর অপেক্ষায়। তা এসে গেলে এক বছরের মধ্যে কাজ শুরু হয়ে যাবে।