Malda TMC leader: বন্দুক তাক করে তৃণমূল নেতার ছবি, ভাইরাল হতেই, বললেন…

Malda TMC leader: অস্বস্তি বেড়েছে শাসক শিবিরের। তৃণমূল নেতারা অস্ত্রচালনা শিখছে বলে কটাক্ষ বিজেপি নেতার।

Malda TMC leader: বন্দুক তাক করে তৃণমূল নেতার ছবি, ভাইরাল হতেই, বললেন...
বন্দুক হাতে ছবি ভাইরাল তৃণমূল নেতার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 12, 2022 | 12:09 PM

মালদা : তৃণমূল নেতার হাতে বন্দুক। রীতিমতো তাক করে আছেন। এমন ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হতেই ভাইরাল। সেই পোস্ট ঘিরে শোরগোল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে। প্রশ্ন উঠেছে ওই যুব নেতার কাছে আগ্নেয়াস্ত্র কোথা থেকে এল? এই নিয়ে সুর চড়িয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি। ফলে অস্বস্তি বেড়েছে শাসক শিবিরে। বিতর্কে জড়িয়েছেন মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরের ২ নম্বর ব্লক যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম সিরাজ উদ্দিন আলি ওরফে পুকালু খান। তবে তাঁর দাবি, এটি আসলে পাখি মারার বন্দুক।

পুকালু খান নামে ওই নেতা সম্প্রতি তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে পোস্ট করেন ছবিটি। হাতে ধরা লম্বা একখানা বন্দুক। একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে তিনি কী ভাবে এই কাজ করলেন, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। তাঁর এই ছবির নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলেও মনে করছেন বিরোধীরা। ছবি পোস্ট করার কিছুক্ষণের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায় ছবিটি, চর্চা শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক মহলে। বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর কটাক্ষ, সন্ত্রাস করার জন্য তৃণমূল এ সব করছে। গুন্ডারাজের সরকার চলছে বলেও তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছেন তিনি। সাংসদ বলেন, ‘পুরসভা নির্বাচনেও ছাপ্পা দেওয়া হয়েছে। সন্ত্রাস চালানো হয়েছে।’ নেতারা যাতে বন্দুক চালাতে পারে তার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। তাঁর দাবি, পঞ্চায়েত ভোটের আগে বন্দুক শেখানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, তাই তৃণমূল নেতা এরকম ছবি পোস্ট করেছেন।

এই প্রসঙ্গে গোলাম সিরাজ উদ্দিন আলি ওরফে পুকালু খান জানান, ওটা আসলে পাখি মারার বন্দুক। শখে ছবি তুলে পোস্ট করেছেন তিনি। বিরোধীদের কটাক্ষ প্রসঙ্গে ওই নেতা দাবি করেন, বিরোধীরা বন্দুকের তফাৎ বোঝেন না, জানেন না কোনটা কোন বন্দুক। প্রয়োজনে প্রশাসনের তরফে বন্দুক পরীক্ষা করা হোক বলেও দাবি করেছেন তিনি। এলাকার তৃণমূল নেতাদেরও দাবি, ওটা পাখি মারার বন্দুক। ওই ছবি ফেসবুকে পোস্ট করার ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।

আরও পড়ুন : Madhyamik examinee suicide: ‘দিন-দিন কেমন গুমরে যাচ্ছিল মেয়েটা’, পরে ফাঁস হল পাড়াতুতো ‘দাদার’ আসল কীর্তি