Panchayat Election: মালদায় তৃণমূলে ভাঙন, ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মে ৫০ সংখ্যালঘু পরিবার
Panchayat Election: পঞ্চায়েত ভোটের মুখে তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভাঙন অব্যাহত মালদায়। সূত্রের খবর, এদিন মালদার মানিকচকের প্রায় ১০০ জনের বেশি স্থানীয় নেতা, কর্মী সহ ৫০টির বেশি সংখ্যালঘু পরিবার বিজেপিতে যোগ দিল।
মালদা: সাগরদিঘির (Sagardighi) ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকেই অস্বস্তি বেড়েছিল শাসক তৃণমূলের (Trinamool Congress)। সংখ্যালঘু ভোটে বড় থাবা বসিয়েছিল বাম-কংগ্রেস জোট। পঞ্চায়েত ভোটেও বাম-কংগ্রেস (CPIM-Congress) জোট নিয়ে জোর জল্পনা চলছেই। এদিকে এরইমধ্যে রাজ্যের নানা প্রান্তে থেকে লাগাতার শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দলের অভিযোগও সামনে এসেছে। তাতেও চাপ বেড়েছে শাসকের। পাশাপাশি চলছে দলবদলও। এমতাবস্থায় এবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলেন প্রচুর সংখ্যালঘুরা। এরা সবাই তৃণমূল কর্মী ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনা মালদার।
সহজ কথায়, পঞ্চায়েত ভোটের মুখে তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভাঙন অব্যাহত মালদায়। এতদিন জেলায় কংগ্রেসে যোগদান ছিল চোখে পড়ার মতো। এবার বিজেপিতে। সূত্রের খবর, এদিন মালদার মানিকচকের প্রায় ১০০ জনের বেশি স্থানীয় নেতা, কর্মী সহ ৫০টির বেশি সংখ্যালঘু পরিবার বিজেপিতে যোগ দিল। প্রত্যেকের অভিযোগ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নব জোয়ার যাত্রার নামে যা করছেন তাতে দুর্নীতিগ্রস্থ নেতারাই দলে প্রাধান্য পাচ্ছে। সবেতেই কাটমানি।
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানকারী এক কর্মী বলেন, “তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এলাম। মানুষ বুঝতে পারছে তৃণমূলের দ্বারা কোনও কাজই হচ্ছে না। লক্ষ্ণীর ভাণ্ডারে কাটমানি নিচ্ছে। সব জায়গায় দুর্নীতি। এই জন্যই তৃণমূল ছাড়লাম।” কটাক্ষ করেছে ঘাসফুল শিবির। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি শাহ আলম বলেন, “ভোট এলে প্রত্যেক ভোটের সময় এরকম হয়। এরা হচ্ছে সর্বদলীয়। সবদলেই ওরা ঘুরে বেড়ায়। তবে ১০০ জন নয়, ৩০ থেকে ৪০ জন যোগ দিয়েছে।” পাল্টা মালদা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক গৌড় চন্দ্র মণ্ডল বলেন, “গোটা বাংলাজুড়ে তৃণমূল দুর্নীতিতে ভর্তি হয়ে গিয়েছে। এখন সংখ্যালঘু ভাইয়েরা বুঝতে পেরেছে দলটা পচে গিয়েছে। সেখানে সাধারণ মানুষের জায়গা নেই। তাই তাঁরা দল ছাড়ছেন।”