Dhupguri: হঠাৎ এসে গুঁতো মারল গরু, ফুটন্ত তেলের কড়াইয়ে পড়ে আহত ৪
চারজনকেই স্থানীয়রা তড়িঘড়ি উদ্ধার করে ধূপগুড়ি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকেরা জানান, আলিজা বিবির শরীরের বিভিন্ন অংশে এবং তাঁর স্বামীর পায়ে গুরুতরভাবে দগদগে পোড়া ঘা হয়েছে। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উঠেছে বড় প্রশ্ন।

ধূপগুড়ি: ভয়াবহ দুর্ঘটনা জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে। পুজোর বাজার করতে এসে দুর্ঘটনার শিকার চারজন। ফুটন্ত তেলের কড়াইতে পড়ে গুরুতর আহত হলেন তাঁরা। তুমুল হইচই শুরু হয়েছে সেখানে।
জানা গিয়েছে,পুজোর বাজার করতে এসে ভয়াবহ দুর্ঘটনার মধ্যে পড়েন তাঁরা। রাস্তার ধারে ফুটন্ত তেলের কড়াইয়ে পড়ে গুরুতরভাবে আহত হলেন চারজন। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ধূপগুড়ি শহরে। আহতদের মধ্যে দু‘জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। তাঁরা হলেন আলিজা বিবি ও মহিররুদ্দিন মিঞা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধূপগুড়ি বাজার থেকে থানার দিকে যাওয়ার ব্যস্ততম রাস্তায় ফুটপাতজুড়ে বসে চপ-সিঙারার দোকান। বেআইনি ভাবে এই দোকানগুলি চলছে বলেই জানান এলাকার বাসিন্দারা। সেই রকমই এ দিন গ্যাস সিলিন্ডার বসিয়ে খোলা আকাশের নিচে উনুনে ফুটন্ত তেলে ভাজার কাজ চলছিল। এক দোকানদার সিঙারা ভাজছিলেন। হঠাৎই এক গরু মহিলাকে শিং দিয়ে গুঁতো দেয়। তখনই তিনি ও তাঁর স্বামী ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যান ওই দোকানের তেলের কড়াইয়ের উপর। মুহূর্তের মধ্যে ফুটন্ত তেল ছিটকে পড়ে তাঁদের শরীরে ও পায়ে। সঙ্গে আহত হন দোকানের দুই কর্মচারীও।
চারজনকেই স্থানীয়রা তড়িঘড়ি উদ্ধার করে ধূপগুড়ি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকেরা জানান, আলিজা বিবির শরীরের বিভিন্ন অংশে এবং তাঁর স্বামীর পায়ে গুরুতরভাবে দগদগে পোড়া ঘা হয়েছে। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উঠেছে বড় প্রশ্ন। স্থানীয়দের অভিযোগ, শহরের বিভিন্ন রাস্তায় অবৈধভাবে ফুটপাতে গ্যাস উনুন বসিয়ে খাবার বিক্রি হলেও পৌর কর্তৃপক্ষ বা পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করছে না। এর আগে একইভাবে একটি শিশু আহত হয়েছিল ঠিক এমনই এক দোকানে পড়ে। তবু নজরদারির অভাবেই ফের ঘটল বড়সড় দুর্ঘটনা।
ধূপগুড়ি পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য রাজেশ কুমার সিং বলেন, “ঘটনা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমরা ওঁর সুস্থতা কামনা করি। আমরা ওঁর পাশে থাকব। আর পুরসভা কখনও বেআইনি কাজে অনুমতি দিই না। যদি দোকানদার বলে পুরসভা অনুমতি দিয়েছে, তাহলে বিষয়টির তদন্ত করব। অনুমতির লিখিত কপি আমাদের দেখাতে বলুন।”
