Amlashol: কালচিনির চা শ্রমিকের অনাহারে মৃত্যু মনে করাচ্ছে ২০০৪ সালের বিভীষিকা, কেমন আছে সেই আমলাশোল?

Amlashol: শুধু রাস্তা নয়। এখানকার মানুষের আর্থিক অবস্থাও বেশ খারাপ। অনেকেরই নেই ভাল থাকার ঘর। ত্রিপল খাটিয়ে কোনওরকমে চলছে দিন গুজরান। বৃষ্টি এলেই মাথায় হাত। পড়ছে জল। এলাকার লোকজনের অভিযোগ, তাঁদের দুর্দশার কথা বারবার সরকারকে জানিয়েও কাজেক কাজ কিছুই হয়নি।

Amlashol: কালচিনির চা শ্রমিকের অনাহারে মৃত্যু মনে করাচ্ছে ২০০৪ সালের বিভীষিকা, কেমন আছে সেই আমলাশোল?
কেমন আছে আমলাশোল? Image Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 07, 2024 | 9:40 PM

আমলাশোল: মৃত্যুর আগে তিন-চার দিন কিছুই পেটে পড়েনি। ভরসা ছিল প্রতিবেশীরা। কিছু খেতে দিলে তবেই রক্ষা। আলিপুরদুয়ারের কালচিনির মধু চা বাগান বন্ধ ছিল দীর্ঘদিন থেকে। তাতেই কার্যত পথ বসেছিলেন ধানি ওরাও ও তাঁর স্ত্রী আশা রানি ওরাও। অসুস্থ স্ত্রী ভর্তি হাসপাতালে। ধানির অনাহারে মৃত্যুর খবর সামনে আসতেই শোরগোল শুরু হয়েছে প্রশাসনিক মহলে। অনাহারে মৃত্যু যে রাজ্যে এই প্রথম এমনটা নয়। সালটা ২০০৪। পশ্চিমবঙ্গে তখন চলছে বামফ্রন্টের শাসন। সেই সময় ঝাড়গ্রামের আমলাশোলে অনাহারে বেশ কয়েকজন আদিবাসী সবর সম্প্রদায়ের মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। এখন কেমন আছে সেই আমলাশোল? সরজমিনে খতিয়ে দেখল টিভি নাইন বাংলা। 

কাঁকড়াঝোর থেকে আমলাশোল যাওয়ার রাস্তার হাল অত্যন্ত বেহাল। যাতায়াতের ভরসা কিন্তু, সেই রাস্তাই। স্থানীয়দের দাবি, দশ বছর আগে গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা শেষবার সারাই হয়েছিল। যদিও ক্ষমতায় আসার পর ২০১২ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবস্থার পরিবর্তন করার চেষ্টা করেন। কাঁকড়াঝোর থেকে আমলাশোল পর্যন্ত ২ কিলোমিটার কাচা রাস্তা ঢালাই হয়। যদিও কিছু সময়ের মধ্য়েই সেই রাস্তার অবস্থা আরও বেহাল হয়ে যায়। তারপর থেকে ওই রাস্তার কাজ আর এগোয়নি। কংক্রিট ভেঙে ধসে গিয়েছে। এলাকায় গাড়ি ঢুকতে গেলে রীতিমতো বেগ পেতে হয়। এই রাস্তা দিয়েই আমলাসোল হয়ে যাওয়া যায় ঝাড়খন্ড ও পুরুলিয়ার দিকে। কিন্তু রাস্তা খারাপের জন্য কোনও গাড়ি ঢোকে না। ফলে ঘুরপথে যেতে হয় বেশিরভাগ লোককে। 

শুধু রাস্তা নয়। এখানকার মানুষের আর্থিক অবস্থাও বেশ খারাপ। অনেকেরই নেই ভাল থাকার ঘর। ত্রিপল খাটিয়ে কোনওরকমে চলছে দিন গুজরান। বৃষ্টি এলেই মাথায় হাত। পড়ছে জল। এলাকার লোকজনের অভিযোগ, তাঁদের দুর্দশার কথা বারবার সরকারকে জানিয়েও কাজেক কাজ কিছুই হয়নি। অন্যদিকে আমলাশোলের অনেক বাসিন্দাই এখনও রেশন পান না। অন্যান্য সরকারি পরিষেবা, ভাতা থেকেও বঞ্চিত। সংসার চালাতে ভরসা জঙ্গলের পাতা, কাঠ। তা বিক্রি করেই যা হাতে আসে তা দিয়ে কোনওরকমে মুখে ওঠে একমুঠো ভাত। তাতেই ক্ষোভের সুর সকলের গলায়। সকলেই বলছেন, ভোটের সময় নেতারা আসেন। প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু, ভোট পার হলেই আর দেখা মেলে না কারও। তবে গ্রামের কেউ কেউ বলছেন, ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পরে কিছু কাজ হয়েছিল। কিন্তু, এখন আর কিছুই হয় না। কেউ ফিরেও তাকায় না।