Twaha Siddiqui: গোটা বাংলা সাগরদিঘি হবে, যদি না…, তৃণমূলকে সতর্কবার্তা ত্বহা সিদ্দিকির
Hooghly: ইতিমধ্যেই সাগরদিঘির হার নিয়ে ফেসবুকে বিস্ফোরক পোস্ট করেছেন হুগলির আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার।
কলকাতা: সাগরদিঘির উপনির্বাচনে তৃণমূলের পরাজয় নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে বিভিন্ন মহলে। এবার এই হার নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকির (Twaha Siddiqui)। ত্বহা সিদ্দিকির বক্তব্য, বুঝেশুনে প্রার্থী দিতে হবে। আগামী ভোটে বিবেচনা করে প্রার্থী না দিলে সাগরদিঘির মতো অবস্থা হবে গোটা বাংলায়। তাঁর কথায়, যেখানে সংখ্যালঘু বেশি, সেখানে সংখ্যালঘু প্রার্থী দেওয়ার পক্ষেই সওয়াল করেছেন ত্বহা সিদ্দিকি। ত্বহার কথায়, “এটা বুঝতে হবে। যেখানে সংখ্যালঘু শতাংশ বেশি, সেখানে সংখ্যালঘু প্রার্থী দেওয়া উচিত বলে মনে করি। যেখানে হিন্দু শতাংশ বেশি, সেখানে হিন্দু প্রার্থী দেওয়াই উচিত বলে মনে করি। বহুদিন ধরেই এটা নিয়ে সংখ্যালঘুদের ক্ষোভ আছে। কংগ্রেস, সিপিএমও তাই করেছে, তৃণমূলও তাই করছে। যেখানে ৬০-৬৫ শতাংশ মুসলমান, সেখানে কেন হিন্দু প্রার্থী দেব? এটা বোঝার দরকার। আজকে তার জবাব দিয়েছে। যদি সামনের ভোটে বিবেচনা করে প্রার্থী না দেয়, তাহলে সারা পশ্চিমবাংলায় মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির ঘটনা ঘটতে পারে।”
ইতিমধ্যেই সাগরদিঘির হার নিয়ে ফেসবুকে বিস্ফোরক পোস্ট করেছেন হুগলির আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। সাগরদিঘির হারের জন্য দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে সরাসরি তোপ দেগেছেন। তিনি বলেছেন, “সাগরদিঘিতে দলেরই মীরজাফর কাজ করেছে। দলের কিছু বড় মন্ত্রীর অপকর্মের কারণে আমাদের লাল কার্ড দেখতে হয়েছে এবং মাঠের বাইরে। যারা খারাপ কাজ করেছে, যাদের জন্য দলের ভাবমূর্তি খারাপ হয়েছে, যারা দলে থেকে দলের সঙ্গে বেইমানি করে দলকে ছুরি মেরেছে দল তাদের রেড কার্ড দেখিয়েছে।”
এ নিয়ে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, “বিজেপির মতো তৃণমূল ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতি করে না। মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করে না। ২০১১ সালের পর থেকে সব ধর্মের সব বর্ণের মানুষের জন্য একাধারে উন্নয়ন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সমস্ত জনমুখী প্রকল্প সব মানুষের জন্য। ত্বহা সিদ্দিকি তাঁর উপলব্ধি থেকে কিছু বলে থাকতে পারেন। ওনার বক্তব্য নিয়ে আমি কিছু বলব না।”