Jagannath Temple in Digha: দিঘায় প্রস্তাবিত জগন্নাথ মন্দিরে কী থাকবে পুরীর মহাত্ম্য? কী বলছেন পর্যটকেরা?
Jagannath Temple in Digha: দিঘায় জগন্নাথ মন্দির তৈরি হলেও পুরীর মন্দিরের মাধুর্য,শৈল্পিক নৈপুণ্যতা, ভক্তি-শ্রদ্ধা কী আদৌ এখানে টেনে আনা সম্ভব? কী বলছেন পর্যটকরা?
দিঘা: সপ্তাহান্তের ছোট্ট ছুটিতে আজকাল বাঙালির অন্যতম প্রিয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে দিঘা (Digha)। সঙ্গে রূপের মাধুর্যে মন ভোলাচ্ছে শংকরপুর, তাজপুর,মন্দারমনি সহ একাধিক সমুদ্র সৈকত। এই দিঘাতেই পুরীর আদলে জগন্নাথ মন্দির (Jagannath Temple of Puri) করার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিগত দিনে জেলা সফরে এসে তিনি ঘোষণা করেছিলেন ওড়িশার পুরীর আদলে দিঘায় তৈরি হবে জগন্নাথ ধাম। ফলে দিঘার মতো সৈকত শহরের মান,সৌন্দর্য্য আরও বাড়বে বলেই মনে করেছিলেন অনেকে। একইসঙ্গে আরও আকর্ষণ বাড়বে ভ্রমণ পিপাসুদের। শুরু হয়ে গিয়েছে প্রাথমিক কাজও। কিন্তু তারপরেও থেকে গিয়েছে কিছু প্রশ্ন।
এদিকে বিগত কয়েক বছরে একের পর এক ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়েছে দিঘা। তবে তারপর প্রশাসনের তৎপরতায় ক্ষয়ক্ষতি ঠেকিয়ে নতুন করে রূপ ফিরে পেয়ছে সৈকত সুন্দরী। যে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল তার মেরামত করে আবারও নবরূপে পর্যটকদের কাছে ফিরিয়েছে রাজ্য সরকার । কাজের গতি দেখিয়েছে দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ। কিন্তু, জগন্নাথ মন্দির তৈরি হলেও পুরীর মন্দিরের মাধুর্য,শৈল্পিক নৈপুণ্যতা, ভক্তি-শ্রদ্ধা কী আদৌ এখানে টেনে আনা সম্ভব? কী বলছেন দিঘায় আগত পর্যটকেরা?
এ প্রসঙ্গে দিঘায় আগত পর্যটক সুচরিতা ঘটক বলেন, “সরকারের এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে আমি সহমত নই। জগন্নাথ ধাম তো কোনও বাণিজ্যিক বিষয় নয় যে তা যে কোনও জায়গায় তৈরি করা যাবে। পুরীর মন্দির একটা ঐতিহ্য। জগন্নাথ দেবকে আমরা মহাপ্রভু বলি। ওনাকে আপনি যে কোনও জায়গায় নিয়ে এসে স্থাপন করতে পারেন না”। এ প্রসঙ্গে কলকাতা থেকে আগত আর এক পর্যটক চিত্রা ঘটক বলেন, “পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সঙ্গে অনেক আবেগ জড়িয়ে আছে। কিন্তু, দিঘার এখন অনেক বেশি বাণিজ্যিকীকরণ হয়ে গিয়েছে। সেই বাণিজ্যিকীকরণের ফসল হিসাবে যদি এখানেও জগন্নাথ মন্দির তৈরি হয় তাহলে সেটা কতটা ঠিক সে প্রশ্ন থেকে যায়”। এ প্রসঙ্গে হাওড়া থেকে দিঘায় আগত পর্যটক অপরূপ ভট্টাচার্য বলেন, “আমি অবশ্যই পুরীর জগন্নাথ মন্দিরকে এ ক্ষেত্রে এগিয়ে রাখব। কারণ, সব কিছুর একটা আদি বা সনাতন ব্যাপার থাকে। যেটা আজকে যুগ যুগ ধরে রয়েছে সেটাকে অনুকরণ করে আজকে যদি নতুন কিছু তৈরি করা হয় সেখানে সনাতন ব্যাপরটা থাকে না”।