Anis Khan Death: ‘পুলিশমন্ত্রীর নির্দেশে পুলিশ খুন করেছে আনিসকে’! বিস্ফোরক শুভেন্দু
Anis Khan Death: বাড়ির ছেলেকে মেরে দিয়ে এবার সাসপেন্ড করে কি হবে! আমতা থানার ৩ পুলিশকর্মীর সাসপেনশনের পরেও ক্ষোভে ফুঁসছে আনিস খানের পরিবার।
আনিস রহস্যে ক্রমেই জড়াচ্ছে পুলিশ। ‘ওই রাতে আনিসের বাড়িতে পুলিশই গিয়েছিল’। তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উঠে আসছে তথ্য। আনিসকাণ্ডের তদন্তে নেমে সিট সাসপেন্ড করেছে আমতা থানার ৩ পুলিশকর্মীকে। তবে শুধু সাসপেনশনই যথেষ্ট নয়। দোষীদের চিহ্নিত করে যোগ্য শাস্তি দিতে হবে। সিট তদন্ত সত্ত্বেও সিবিআই তদন্তে অনড় আনিসের দাদা সাবির খান। বাড়ির ছেলেকে মেরে দিয়ে এবার সাসপেন্ড করে কি হবে! আমতা থানার ৩ পুলিশকর্মীর সাসপেনশনের পরেও ক্ষোভে ফুঁসছে আনিস খানের পরিবার।
LIVE NEWS & UPDATES
-
পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে আহত একাধিক পড়ুয়া, বাতিল নবান্ন অভিযান
মঙ্গলবার মহাকরণ অভিযান ঘরি দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়েছে পড়ুয়াদের। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে আহত হয়েছে একাধিক পড়ুয়া। তার জেরে বাতিল করা হয়েছে নবান্ন অভিযান। তবে ধারাবাহিক আন্দোলন জারি থাকবে বলে জানালেন পড়ুয়ারা।
-
সংবাদ মাধ্যমের সামনে সব কথা বলতে মানা! আনিস তদন্তে ফের প্রশ্নের মুখে সিটের ভূমিকা
রাতে মৃত ছাত্রনেতা আনিস খানের (Anis Khan Death) বাড়িতে ফের চলে গেলেন বিশেষ তদন্তকারী দলের সদস্যরা। সঙ্গে রয়েছেন সিআইডি অফিসাররাও। সিআইডি অফিসারদের সঙ্গে নিয়ে সিটের সদস্যরা সোজা ঢুকে যান আনিস খানের বাবার ঘরে। জানা গিয়েছে, তদন্তের জন্য আনিসের মোবাইল দেওয়ার জন্য সরকারিভাবে নোটিস দিতে এসেছেন সিআইডির অফিসাররা। সিআইডি অফিসাররা আনিসের পরিবারকে দশ মিনিট সময় দিয়েছে নোটিস গ্রহণ করার জন্য। শুধু তাই নয় পরিবারের উপর চাপ তৈরির চেষ্টাও করা হয়। বলা হয়, নোটিস গ্রহণ না করা হলে, তা উল্লেখ করে থানায় ডায়েরি করা হবে। এর পাশাপাশি সংবাদ মাধ্যমের সামনে সব কথা না বলার জন্য বলা হয়েছে আনিসের বাবা ও পরিবারকে। সিট ও সিআইডি দলের এ হেন কাজ ঘিরে ফের প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা।
বিস্তারিত পড়ুন : সংবাদ মাধ্যমের সামনে সব কথা বলতে মানা! আনিস তদন্তে ফের প্রশ্নের মুখে সিটের ভূমিকা
-
-
রাতে ফের আনিসের বাড়িতে সিট, ঢুকল ছাত্রনেতার বাবার ঘরে
রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ফের মৃত ছাত্রনেতা আনিস খানের বাড়িতে বিশেষ তদন্তকারী দল। সিট এবং সিআইডির সদস্যরা রাতে আবার আনিসের বাবার ঘরে ঢোকেন।
-
আনিস-কাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন হুমায়ুন কবীর
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আনিস খুনের ঘটনা প্রসঙ্গে খড়গপুরে মুখ খুললেন প্রাক্তন আইপিএস তথা মন্ত্রী হুমায়ুন কবীর। তাঁর বক্তব্য, যা ঘটেছে সেটা অনভিপ্রেত। তাঁর দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন কথা দিয়েছেন এই ঘটনার তদন্ত করবেন, তখন তার ওপর আস্থা রাখা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। সিটের যে সমস্ত অফিসাররা দায়িত্বে রয়েছেন তাঁদেরকে তিনি ব্যক্তিগতভাবে চেনেন, তাঁরা সবাই যোগ্য অফিসার বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।
-
আনিস খুনের প্রতিবাদে আইএসএফের বিক্ষোভ অবরোধ ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি দেগঙ্গায়
আনিস খুনের প্রতিবাদে আইএসএফের বিক্ষোভ অবরোধ ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা চৌমাথায়। পুলিশের সঙ্গে আইএসএফ কর্মীরা ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে। দেগঙ্গা থানার বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থল থেকে অবরোধকারীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। গোটা ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবার বেড়াচাঁপা চন্দ্রকেতুগড় ড. সহিদুল্লাহ স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের মাঠ থেকে টাকি রোড ধরে প্রতিবাদ মিছিল করে দেগঙ্গা ব্লকের আইএসএফ কর্মীরা। বেড়াচাঁপা চৌমাথায় টাকি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে তারা।
আইএসএফ কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। আনিস খুনের প্রতিবাদ মিছিল করার কথা ছিল আইএসএফ কর্মীদের। কিন্তু তাঁরা কোনও অনুমতি ছাড়াই দেগঙ্গা বেড়াচাঁপা চৌমাথায় টাকি রোড অবরোধ শুরু করে। দীর্ঘক্ষণ অবরোধের ফলে বেড়াচাঁপা চৌমাথা প্রায় দেড় ঘণ্টা স্তব্ধ হয়ে যায়।
-
-
রাতভর অবস্থানে প্রেসিডেন্সির পড়ুয়ারা
যাদবপুরের পর আনিস খানের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে অবস্থানে বসলেন প্রেসিডেন্সির পড়ুয়ারা। মঙ্গলবার রাতভর তাঁরা অবস্থানে বসবেন বলে জানিয়েছেন। অবস্থানের মেয়াদ আরও বাড়তে পারে। প্রেসিডেন্সিতে যাচ্ছেন বাম নেতা সৃজন ভট্টাচার্য।
-
মানিকতলায় কংগ্রেসের বিক্ষোভ
মঙ্গলবার মানিকতলায় বিক্ষোভ দেখাল কংগ্রেস। আনিস খানের মৃত্যুর প্রতিবাদে এ দিন বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী সুমিত্রা নিয়োগী, মধুমিতা পাত্র, তপন আগরওয়াল, অজয় পাত্র, কামেশ্বর সিং।
-
হাতে লেখা ‘আনিস খান’, বেছে বেছে গ্রেফতার করল পুলিশ
একাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হল। ছাত্রনেতাদের প্রিজন ভ্যানে তুলে নেওয়ার পর পরিস্থিতি অনকেটা স্বাভাবিক হয়। বিক্ষোভকারীদের অনেকের হাতে লেখা ছিল ‘আনিস খান’, তাঁদের বেছে বেছে তুলে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
-
‘যা বলার সিবিআই-কে বলব’, SIT-এর সদস্যদের সঙ্গে কথা বললেন না আনিসের বাবা
আনিস খানের বাড়িতে গেলেও সিটের তদন্তকারী আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকার করলেন আনিস খানের বাবা সালেম খান। এ দিন তাঁদের বাড়িতে যান সিটের দুই সদস্য ডিআইজি (সিআইডি অপারেশন) মিরাজ খালিদ এবং ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার ধ্রুবজ্যোতি দে। তাঁরা আনিসের বাবার সঙ্গে কথা বলে মূল ঘটনা সম্পর্কে জানতে চান। কিন্তু, আনিসের বাবা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি রাজ্য পুলিশের সঙ্গে কোনও কথা বলবেন না। সিবিআই-এর সঙ্গেই কথা বলতে চাইছেন তিনি। একই কথা জানিয়েছেন আনিসের দাদাও।
বিস্তারিত পড়ুন : Anis Khan Death: ‘যা বলার সিবিআই-কে বলব’, SIT-এর সদস্যদের সঙ্গে কথা বললেন না আনিসের বাবা
-
চুলের মুঠি ধরে ছাত্রনেতাদের প্রিজন ভ্যানে তুলল পুলিশ
কলেজ স্ট্রিটেই ছত্রভঙ্গ ছাত্রদের মিছিল। রাস্তা থেকে একে একে বিক্ষোভকারীদের তুলে নেওয়া হল প্রিজন ভ্যানে। মিছিল আটকাতে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রয়েছে মহিলা পুলিশও। মিছিলে থাকা আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকেও সরে যেতে বলে পুলিশ।
-
অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থানে এসএফআই
আনিস-কাণ্ডের প্রতিবাদে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান বিক্ষোভের ডাক দিল এসএফআই। আনিস-কাণ্ডের প্রতিবাদের রেশ ধরেই এই অবস্থান। যতক্ষণ না বিচার মিলছে, ততক্ষণ অবস্থান চলবে বলে জানানো হয়েছে।
-
এর পিছনে বড় চক্রান্ত রয়েছে: নওসাদ সিদ্দিকি
মিছিলে হাঁটছেন আইএসএফ বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকি। তিনি বলেন, “সিট তিন পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করেছে। কিন্তু কেন করেছে, সেটা বলছে না। ওরা যত নিজেদের আড়াল করার চেষ্টা করছে, ততই ফেঁসে যাচ্ছে। রাত তিনটেয় ফোন করেছে,সকাল ৯টায় এসেছে। টিম রিপোর্ট করেনি, ব্যারিকেড করেনি। এর পিছনে বড় চক্রান্ত রয়েছে। “
-
মিছিলের রুটবদল
ফুঁসছে কলকাতা। পরিকল্পনাবিহীন অন্য রুটে এগোতে থাকে মিছিল। মৌলালিতে ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে থাকে মিছিল। শিয়ালদার দিকে মিছিল এগোতে থাকে। গোটা শহরের প্রাণকেন্দ্র অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। রাস্তায় সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে যায় গাড়ি। মৌলালিতে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় ছাত্রদের। পুলিশ কার্যত নাস্তানাবুদ হয়ে যায়। মিছিলের রুট প্রকাশ্যে বলতে চাইছেন না বিক্ষোভকারী পড়ুয়ারা।
-
আনিসের বাড়িতে বিক্ষোভের মুখে সিট
মঙ্গলবার দুপুরে আনিস খানের বাড়িতে পৌঁছয় সিট। গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন সিটের তদন্তকারী আধিকারিকরা। বাড়ির ভিতরে মিডিয়াকেও ঢুকতে দিতে হবে, এই দাবিতে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। আনিস খানের বাড়ির বাইরে উত্তেজনা।
-
বুধে নবান্ন অভিযান, পথে ‘আজাদি’ স্লোগান
বুধবার ফের নবান্ন অভিযানের ডাক আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের। আনিসকাণ্ডে পথে নেমে প্রতিবাদ। ছাত্র মৃত্যুতে এবার শহর কলকাতার পথে আজাদি স্লোগান। ব্যানার, পোস্টারে ছয়লাপ তিলোত্তমা।
-
দফায় দফায় রাস্তায় শুয়ে বিক্ষোভ
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুটি মিছিল বেরিয়েছে। দুটি মিছিলেরই গন্তব্য ডোরিনা ক্রসিং, রুট ভিন্ন। একটি মিছিল পার্কস্ট্রিট থেকে মৌলালির দিকে এগোচ্ছে। আরেকটি মিছিল এসএন ব্যানার্জি রোডে আছে। তৎপর পুলিশ প্রশাসনও। মিছিল রুখতে তিন জায়গায় ব্যারিকেড। মিছিলে অবরুদ্ধ মৌলালি। এসএন ব্যানার্জি রোডেও ব্যারিকেড। ডোরিনা ক্রসিংয়েও ব্যারিকেড করেছে পুলিশ। দফায় দফায় রাস্তায় শুয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন পড়ুয়ারা। বিক্ষোভের জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে মৌলালি, ধর্মতলা। মিছিল রুখতে ব্যারিকেড, জলকামান নিয়ে প্রস্তুত রয়েছে পুলিশও।
-
রাজ্যের ওপর ভরসা নয়! আনিসের বাড়িতে গিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন উমর খালিদের বাবা
দিল্লিতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (CAA) বিরুদ্ধে যে বিক্ষোভ হয়েছিল, তার অন্যতম মুখ ছিলেন উমর খালিদ (Umar Khalid)। ইউএপিএ (UAPA) বা দেশদ্রোহিতার মামলায় জেলে যেতে হয় জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (JNU) ওই প্রাক্তন ছাত্রকে। আর এবার হাওড়ার আমতায় আনিস খানের (Anis Khan) মৃত্যুতেও উঠছে একই প্রশ্ন। সিএএ- বিরোধী আন্দোলনের মুখ ছিলেন আনিসও। তাই আনিসের মৃত্যুর বিচার চেয়ে এবার তাঁর বাড়িতে এলেন উমর খালিদের বাবা। মঙ্গলবার সকালে আনিস খানের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন উমর খালিদের বাবা সৈয়দ কাসিম রসুল ইলিয়াস। এ দিন তিনি সাফ জানান, রাজ্য সরকারের ওপর ভরসা করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে তদন্ত করানো উচিৎ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিস্তারিত পড়ুন: রাজ্যের ওপর ভরসা নয়! আনিসের বাড়িতে গিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন উমর খালিদের বাবা
-
ফুঁসছে কলকাতা, মিছিল রুখতে ৩ জায়গায় ব্যারিকেড
আনিস মৃত্যুতে ফুঁসছে কলকাতা। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুটি মিছিল বেরিয়েছে। দুটি মিছিলেরই গন্তব্য ডোরিনা ক্রসিং, রুট ভিন্ন। একটি মিছিল পার্কস্ট্রিট থেকে মৌলালির দিকে এগোচ্ছে। আরেকটি মিছিল এসএন ব্যানার্জি রোডে আছে। তৎপর পুলিশ প্রশাসনও। মিছিল রুখতে তিন জায়গায় ব্যারিকেড। মিছিলে অবরুদ্ধ মৌলালি। এসএন ব্যানার্জি রোডেও ব্যারিকেড। ডোরিনা ক্রসিংয়েও ব্যারিকেড করেছে পুলিশ।
-
বাড়ছে আন্দোলনের ঝাঁঝ
আনিস রহস্যে রাজ্য জুড়ে চলছে প্রতিবাদ। বাড়ছে আন্দোলনের ঝাঁঝ। আজ মহাকরণ অভিযানে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে সিআইটি রোড ধরে মৌলালি মোড়ে প্রতিবাদ হবে। মিছিল হবে এসএন ব্যানার্জি রোড ধরে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত।
-
২ পুলিশকর্তাকে ভবানীভবনে
আনিস মৃত্যু রহস্যে ২ পুলিশ কর্তাকে ভবানীভবনে ডাকা হয়েছে। তাঁদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছিল, তা ভালোভাবে খতিয়ে দেখতে চাইছেন সিটের তদন্তকারীরা।
-
সিবিআই তদন্তে অনড় পরিবার
আনিসকাণ্ডের তদন্তে নেমে সিট সাসপেন্ড করেছে আমতা থানার ৩ পুলিশকর্মীকে। তবে শুধু সাসপেনশনই যথেষ্ট নয়। দোষীদের চিহ্নিত করে যোগ্য শাস্তি দিতে হবে। সিট তদন্ত সত্ত্বেও সিবিআই তদন্তে অনড় আনিসের দাদা সাবির খান।
-
‘সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন’, আনিসের বাড়িতে উমর খালিদের বাবা
আনিসের বাড়িতে আসেন দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উমর খালিদের বাবা। এনআরসি-সিএএ আন্দোলনের মুখ তিনি। তাঁর বাবা এদিন নিহত ছাত্র আনিসের বাড়িতে আসেন। তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, “এনআরসি-সিএএ আন্দোলন দেশব্যাপী আন্দোলন। আমাদের অনেক ব্রাইট নেতা এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। অনেক নেতাকে দিল্লিতে গ্রেফতার করে জেলে ভরা হয়েছে। আমরা লড়ছি। আনিস এনআরসি- বিরুদ্ধে লড়েছিল। ওকে রাতে বাড়িতে ঢুকে ঠেলে ফেলে দেওয়া অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। আমরা বলতে এসেছি, আপনারা একা নন, আমরাও এই লড়াইয়ে সামিল। এক্ষেত্রে সিবিআই তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। “
-
তিন পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড!
ঘুরে গেল আনিসকাণ্ডের মোড়! আমতা থানার তিন পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করল সিট। গাফিলতির অভিযোগে তিন পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কনস্টেবল, এএসআই ও এক হোমগার্ড। এএসআই নির্মল দাস, কনস্টেবল জিতেন্দ্র হেমব্রম, হোমগার্ড কাশীনাথ বেরাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সিটের তদন্তে উঠে আসছে আরও বড় চাঞ্চল্যকর তথ্য। ঘটনার দিন আনিসের বাড়িতে গিয়েছিল পুলিশই। প্রাথমিক তদন্তে তেমনটাই জানতে পারছে সিট। কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করা হচ্ছে। যে তিন পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হচ্ছে, তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ কী? জানা যাচ্ছে, ঘটনার দিন আনিসের বাবা যখন ওই তিন পুলিশ কর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন, তাঁরা নির্লিপ্ত ছিলেন। তাঁরা ঘটনাস্থলে যেতে দেরি করেন। তদন্ত গতি সেখানে রুদ্ধ হয়েছে। বিষয়টি তদন্তে জানতে পেরেছে সিটও।
বিস্তারিত পড়ুন: AMTA Student Death: আনিসের বাড়িতে ওই রাতে গিয়েছিল পুলিশই! সাসপেন্ড আমতা থানার ৩ পুলিশ কর্মী
-
আমতা কাণ্ডে রাতভর জেরা পুলিশকে
আনিস কাণ্ডে আমতা থানার পুলিশকে সোমবার রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তদন্তকারী পুলিশদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন সিটের দুই শীর্ষ আধিকারিক। ঘটনার দিন কারা কারা ডিউটিতে ছিলেন, তৈরি করা হয় একটি তালিকা। তাঁদের প্রত্যেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় থানার ওসিকেও। সোমবার রাত সাড়ে দশটার মধ্যে সিটের ডিআইজি সিআইডি অপারেশন মিরাজ খালিদ, বারাকপুর কমিশনারেটের যুগ্ম কমিশনার ধ্রুবজ্যোতি দে-র তদন্তকারী দল নিয়ে আমতা থানায় পৌঁছন।
-
পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
আনিস কাণ্ডে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছিল একাধিক প্রশ্ন। ১৯ তারিখ অভিযোগ জানানোর পর পুলিশ কি আদৌ আনিসের মিসিং মোবাইল খোঁজার চেষ্টা করেছিল? করলে পুলিশ আগেই জানতে পারত, মোবাইল আনিসের বাড়িতেই আছে। একুশ তারিখ পরিবারের লোকজন না বলা পর্যন্ত পুলিশ জানতেই পারল না মোবাইল বাড়িতে। মোবাইল ট্রাক করল না কেন পুলিশ?
দ্বিতীয়ত, কেন তিনদিন কেটে যাওয়ার পরও পুলিশ স্কেচ তৈরি করল না? আনিসের বাবা বার বার বলছেন ওই রাতে যারা এসেছিল তাদের দেখলে চিনতে পারবেন। সেক্ষেত্রে অভিযুক্তদের শণাক্তকরণের কেন চেষ্টা হল না? আনিসের গ্রামে ঢোকার রাস্তায় সিসিটিভি আছে। কেন পুলিশ সেই ফুটেজ চেক করল না। তাহলে জানা যেত ওই রাতে কারা গ্রামে ঢুকেছিল?
প্রশ্ন হচ্ছে, কেন গ্রামের এক সিভিক ভলেন্টিয়ার ঘটনার পর নিজে থেকে মন্ত্যব্য করলেন, যে আনিস আত্মহত্যা করেছেন।
Published On - Feb 22,2022 12:39 PM