Leptospyrosis: রাজগঞ্জে লেপ্টোস্পাইরোসিসের আঁতুড়ঘর কি সত্যিই ওই হ্যাচারি? কী উল্লেখ রিপোর্টে?
Leptospyrosis: রাজগঞ্জের চেকর মারি গ্রামে জন্ডিস ও লেপ্টোস্পাইরোসিস রোগ ছড়িয়ে পড়ায় ওই গ্রামে থাকা সাই সিবম পোল্ট্রি ফার্ম থেকে গত সপ্তাহে জলের নমুনা সংগ্রহ করে প্রাণী সম্পদ দফতর। সেই নমুনা পাঠানো হয় বেলগাছিয়া ল্যাবরেটরিতে।

জলপাইগুড়ি: লেপ্টোস্পাইরোসিস চলতি কথায় ইঁদুর জ্বরে এখন আতঙ্কে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে। ইতিমধ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় দেড়শো। রাজগঞ্জের একটি হ্যাচারি নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছিল, হ্যাচারি থেকেই ব্যাকটেরিয়াজনিত এই রোগ ছড়াচ্ছে। কারণ মুরগির বিষ্ঠায় ইঁদুরের আনাগোনা বাড়ছিল। ইঁদুরের থেকেই জলবাহিত হয়ে এই ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত হচ্ছিল। সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে বেলেঘাটায় পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু বিতর্কিত পোল্ট্রি ফার্ম থেকে জন্ডিস বা লেপ্টোস্পাইরোসিস ছড়ায়নি। ফার্মের জলের নমুনা রিপোর্ট নেগেটিভ। বেলগাছিয়া থেকে নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে। জানালেন প্রাণী সম্পদ আধিকারিক।
রাজগঞ্জের চেকর মারি গ্রামে জন্ডিস ও লেপ্টোস্পাইরোসিস রোগ ছড়িয়ে পড়ায় ওই গ্রামে থাকা সাই সিবম পোল্ট্রি ফার্ম থেকে গত সপ্তাহে জলের নমুনা সংগ্রহ করে প্রাণী সম্পদ দফতর। সেই নমুনা পাঠানো হয় বেলগাছিয়া ল্যাবরেটরিতে। সেই রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে বলে জানালেন আধিকারিক। আর এতেই স্বস্তি ফিরেছে ফার্ম কর্তৃপক্ষর কাছে।
অপরদিকে রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পর সোমবার জলপাইগুড়ি DM অফিসে এক জরুরী বৈঠক ডাকেন জেলাশাসক শামা পারভিন। মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন ফার্ম কর্তৃপক্ষ, রাজগঞ্জের বিধায়ক, জেলাপরিষদের সভাধিপতি, প্রাণী সম্পদ দফতর, স্বাস্থ্য দফতর-সহ অন্যান্য দফতরের আধিকারিকরা।
প্রাণী সম্পদ দফতরের ডেপুটি ডাইরেক্টর ডাক্তার অভিজিৎ মন্ডল বলেন, “পোল্ট্রি ফার্ম থেকে জন্ডিস ছড়ায় না। আমরা বিভিন্ন জায়গার জলের নমুনা বেলগাছিয়াতে পাঠিয়েছিলাম। তার মধ্যে ফার্মের নমুনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। এখান থেকে লেপ্টোস্পাইরোসিস ছড়ায়নি। অন্যান্য দফতর, বিভিন্ন জায়গা থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছিল। সেই রিপোর্ট এলে বোঝা যাবে গ্রামে জন্ডিস বা লেপ্টোস্পাইরোসিস কোথা থেকে ছড়িয়েছে।”
ফার্ম মালিক বিকাশ রেড্ডি বলেন, “আমরা জেলাশাসকের নির্দেশমতো মুরগি স্থানান্তর শুরু করেছিলাম। এরপর আজ জেলাশাসক আমাদের বৈঠকে ডেকেছিলেন। বৈঠক হল। রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তাই এই মুহূর্তে ফার্ম বন্ধ না করতে বলেছেন। ফার্মে এক্সপার্ট টিম আসবে। ফার্মে আরও কিছু পদক্ষেপ করতে হবে। ৪০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে এই ফার্ম করা হয়েছে। বন্ধ হলে সমস্যায় পড়ে যেতাম।”

