School Student: ইচ্ছে অভিনেত্রী হবে, এরপরই বাড়ি পালিয়ে মুর্শিদাবাদের তিন পড়ুয়ার অবাক করা কীর্তি…
Howrah: বৃহস্পতিবার শালিমার থেকে ট্রেন ধরে মুম্বই যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। সেইমতো সকালে স্টেশনে পৌঁছয়। এরপরই জিআরপি ও সাঁতরাগাছি থানার পুলিশের নজরে পড়ে। পুলিশ জানিয়েছে, সন্ধ্যা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ চলে।
হাওড়া: সিনেমায় দেখা যায় এমন গল্প। রূপোলি পর্দার নায়িকাদের দেখে চোখে ধাঁধা লাগে। তাতেই বাড়ি ছেড়ে মুম্বই কিংবা কলকাতার পথে পাড়ি দেয় বাড়ির কোনও কিশোরী। এরপর গল্প যত এগোয়, সেই কিশোরীর জীবনেও শুরু হয় ওঠাপড়া। পদে পদে নানা বিপদের পদচারণ। হাওড়ার শালিমার স্টেশন থেকে উদ্ধার হওয়া তিন কিশোরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ যে কথা শুনল, হবহু যেন সিনেমার প্লট। নায়িকা হবে বলে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিল মুর্শিদাবাদের তিন স্কুল পড়ুয়া। যাচ্ছিল মুম্বই, বলিউডে কাজ করবে বলে।
মুর্শিদাবাদেই ওই তিন স্কুল ছাত্রীর বাড়ি। একই স্কুলে পড়ে তিনজন। জানা গিয়েছে, নায়িকা হওয়ার ইচ্ছা তাদের। সোশ্যাল মিডিয়ায় সারাক্ষণ এ নিয়েই ঘাটাঘাটি করে চলে। সেখান থেকেই যোগাযোগ পেয়ে মুম্বই যাওয়ার পরিকল্পনা করে তারা। শুনেছিল, মুম্বই গেলে বলিউডে কাজের সুযোগ আসে। এরপরই গত ৫ সেপ্টেম্বর স্কুলব্যাগে কিছু জামাকাপড়, সাজের জিনিস আর সামান্য টাকা নিয়ে সোজা উঠে পড়ে ট্রেনে। এসে পৌঁছয় হাওড়া।
বৃহস্পতিবার শালিমার থেকে ট্রেন ধরে মুম্বই যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। সেইমতো সকালে স্টেশনে পৌঁছয়। এরপরই জিআরপি ও সাঁতরাগাছি থানার পুলিশের নজরে পড়ে। পুলিশ জানিয়েছে, সন্ধ্যা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ চলে। হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি সাউথ প্রতীক্ষা ঝারখারিয়া জানান, কেউ এই ছাত্রীদের অভিনয়ের সুযোগ করে দেবে বলেছিল। এদের গান গাওয়ানোরও প্রলোভন দেখায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই প্রলোভনের শিকার হয়ে বাড়ি থেকে পালানোর চেষ্টা করে তারা।
মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের কাছে খবর পেয়েই এদিন শালিমার স্টেশনে জিআরপি ও সাঁতরাগাছি থানার পুলিশ পড়ুয়াদের ধরে। প্রসঙ্গত, তিন ছাত্রীর পালিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়ার পরই মুর্শিদাবাদের পুলিশ রাজ্যের প্রতিটি থানাকে সতর্ক করেছিল। এদিন মুর্শিদাবাদের শক্তিপুর থানার পুলিশের হাতে তিন ছাত্রীকে তুলে দেওয়া হয়।