Dhupguri: মাত্র ৮ শতাংশ দিয়েছে, ২০ শতাংশ বোনাসের দাবিতে বিক্ষোভে চা শ্রমিকরা
Dhupguri Tea Garden: প্রায় ২,৭০০ শ্রমিক কাজ করেন বাগ্রাকোট চা বাগানে। তাঁদের অভিযোগ, রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই শ্রমিকদের ২০ শতাংশ বোনাস প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু বাগান কর্তৃপক্ষ সেই নির্দেশ মানছেন না। ৮.৩৩ শতাংশ বোনাস দিয়েছে মাত্র।

ধূপগুড়ি: বকেয়া মজুরি ও ২০ শতাংশ বোনাসের দাবিতে মালবাজারের ওদলাবাড়িতে ১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বাগ্রাকোট চা বাগানের শ্রমিকদের বিক্ষোভ।পুজো যতই এগিয়ে আসছে, ডুয়ার্সের চা বলয়ে ততই বাড়ছে উত্তেজনা। বানারহাটের পর এবার বাগ্রাকোট চা বাগানেও বোনাস ও বকেয়া মজুরির দাবিতে পথে নামলেন শ্রমিকরা। বুধবার সকাল থেকেই ওদলাবাড়ির মিনা মোড় এলাকায় ১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। এর জেরে মালবাজার থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ ব্যহত হয়।
প্রায় ২,৭০০ শ্রমিক কাজ করেন বাগ্রাকোট চা বাগানে। তাঁদের অভিযোগ, রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই শ্রমিকদের ২০ শতাংশ বোনাস প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু বাগান কর্তৃপক্ষ সেই নির্দেশ মানছেন না। ৮.৩৩ শতাংশ বোনাস দিয়েছে মাত্র। উপরন্তু, দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া মজুরিও দেওয়া হচ্ছে না। শ্রমিকদের দাবি, পুজোর মুখে এই পরিস্থিতিতে সংসারের অন্ন জোগাড় করাই কঠিন হয়ে উঠেছে, নতুন পোশাক কেনা তো দূরের কথা।
শ্রমিক নেতাদের অভিযোগ, প্রতি বছরই পুজোর আগে কর্তৃপক্ষ নানা প্রতিশ্রুতি দেয়, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ হয় না। এবছরও একই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন তাঁরা। তাই সকাল থেকেই জাতীয় সড়ক অবরোধ করে দাবি আদায়ের লড়াই শুরু হয়েছে।
অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে মালবাজার থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা হলেও বিক্ষোভকারীরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন লিখিতভাবে বোনাস ও বকেয়া মজুরি মেটানোর আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন তুলে নেবেন না।
ডুয়ার্সের একের পর এক চা বাগানে বোনাস ইস্যুতে এই অস্থিরতা পুজোর আনন্দে ছায়া ফেলছে। শ্রমিকদের বঞ্চনার এই চিত্র ঘিরে ইতিমধ্যেই চা বলয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে।
