Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

আবাসনের ভিতরেই কার্যালয় খুলে ফেললেন তৃণমূল বিধায়ক, তুমুল উত্তেজনা সাঁকরাইলে

Howrah: বিধায়কের দাবি, আবাসন মালিকের অনুমতি নিয়ে তাঁর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েই এই কার্যালয় করা হয়েছে।

আবাসনের ভিতরেই কার্যালয় খুলে ফেললেন তৃণমূল বিধায়ক, তুমুল উত্তেজনা সাঁকরাইলে
নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 09, 2021 | 7:46 PM

হাওড়া: আবাসনের ভিতরেই তৃণমূল বিধায়কের কার্যালয়। এই ঘটনা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল সাঁকরাইলের চাঁপাতলা। বিধায়ক প্রিয়া পালের উপস্থিতিতেই সেই কার্যালয়ের বাইরে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে এই ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীস সমর্থকরা বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন। পরিস্থিতি ঘোরাল হয়ে ওঠায় খবর দেওয়া হয় সাঁকরাইল থানায়। পুলিশ গিয়ে বেশ কয়েকজনকে প্রাথমিক ভাবে আটক করলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়। যদি পরে আটক প্রত্যেককেই ছেড়ে দেওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়কের দাবি, আবাসনের মালিকের অনুমতি নিয়েই এই কার্যালয় তিনি খুলেছেন।

ঘটনার সূত্রপাত সোমবার সকালে। এদিন চাঁপাতলার একটি আবাসনের এক তলায় তৃণমূল বিধায়ক প্রিয়া পালের একটি কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়। বিধায়কের অভিযোগ, বিজেপির স্থানীয় কর্মীরা হঠাৎই ওই কার্যালয়ে গিয়ে চড়াও হন। সেখানে কার্যালয় খোলায় আপত্তি তোলেন। এমনকী বিধায়ক যখন ওই নতুন কার্যালয়ে যান, তখন তাঁকে আটকে রাখা হয় বলেও অভিযোগ তোলেন প্রিয়া। এর পরই তিনি সাঁকরাইল থানায় স্থানীয় বিজেপি নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। ৬ তলা ওই আবাসনে প্রায় ২২টি পরিবার থাকে।

এদিকে ওই আবাসনেরই একটি ফ্ল্যাটে থাকেন চাঁপাতলা বিজেপির মণ্ডল সভাপতি সুমনা সেনগুপ্ত। তিনিই প্রথম তৃণমূলের ওই কার্যালয়টি তৈরিতে আপত্তি তোলেন বলে অভিযোগ। সুমনার দাবি, সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে ওই আবাসনের গ্যারাজের ভিতরে জোর করে তৃণমূল দলীয় কার্যালয় করতে চাইছিল। তাতেই আবাসিকরা বাধা দেন। বিজেপি মণ্ডল সভাপতির দাবি, ওই গ্যারাজটি ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের বাইক ও গাড়ি রাখার জন্য তৈরি হয়েছে। সেখানে কেউ চাইলে অফিস খুলতে পারে না। আবাসিকরাই প্রতিবাদ জানায়। আবাসনের ভিতরে দলীয় কার্যালয় কীভাবে করা যায় সেই প্রশ্নই তোলেন সুমনা।

যদিও বিধায়ক প্রিয়া পাল জানান, আবাসনের মালিকের অনুমতি নিয়ে তাঁর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েই এই কার্যালয় করা হয়েছে। জোর করে কিছুই করা হয়নি। প্রিয়ার কথায়, সাধারণ মানুষের জন্য বিজেপি কাজ করতে দিতে চাইছে না। সে কারণেই এ ভাবে বাধা দিচ্ছে। এই প্রসঙ্গে হাওড়া জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান অবশ্য জানান, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। আরও পড়ুন: কলকাতা পুরসভায় ফের দেবাঞ্জনকাণ্ডের ছায়া! নিয়োগপত্র নিয়ে হাজির প্রার্থীরাই ধরাল ‘প্রতারক’কে