Howrah: ‘স্বামীরা মদ খেয়ে মারধর করে, দিদির দেওয়া লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা দিয়ে সংসার চালাই…’,হাতে লাঠি নিয়ে ফের রাস্তায় মহিলারা
Howrah: ঘটনাটি হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের মুন্সিরহাটের নবাসন এলাকার ঘটনা। এলাকায় বেআইনি মদের ঠেক চলছিলো দীর্ঘদিন ধরে। গ্রামের মহিলাদের অভিযোগ, পুলিশকে জানিয়েও কাজ হয়নি। তাঁদের দাবি, মদের নেশায় সর্বশান্ত হচ্ছে গ্রামের পুরুষরা।

হাওড়া: পরনে শাড়ি। কারোও আঁচল দিয়ে ঢাকা মুখ। আর প্রত্যেকের হাতে লাঠি-বাঁশ। সেই নিয়েই পথে নামলেন মহিলারা। গ্রামের মেঠো পথে একের পর এক ঘাটি ভাঙচুর করছে তাঁরা। কিন্তু কেন? আসলে একের পর এক বেআইনি মদের ঘাঁটি ভেঙে উড়িয়ে দিচ্ছে তাঁরা। শুধু তাই নয়, মদের ঠেক ভেঙে আগুন ধরিয়ে দেন মহিলারা। এলাকার মহিলাদের দাবি, চোলাই মদ খেয়ে তাঁদের স্বামীরা বাড়িতে ফেরেন। আর রোজ অশান্তি করেন। মারধর করেন। সেই কারণে মদের ঘাঁটি ভেঙেছেন তাঁরা।
ঘটনাটি হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের মুন্সিরহাটের নবাসন এলাকার ঘটনা। এলাকায় বেআইনি মদের ঠেক চলছিলো দীর্ঘদিন ধরে। গ্রামের মহিলাদের অভিযোগ, পুলিশকে জানিয়েও কাজ হয়নি। তাঁদের দাবি, মদের নেশায় সর্বশান্ত হচ্ছে গ্রামের পুরুষরা। এরপরই আজ বাঁশ লাঠি হাতে চড়াও হন তাঁরা। ভেঙে দেয় মদের ঠেক। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।
গ্রামবাসী আলপনা মণ্ডল বলেন, “স্বামীরা মদ খেয়ে বাড়িতে গিয়ে মারধর করে। বাচ্চাদের দেখে না। স্কুলে বাচ্চাদের পড়ানোর টাকা দেয় না। আমরা কোথা থেকে পাব। দিদি লক্ষ্মীর ভান্ডার দেয় সেইটা দিয়েই কোনও রকম সংসার চালাই।আমরা চাইছি মদ যেন উঠে যায়।”
