Doctors Death: এক সপ্তাহ আগেও দেখেছেন রোগী, ফের করোনা প্রাণ কাড়ল চিকিৎসকের

Jalpaiguri: ওই চিকিৎসক দীর্ঘদিন নিজের চেম্বারেই রোগী দেখতেন।

Doctors Death: এক সপ্তাহ আগেও দেখেছেন রোগী, ফের করোনা প্রাণ কাড়ল চিকিৎসকের
এলাকা স্যানিটাইজ় করা হচ্ছে (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 28, 2022 | 6:04 PM

মালবাজার: রাজ্যে কিছুটা কমেছে সংক্রমণ (Corona)। পরিস্থিতি আগের তুলনায় ধীরে-ধীরে স্বাভাবিক হতেও শুরু করেছে। তবুও কিন্তু শঙ্কা কাটেনি। বিশেষজ্ঞদের এখন চিন্তা মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে। আর এরই মধ্যে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে ফের এক চিকিৎসকের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। মালবাজার শহরের বাসিন্দা ওই চিকিৎসকের মৃত্যুতে যথেষ্ঠ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। ঘটনায় চিন্তার ভাঁজ স্বাস্থ্য দফতরের কপালেও। চিন্তিত প্রশাসনও।

রাজ্যের সঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলাতেও বেড়েছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। তবে এখনো সতর্ক নয় সাধারণ মানুষ। মাস্ক ছাড়া বেপরোয়াভাবে অনেককেই ঘোরাফেরা করতে দেখা যাচ্ছে সর্বত্র। আর করোনা যে এখনো দমেনি এবং প্রাণ কেড়ে নিতে পারে, তার আরও একবার প্রমাণ মিলল মালবাজারে চিকিৎসকের মৃত্যুতে।

মৃত চিকিৎসকের নাম তপন কুমার চক্রবর্তী (৭২)। বাড়ি শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের পানওয়ার বস্তি এলাকায়।  গত বুধবার পর্যন্ত তিনি স্টেশন রোড এলাকায় নিজস্ব চেম্বারে রোগি দেখেছেন। এরপর বাড়ি ফিরে অসুস্থ বোধ করেন। তখনই আর ঝুঁকি নেয়নি পরিবার। দ্রুত তাঁকে মাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনা হয়। সেখানে তাঁর কোভিড পজ়িটিভ ধরা পড়ে। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালেই তার মৃত্যু হয়।

তবে তপনবাবু কোনও সরকারি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন না। তিনি দীর্ঘদিন থেকে মালবাজারে ব্যক্তিগত চেম্বার চালাতেন। ফলত সেখানে রোগী আসত অনেকে। এবার তাঁর করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ঘটায় রীতিমত চিন্তায় ফেলে দিয়েছে সাধারণকে। এরপর শুক্রবার সকালে মাল পৌরসভার পক্ষ থেকে ওই চিকিৎসকের বাড়ি ও চেম্বার স্যানিটাইজ় করা হয়।

প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রামণের প্রথম ঢেউয়ে ১০ জন, দ্বিতীয় ঢেউয়ে ৪১ জন এবং তৃতীয় ঢেউয়ে এখনো পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যু ঘটেছে মাল মহকুমাতে। প্রায় দুই বছরের করোনা সংক্রামণ কালে শহরে ৫৩ জনের মৃত্যু ঘটেছে। এই প্রথম শহরে কোনও চিকিৎসকের মৃত্যু ঘটলো। এতেই চাঞ্চল্য সৃষ্ঠি হয়েছে।

মাল পৌরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে খবর, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে গত একমাসে ৬৫ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তারমধ্যে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকিরা সবাই সুস্থ হয়ে উঠেছে। বুধবার শহরে করোনা পজ়িটিভ শূন্যে এসে দাঁড়ায়। বৃহস্পতিবার আবারও দুই জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে। তারমধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

মালবাজার পৌরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের কোঅর্ডিনেটর সুপ্রতীম দাস বলেন, “বৃহস্পতিবার রাতে মাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে কোভিড ইউনিটে ওই চিকিৎসক মারা যান। তাঁর মৃত্যুতে আমরা রীতিমতো চিন্তিত। সকলকে বলবো করোনা বিধি মেনে চলার জন্য এবং সতর্ক থাকার জন্য।”

আরও পড়ুন: Yediyurappa granddaughter death: আত্মহত্যা নাকি অন্য কিছু? ইয়েদুরাপ্পার নাতনির ‘রহস্যমৃত্যু’ ঘিরে ধোঁয়াশা