AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Jalpaiguri: উত্তরবঙ্গে বিপদের মুখে হাতিরা? তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নিল প্রশাসন

বস্তুত, উত্তরবঙ্গে হাতিদের রয়েছে ন'টি হাই সেনসিটিভ করিডরের মধ্যে একটি হল মরাঘাট। অতীতে একসঙ্গে ট্রেনের ধাক্কায় প্রায় ৯ হাতি ও অন্য এক ঘটনায় ৭ হাতির মৃত্যু হয়। এরপরই নড়েচড়ে বসে বন-দফতর। তারা কার্যত নির্দেশ দেয়, ট্রেনের গতি কমিয়ে আনতে হবে। যাতে দুর্ঘটনা রোধ করা যায়। এবার সেখানেই পেট্রোল পাম্প ও শপিং মল তৈরির উদ্যোগ এক বেসরকারি সংস্থার।

Jalpaiguri: উত্তরবঙ্গে বিপদের মুখে হাতিরা? তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নিল প্রশাসন
হাতিদের করিডরে তৈরি হবে শপিং মল?Image Credit: Tv9 Network
| Edited By: | Updated on: Oct 03, 2025 | 5:59 PM
Share

জলপাইগুড়ি: কখনও সরকারি জমি দখলের অভিযোগ ওঠে। কখনও কারও বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ ওঠে। এরই মধ্যে এবার জলপাইগুড়ির মরাঘাটের হাতিদের হাই সেনসিটিভ করিডোর ঘিরে তৈরি হল বিতর্ক। কেন? কারণ অভিযোগ উঠেছে, সেখানে সরকারি ফাঁকা জমি দখল করে তৈরি হতে চলেছে পেট্রোল পাম্প ও শপিং মল। বনদফতর ও পরিবেশপ্রেমীদের দাবি, ওই জায়গাটি বহুদিন ধরেই হাতিদের নিয়মিত চলাচলের পথ যা ওয়াইল্ডলাইফ ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া (WTI)-র স্বীকৃত করিডর। প্রায় প্রতিদিনই হাতির দল সেই পথ ধরে এক জঙ্গল থেকে অন্য জঙ্গলে যাতায়াত করে, এমনকী শাবকদের নিয়ে বিশ্রামও করে ওই এলাকায়। সেখানেই কি না শপিং মল?

বস্তুত, উত্তরবঙ্গে হাতিদের রয়েছে ন’টি হাই সেনসিটিভ করিডরের মধ্যে একটি হল মরাঘাট। অতীতে একসঙ্গে ট্রেনের ধাক্কায় প্রায় ৯ হাতি ও অন্য এক ঘটনায় ৭ হাতির মৃত্যু হয়। এরপরই নড়েচড়ে বসে বন-দফতর। তারা কার্যত নির্দেশ দেয়, ট্রেনের গতি কমিয়ে আনতে হবে। যাতে দুর্ঘটনা রোধ করা যায়। এবার সেখানেই পেট্রোল পাম্প ও শপিং মল তৈরির উদ্যোগ এক বেসরকারি সংস্থার।

তবে বিষয়টি জানতে পেরেই বনদফতর জেলা প্রশাসনের কাছে আপত্তি জানিয়েছে। তাদের দাবি, কোনও এনওসি নেওয়া হয়নি। যদিও জলপাইগুড়ি জেলাশাসক শামা পারভিন স্পষ্ট জানিয়েছেন, “হাতিদের করিডরে কোনও নির্মাণ কাজ হবে না। এই এলাকায় হাতিরা রয়েছে এটা সকলের জানা।” একই বক্তব্য ধূপগুড়ির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল চন্দ্র রায়েরও।

বনদফতরের দাবি, যদি হাতিদের করিডরে বাণিজ্যিক স্থাপনা তৈরি হয় তবে হাতি-মানুষের সংঘাত বাড়বে। সারাধণ মানুষের প্রাণও যেতে পারে। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল নেতাদের যোগসাজশ ছাড়া হাতিদের করিডর আটকে এমন কাজ সম্ভব নয়। প্রশাসনের ছাড়পত্র ছাড়া কাজ শুরু হতে পারে না, তাই পুরো ঘটনায় শাসকদলের ভূমিকা রয়েছে বলেই দাবি বিরোধীদের। পাল্টা আবার তৃণমূলের বক্তব্য, অবৈধ নির্মাণে দলের কোনও সমর্থন নেই। যদি কেউ যুক্ত থাকে, তবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরিবেশপ্রেমী নফসর আলি বলেন, “এটা তো পরিষ্কার কথা যে, যদি প্রশাসনের নজর থাকত তাহলে তো এটা ঘটতে পারত না।”