CPIM: ‘কোথায় পুনর্বাসন? শুধুই কাটমানি!’ দিন বাজারে দোকান ভাঙতেই গর্জে উঠল সিপিএম
CPIM: পাল্টা সুর চড়িয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়। বলেন, “ওনার এই সব মন্তব্য আমাদের কাছে গুরুত্বহীন। সিপিএম এখন কমতে কমতে ৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আগামী ২৬ এর নির্বাচনে ১ শতাংশে চলে যাবে। তাই এদেরকে আমরা গুরুত্ব দিতে নারাজ।”
জলপাইগুড়ি: বাজার সংস্কারের নামে ঠিকাদারের পেট ভরিয়ে ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করছে তৃণমূল পরিচালিত পৌর বোর্ড। প্রতিবাদে পথে নামল সিপিএম। চলল বিক্ষোভ প্রদর্শন। জলপাইগুড়ি জেলার অন্যতম প্রাচীন বাজার দিন বাজার। বামেদের অভিযোগ, বাজার সংস্কারের নামে জলপাইগুড়ি পৌর বোর্ড দিন বাজারের ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন ছাড়াই জায়গা খালি করার নির্দেশ দিয়েছে। একইসঙ্গে ইতিমধ্যেই কিছু দোকান ভেঙে দিয়েছে। তাতেই ব্যবসায়ীদের মধ্য়ে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
এদিন বিকালে দিন বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দেখা করেন সিপিএমের নব নির্বাচিত জেলা সম্পাদক পীযূষ মিশ্র। পুর্নবাসন ছাড়া যাতে কেউ উঠে না যান সে কথাও বলেন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “বর্তমান পৌর বোর্ড ঠিকাদারের পেট ভরাচ্ছে। অপরিকল্পিত ভাবে বিল্ডিং নির্মাণ করে কাটমানি নিচ্ছে। আমরা চাই উপযুক্ত গাইড লাইন মেনে বাজার তৈরি করে সেখানে ব্যাবসায়ীদের পুনর্বাসন দিতে হবে। নইলে কোনও ব্যাবসায়ী যাতে জায়গা না ছাড়ে সেই ব্যাপারে সচেতন করা হয়েছে। আমরা এদের পাশে আছি।” এখানেই না থেমে সুর আরও চড়িয়ে বলেন, “ইচ্ছেমতো সরকারি অর্থ ব্যয় হবে আর ঠিকাদার সংস্থার আর্থিক লাভ হবে এইসব বরদাস্ত করা হবে না। ব্যবসায়ীদের ক্ষতি যাতে না হয় পৌর কতৃপক্ষকে সেদিকে নজর দিতে হবে।আমাদের সমস্ত বিষয়ে নজর আছে।”
এই খবরটিও পড়ুন
পাল্টা সুর চড়িয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়। বলেন, “ওনার এই সব মন্তব্য আমাদের কাছে গুরুত্বহীন। সিপিএম এখন কমতে কমতে ৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আগামী ২৬ এর নির্বাচনে ১ শতাংশে চলে যাবে। তাই এদেরকে আমরা গুরুত্ব দিতে নারাজ।” প্রসঙ্গত, গত ২৩ ডিসেম্বর দিন বাজারে পুলিশ নিয়ে গিয়ে একাধিক দোকান ভেঙে দেয় পৌর কর্তৃপক্ষ। এর প্রতিবাদে ২৪ ডিসেম্বর বাজারে ধর্মঘটেরও ডাক দিয়েছিল ব্যবসায়ীরা।