Jalpaiguri: ফোঁস-ফোঁস শব্দ শুনেই আতঙ্কিত প্রত্যেকে, ডিআইজির ঘর থেকে উদ্ধার কোবরা
Police: তিনি এসে দেখেন সাপটি ততক্ষণে পাইপের ভিতরে ঢুকে গিয়েছে।
জলপাইগুড়ি: পুলিশ কর্তার বাথরুমে ঢুকে গেলো স্পেকটিক্যাল কোবরা। প্রায় ঘণ্টা দেড়েকের চেষ্টার বাথরুমের পাইপ ভেঙে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় সাপটিকে। পরে ফের নিরাপদ আশ্রয়ে ছেড়ে দেন পরিবেশ কর্মী বিশ্বজিৎ দত্ত চৌধুরী।
শনিবার ডিআইজি ( জলপাইগুড়ি রেঞ্জ) ই আন্নাপা এর অফিসে কাজ করছিলেন অফিস কর্মীরা। বিকেলের দিকে এক কর্মী ডিআইজি চেম্বারের কাছে যেতেই ফোঁস-ফোঁস আওয়াজ শুনতে পান। তখনই সন্দেহ হয় তাঁর। এরপর অন্যান্য কর্মীদের ডেকে চেম্বারের বাইরে থেকে আশপাশের এলাকা ভালো করে খুঁজে দেখতে বলেন। তখনই দেখেন চেম্বার সংলগ্ন বাথরুমের বেসিনের পাইপ থেকে ঝুলছে সাপের লেজ। এরপর তারা খবর দেন জলপাইগুড়ির পরিবেশ কর্মী বিশ্বজিৎ দত্ত চৌধুরীকে।
তিনি এসে দেখেন সাপটি ততক্ষণে পাইপের ভিতরে ঢুকে গিয়েছে। তখন বেসিন থেকে ক্রমাগত জল ঢালতে থাকেন। এইভাবে প্রায় ঘণ্টা খানেক চেষ্টার পরও সাপটি বের না হলে তিনি বেসিনের পাইপ ভেঙে অক্ষত অবস্থায় সাপটিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন।
অফিসের বড়বাবু কার্তিক চ্যাটার্জী বলেন, “ডিআইজি সাহেবের চেম্বারের কাছে আচমকা ফোঁস ফোঁস আওয়াজ শুনতে পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন আমাদের কর্মীরা। এরপর আমরা খবর দেই বিশ্বজিৎ দত্ত চৌধুরীকে। তিনি এসে সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।”
ঘটনায় বিশ্বজিৎ দত্ত চৌধুরী জানান, “এটি একটি স্পেকটিক্যাল কোবরা সাপ। লম্বায় ৫ ফুটের বেশি ছিল। কিন্তু অদ্ভুত ভাবে সাপটির কোনও জিনগত বা অন্য কোনও ত্রুটির ফলে তার ফনায় স্পেকটিক্যাল বা চশমার যেই ছাপ থাকে তা ছিলোনা। এই ধরনের স্পেকটিক্যাল কোবরা বা গোখরো সাপ খুব কম দেখা যায়। গত ন বছর আগে এই রকম একটি সাপ আমি উদ্ধার করেছিলাম। উদ্ধারের পর সাপটি অক্ষত থাকায় নিয়ম অনুযায়ী উদ্ধার স্থলের কাছাকাছি নিরাপদ স্থানে আবার তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”
আরও পড়ুন: Mumbai Fire: মুম্বইয়ের বহুতলে বিধ্বংসী আগুন, মৃত ২
আরও পড়ুন: Aryan Khan Drug Case: আরিয়ান খান মামলায় নয়া মোড়! সুনীল পাটিলকেই মূল চক্রী বলছে বিজেপি