চব্বিশের মহারণের প্রথম দফা। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে ভোট। প্রথম দফার এপিসেন্টার কোচবিহার। সকাল থেকেই কোচবিহারের কিছু জায়গা মূলত থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর এসেছে। কোথাও বুথ দখল, কোথাও ছাপ্পা, বিজেপির পোলিং এজেন্টকে ঢুকতে বাধা, অপহরণেরও অভিযোগ এসেছে। শিলিগুড়ির কাছে জলপাইগুড়ি লোকসভায় ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা এলাকায় ভালোবাসা মোড়ে 86 নং বিজেপির বুথ অফিস পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ। কোচবিহারের দেওচড়াই তে তৃণমূল বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। ভোটের উত্তরবঙ্গের তিন কেন্দ্রের খণ্ডচিত্র দেখুন
এদিন মোট ১২জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১০ জনকে প্রিভেন্টিভ অ্যারেস্ট করা হয়েছে এবং দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই সবগুলি গ্রেফতারিই হয়েছে কোচবিহার থেকেই। এছাড়া মোট ১০টি ক্রুড বোমা উদ্ধার হয়েছে এদিন, সেগুলিও কোচবিহার থেকেই পাওয়া গিয়েছে। তবে কোথাও কোনও বোমাবাজির ঘটনা ঘটেনি বলেই জানানো হয়েছে কমিশনের তরফে।
বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত রাজ্যে ভোট পড়েছে ৭৭.৫৭ শতাংশ।
কোচবিহারে ভোট পড়েছে ৭৭.৭৩ শতাংশ।
আলিপুরদুয়ারে ভোটের হার ৭৫.৫৪ শতাংশ।
জলপাইগুড়িতে ভোটের হার ৭৯.৩৩ শতাংশ।
ভোট দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে মৃত্যু হল এক তৃণমূল কর্মীর। মৃত ব্যক্তির নাম সুশীল বর্মণ। বয়স ৭০ বছর। ঘটনাটি ঘটেছে মাথাভাঙা ১ ব্লকের কেদারহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের জোরশিমুলি এলাকায়। জানা যাচ্ছে ৫/২৬ বুথে ভোট দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ভোটগ্রহণ কেন্দ্র থেকে কিছুটা দূরে তৃণমূলের দলীয় শিবিরে বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন তিনি। সে সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই তাঁর মৃত্যু হল বলে জানা যাচ্ছে।
বিকাল ৩টে পর্যন্ত ভোটের হার ৬৬ শতাংশের বেশি
কোচবিহারে বিকেল তিনটে পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৬৫ শতাংশ
আলিপুরদুয়ারে ভোট পড়েছে ৬৬ শতাংশ
জলপাইগুড়িতে ভোট পড়েছে ৬৭ শতাংশ
কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বেলা ১ টা পর্যন্ত ভোটের হার ৫০.৯৬ শতাংশ। আলিপুরদুয়ারে ভোট পড়েছে ৫১.৫৮ শতাংশ, কোচবিহারে ৫০.৬৯ শতাংশ,
জলপাইগুড়িতে ৫০.৬৫ শতাংশ।
নির্বাচনের ৬ ঘণ্টা পার। কোচবিহারে ১৭২টি অভিযোগ। আলিপুরদুয়ারে ১৩৫টি অভিযোগ। জলপাইগুড়িতে ৭৬টি অভিযোগ। মোট ৩৮৩টি অভিযোগ এখনও পর্যন্ত কমিশনে জমা পড়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর অভিযোগ মোট ২৮টি। যার মধ্যে BJP ৯, তৃণমূল ৯ এবং CPIM ১টি অভিযোগ জমা করেছে।
সকাল থেকে তপ্ত কোচবিহার। মাথাভাঙা, দিনহাটা, ভেটাগুড়ি থেকে এসেছে গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ। শাসক-বিরোধী একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। দিনহাটায় বিজেপি কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ, আবার মাথাভাঙায় তৃণমূলের ব্লক সভাপতিকে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ। কোথাও বুথ অফিস, ক্যাম্প অফিসে ভাঙচুর করে আগুন ধরানোর অভিযোগ, কোথাও বিজেপি সমর্থকদের বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ। সকাল থেকেই রাস্তায় রাস্তায় দেখা গিয়েছে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। প্রার্থী না হওয়া সত্ত্বেও উপদ্রুত এলাকাগুলিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে দেখা গিয়েছে উদয়ন গুহকে। দেখা গিয়েছে তৃণমূল প্রার্থী জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়াকেও। কিন্তু সকাল থেকে দেখা যায়নি বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিককে। বেলা বারোটায় পর তাঁকে দেখা গেল বাড়ির বাইরে। ভোট পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বের হন তিনি।
সাংবাদিকদের সামনে নিশীথ প্রামাণিক বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাস করবার চেষ্টা করছে। সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করছে। বহু জায়গায় দুষ্কৃতীরা বুথ এজেন্টদের, সাধারণ ভোটারদের আটকাবার চেষ্টা করছে। আমাদের এখানকার মাানুষ পঞ্চায়েত নির্বাচন, পৌরসভা নির্বাচনেও ভোট দিতে পারেনি। তাই গণপ্রতিরোধ গড়ে উঠেছে।”
উদয়ন গুহ প্রসঙ্গে নিশীথ বলেন, “আমি নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুরোধ করেছিলাম, উদয়ন গুহর গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে। উদয়ন গুহ যেখানেই যাচ্ছেন কর্মীদেরকে প্রভাবিত করছেন, উদয়ন গুহ উস্কানিমূলক বার্তা দিয়ে আসছেন, তাই সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা হচ্ছে, গাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। যত দিন তৃণমূল আছে, হিংসা হবে। তবে এবার জনগণই প্রতিরোধ করছে। ভোট কিছুটা শান্তিপূর্ণ হচ্ছে। তবে উদয়ন গুহর গতিবিধি নিয়ন্ত্রিত হলে আরও শান্তিপূর্ণ ভোট হত। উদয়নকে গ্রেফতার করা উচিত।”
সকাল থেকে উত্তপ্ত কোচবিহারের মাথাভাঙা। দুটো সমস্যার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। একদিকে যেমন ভোটারদের আটকে দেওয়া হচ্ছে। QRT ঘটনাস্থলে পৌঁছাচ্ছে না বলে অভিযোগ। মাথাভাঙায় শিকারপুর বিডিও অফিসে ভোট করাতে আসা ভোটকর্মীদের আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। বিডিও অফিসের কলাপসিবল গেটে তালা লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। সরকারি কর্মীদের আটকে রাখার অভিযোগ নজিরবিহীন। সরকারি কর্মীদের বক্তব্য, তাঁদের সঙ্গে রীতিমতো গরু ছাগলের মতো আচরণ করা হয়েছে। সরকারি কর্মীর বক্তব্য, “আমরা একটা ঘরে ছিল। সেই ঘরেই তালা। বলছে বাথরুমে যাও, ঘরে ঢোকে, আর লাল চা দিয়েছে।” আরেক কর্মী বলেন, “ভোর চারটার মধ্যে তৈরি হয়ে যাই। এখানে যাঁরা আমাদের আটকেছে, তাঁরাও সরকারি কর্মী। তবে আমি বিডিও, কোনও অফিসারকে দোষ দেব না। এক গ্রুপ ডি স্টাফ রাতে লাফ মেরে বলে বিয়ে বাড়িতে ভাত খেতে এসেছো, লাফি মেরে তুলেছে আমাদের।”
আরেক ভোটকর্মী বলেন, “রাতে আমরা যখন আসি, এক ভদ্রলোক মদ্যপ অবস্থায় এসে গালিগালাজ করতে থাকেন।” যদিও বিডিও সাহেব বলেন, “ভোটকর্মীদের এসি ঘরে রাখা হয়েছে, কোথাও কোনও তালা মারা হয়নি।”
সকাল দশটা থেকে এগারোটার মধ্যে ১৬ টি অভিযোগ তৃণমূলের। নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ। বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ। সূত্রের খবর, ১৬ টি অভিযোগের মধ্যে ৭ টিই কোচবিহার নিয়ে।
সকাল থেকে অভিযোগের পাহাড় কমিশনে। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বললেন, “অশান্তি রোখার দায়িত্ব কমিশনের।” সূত্রের খবর, সকাল ১০ টা পর্যন্ত কমিশনের কাছে ১৫১টি অভিযোগ জমা পড়েছে।
কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভায় বরাহমোটর, কসালডাঙা, জয়গুরু শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের বুথে ভোট লুঠের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এমনকি হুমকিরও অভিযোগ। অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের। প্রশাসন কোনও অভিযোগ শুনছে না বলে দাবি বিজেপির।
আবারও কোচবিহার। রুইয়াকুঠিতে তৃণমূল কর্মীদের ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। ভেটাগুড়িতে রুইয়াকুঠি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনেই তৃণমূলের ক্যাম্প। সকালে সেখানে এক ঘণ্টা বসেছিলেন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। সেখানে শাসক-বিরোধী দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আহত হন বলে অভিযোগ। বুথ থেকে পাঁচশো মিটার দূরে তৃণমূল কর্মী ভোটারদের বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কৃষ্ণ দাস নামে এক তৃণমূল কর্মী ভোটার আহত হন। তিনি অ্যাডিশন্যাল এসপিকে ফোন করে গোটা বিষয়টি জানান। পুলিশ আশ্বস্ত করেছে।
প্রথম দফা নির্বাচনের সকাল থেকেই কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকা থেকে অশান্তির খবর আসছে। কোথাও বোমা উদ্ধার, কোথাও ইট বৃষ্টি, ভোটারদের বাধা দানের অভিযোগ, কোথাও আবার আক্রান্ত শাসক-বিরোধী উভয় দলের কর্মী। এবার শীতলকুচির গিরিয়াকুঠিতে দুষ্কৃতী তাণ্ডবের অভিযোগ। বিজেপি সমর্থক কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দক্ষিণ কোচবিহারের গিরিয়াকুঠিতে বিজেপির অভিযোগ, বেছে বেছে তাঁদের সমর্থকদের বাড়ি চিহ্নিত করা হচ্ছে। বাঁশ, লাঠি, লোহার রড নিয়ে হামলা চলেছে। বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চলেছে। সেই ছবি হাতে এসেছে TV9 বাংলার। বিজেপির অভিযোগ, এই এলাকাগুলিতে তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি নেই। এবারের ভোটেও তৃণমূল পিছিয়ে পড়বে বুঝতে পেরেই এই হামলার অভিযোগ। গোটা বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে। তবে প্রশাসনের বিরুদ্ধেও গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি বিজেপির।
১০টা পর্যন্ত কমিশনের দফতরে জমা পড়েছে ১৫১টি অভিযোগ। সকাল ৯ টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ১৫. ২৬ শতাংশ। নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য, বাংলাতেই ভোটের হার গোটা দেশের মধ্যে সব থেকে বেশি। প্রথম দফায় গোটা দেশে ২১ টা রাজ্যের ১০২টি কেন্দ্রে ভোট হচ্ছে।
কোচবিহারের উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ। কোচবিহারের বালেশ্বরে ভোটারদের বুথের দিকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। পশ্চিম ধর্মা বেড়া কুঠি এলাকাতেও একই অভিযোগ উঠেছে। বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাচ্ছে পুলিশ।
ভোটে ফের তপ্ত শীতলকুচি। শীতলকুচি বিজেপি কার্যকর্তার মাথা ফাটানোর অভিযোগ। বরাদেওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথে বিজেপি কর্মীর ওপর হামলার অভিযোগ। বুথে যখন কর্মীরা ঢুকছিলেন, তখন তৃণমূলের তরফ থেকে হামলা চলে বলে অভিযোগ। লোহার রড, বাঁশ দিয়ে মারধর করা হয়। সুন্দর মাহাতো নামে এক বিজেপি কর্মীর মাথা ফাটিয়ে ফেটে যায়। হাতেও গুরুতর আঘাত লাগে। গোটা বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে রিপোর্ট করা হয়েছে। তৃণমূলের তরফ থেকে অস্বীকার করা হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, এর সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক নেই, স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে বিজেপির ঝামেলা হয়েছে।
সিতাইয়ে তৃণমূলের ক্যাম্প অফিসে ভাঙচুরের অভিযোগ। সিতাই ব্লকের রাজাখোড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় বুথ সংলগ্ন ক্যাম্প অফিস নিয়ে তৃণমূল বিজেপির মধ্যে অশান্তি। তৃণমূলের ক্যাম্প অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। স্থানীয় বিজেপি নেতা অর্জুন মণ্ডলের দলবলের বিরুদ্ধে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান তৃণমূলের প্রার্থী জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। তিনি বলেন, “আমাদের কর্মীরা এখানেই থাকবেন। আমি গোটা বিষয়টি শুনেছি। ক্যাম্প অফিস বসবেই।”
প্রথম দফা নির্বাচনে শিরোনামে কোচবিহার। ভোট চলাকালীন দিনহাটায় উদ্ধার তাজা বোমা। বিজেপির বুথ সভাপতির বাড়ির সামনে থেকে তাজা বোমা উদ্ধার। ঘটনাস্থল দিনহাটা ভিলেজ ২। সকাল থেকে কোচবিহার উত্তপ্ত। বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর আসছে বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে। বিজেপি ও তৃণমূল একে অপরের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ তুলছে। কোথাও পোলিং এজেন্টকে বুথে ঢুকতে বাধা, কোথাও পোলিং এজেন্টকে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ, কোথাও মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। দিনহাটা ভিলেজ ২ বুথ সভাপতির বাড়ির সামনে থেকে তাজা বোমা উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিজেপি নেতার অভিযোগ, সকালে বুথে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরনোর সময়ে সিঁড়ি সামনে তাজা বোমা পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁর অভিযোগ, আগে থেকেই তাঁকে ভয় দেখানো হচ্ছিল। তিনি যদি বুথে যান, তাহলে খারাপ ফল ভুগতে হবে। তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা মারা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তারপরই সকালে বাড়ির সামনে বোমা উদ্ধার। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। এ বিষয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহকে প্রশ্ন করা হয়, ‘পোলিং এজেন্টদের বাড়ির সামনে বোমা রেখে দেওয়ার অভিযোগ উঠছে, কী বলবেন?’ মন্ত্রীর জবাব, “বোমা না মেরে কেউ বোমা বাড়ির সামনে সাজিয়ে রাখবে? বোমা কি লাড্ডু? যে বাড়িতে সাজিয়ে রাখবে? “
কোচবিহারের চান্দামারিতে ৭২ নম্বর বুথে বিজেপির দুই পোলিং এজেন্টকে গৃহবন্দি করে রাখার অভিযোগ। চান্দামারির পঞ্চম পরিকল্পনা প্রাথমিক বিদ্যালয় বুথের ঘটনা। বিজেপির অভিযোগ, তাদের দুই পোলিং এজেন্টকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। প্রশাসনের তরফ থেকে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। বিজেপির তরফ থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত মোট ১৬টি অভিযোগ করা হয়েছে। নিষ্ক্রিয় প্রশাসন।
উত্তপ্ত কোচবিহারের চান্দামারি। সেখানে বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে ইট ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। কাঠগড়ায় তৃণমূল। ইট ছোড়ার ঘটনার মুহূর্তের ছবি হাতে এসেছে TV9 বাংলার। খোলা সবুজ ধান ক্ষেতের মাধ বরাবর ঢালাই রাস্তা। রাস্তার দুপারে বিজেপি ও তৃণমূল কর্মী। এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। বিজেপি এজেন্টদের বুথে ঢুকতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। সঙ্গে গালিগালাজ। তবে এখনও পর্যন্ত ওই এলাকায় কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের দেখতে পাওয়া যায়নি। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, জমায়েত করা প্রত্যেকের হাতে লাঠি, লোহার রড রয়েছে।
বিজেপির বুথ সভাপতিকে মারধরের অভিযোগ। মাথা ফাটল বিজেপির বুথ সভাপতির। কোচবিহারের চান্দামারির ঘটনা। চান্দামারি কোচবিহারের দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের ১ নম্বর ব্লক। সেখানেই বিজেপির বুথ সভাপতির ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে। জানা যাচ্ছে, তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে বুথের দিকে যাচ্ছিলেন ভোটের আগে ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখার জন্য। তখনই তাঁর ওপর হামলা হয় বলে অভিযোগ। লোহার রড নিয়ে তাঁর মাথায় পিছন থেকে আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর মাথায় চোট রয়েছে। সেলাই পড়েছে। তাঁকে নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করা হয়। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
ভোটের দিন আবার উত্তপ্ত দিনহাটার ভেটাগুড়ি। দিনহাটা ১ বি ব্লক সতৃণমভাপতিকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত ব্লক সভাপতিকে দেখতে হাসপাতালে এলেন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। হাসপাতাল থেকেই নির্বাচন কমিশন ও পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন মন্ত্রী। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। উদয়ন গুহ বলেন, “হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আমরা ভেটাগুড়িতে বারবার কয়েক জনের কথা বলে যাচ্ছি, কিছুতেই পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তারাই গুন্ডামি করে বেড়াচ্ছে।” তিনি বলেন, “ওই এলাকারই ছেলে, পুলিশ কী ব্যবস্থা নিল? খুবই বাজেভাবে মারা হয়েছে।” এরপর থানায় অভিযোগ জানাতে যান উদয়ন গুহ।
পোলিং এজেন্টদের বাড়ির সামনে বোমা রেখে দেওয়ার অভিযোগ উঠছে? এই প্রশ্ন করতেই উদয়ন গুহ বলেন, “বোমা না মেরে কেউ বোমা বাড়ির সামনে সাজিয়ে রাখবে? বোমা কি লাড্ডু? যে বাড়িতে সাজিয়ে রাখবে? “
কোচবিহারের দিনহাটায় বিজেপির পোলিং এজেন্টকে বুথ থেকে অপহরণের অভিযোগ। শুকারুরকুটির কুরশারহাটের ২২১ নম্বর বুথের সামনে থেকে বিজেপির পোলিং এজেন্টকে তৃণমূলের বাইক বাহিনী অপহরণ করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। নাম বিশ্বনাথ পাল। তিনি বিজেপির মণ্ডল সভাপতি।
কোচবিহারের বিজেপির তরফ থেকে ইতিমধ্যেই কমিশনের কাছে পাঁচটা অভিযোগ জমা পড়েছে। তার মধ্যে মূলত ছাপ্পা, বুথ এজেন্টকে বসতে না দেওয়া এবং বুথ এজেন্টকে মারধর করার অভিযোগ রয়েছে। কোচবিহার দক্ষিণেরই চারটি কেন্দ্র। সেখানে বিজেপির পোলিং এজেন্টকে বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ।
কোচবিহারে রবীন্দ্রনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ব্যাপক উত্তেজনা। ব্যাপক ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ। ওয়েব কাস্টিং দেখে কমিশন জানাল, ভোট প্রক্রিয়া স্বাভাবিক।
ভোটের ডিউটিতে অস্বাভাবিক মৃত্যু হল কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক জওয়ানের। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত জওয়ানের নাম মিলেস কুমার নীলু (৪২)।
সকাল সকাল সমস্ত রাজনৈতিক দলের পোলিং এজেন্টরা পৌঁছে গিয়েছেন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে। তবে নির্দিষ্ট সময় থেকে অনেকটা দেরিতেই হচ্ছে মকপোল। ধূপগুড়ি জেলা পরিষদ ডাকবাংলোতে থাকা ১৫/ ১৯৯ বুথে ইভিএম বিভ্রাট। যার কারণে নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলাম মকপোল করতে হয়নি। ধূপগুড়ি হাই স্কুল ১৫/১৭৬ ইভিএম বিভ্রাট মকপোলিং স্থগিত। ১৪/২০৩ আংড়াবাসা বংশীবদন হাইস্কুল ইভিএম বিভ্রাট মকপোলিং স্থগিত।
শিলিগুড়ির কাছে জলপাইগুড়ি লোকসভার অন্তর্গত ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা এলাকায় ভালোবাসা মোড়ে ৮৬ নম্বর বিজেপির বুথ অফিস পুড়িয়ে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা।
রাজগঞ্জের ১৮/২৫৪ নম্বর বুথে বিজেপির বুথ অফিসের সামনে তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ।
কোচবিহারে তৃণমূলের দুই কর্মীর ওপর হামলার অভিযোগ। ধারাল অস্ত্র ও ভারী বস্তু দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাতের অভিযোগ। আজিমুদ্দিন আল্লাহ ও দিলীপ মাঝি নামে ওই কর্মীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। আজিমুদ্দিন দিনহাটা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দিলীপ রায়ের মাথায় গুরুতর চোট রয়েছে। এক্ষেত্রে বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের অনুগামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ। অভিযোগ অস্বীকার বিজেপির।
জলপাইগুড়ি রাজগঞ্জ বিধানসভার ১৮/৯৭ বুথের দুইটি বিজেপি পরিবারের ওপর হামলার অভিযোগ। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।