স্ত্রীও যুক্ত সেই একই অপারেশনে! মালদায় চিনা গুপ্তচর সন্দেহে ধৃত ব্যক্তির থেকে উঠে এলে আরও বিস্ফোরক তথ্য

মালদার (Maldah) কালিয়াচকের মিলিক সুলতানপুর সীমান্ত থেকে আটক হাই জুনেই নামে ওই চিনা নাগরিককে গুপ্তচর সন্দেহে অবশেষে গ্রেফতার করা হল। তাঁকে জেরায় উঠে এসেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।

স্ত্রীও যুক্ত সেই একই অপারেশনে! মালদায় চিনা গুপ্তচর সন্দেহে ধৃত ব্যক্তির থেকে উঠে এলে আরও বিস্ফোরক তথ্য
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 11, 2021 | 7:45 AM

মালদা: এই প্রথম নয়, বৈধ কাগজপত্র ছাড়া এর আগেও ভারতে প্রবেশ করেছিলেন ওই চিনা নাগরিক। কখনও তাঁর সঙ্গী ছিলেন স্ত্রী, কখনও বন্ধু। চিনা ওই ব্যক্তি ও তাঁর স্ত্রী আগে থেকেই গোয়েন্দাদের চোখে ওয়ান্টেড ছিলেন। মালদার (Maldah) কালিয়াচকের মিলিক সুলতানপুর সীমান্ত থেকে আটক হাই জুনেই নামে ওই চিনা নাগরিককে গুপ্তচর সন্দেহে (Chinese SPY) অবশেষে গ্রেফতার করা হল। তাঁকে জেরায় উঠে এসেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।

লখনউ এসটিএফের কাছে এই ব্যক্তি ও তাঁর স্ত্রী দুজনেই আগে থেকেই ওয়ান্টেড ছিলেন। তাঁদেরই এক চিনা সঙ্গীকে গত কয়েকদিন আগে লখনউ এসটিএফ গ্রেফতার করে। বড় কোন অভিসন্ধি নিয়ে এই ব্যক্তি বাংলাদেশ থেকে গোপনে ভারতে প্রবেশ করেন মালদার মিলিক সুলতানপুর সীমান্ত দিয়ে। তাঁকে ধাওয়া করে পাকড়াও করে বিএসএফ জওয়ানরা।

চিনের হুবেই প্রদেশের বাসিন্দা এই ব্যক্তির নাম হান জুনওয়ে। তাঁর কথায় অসংগতি থাকায় তাঁকে মহদিপুর ক্যাম্পে এনে জেরা করা হয়। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। জেরায় জানা যায়, বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই এই ব্যক্তি ভারতে বেশ কয়েকবার এসেছেন গোপনে। থেকেছেন দিল্লি, হায়দরাবাদ, গুরুগ্রামে। কখনও কখনও স্ত্রীও থেকেছেন তাঁর সঙ্গে।

তাঁর কাছে পাওয়া ল্যাপটপ ও অন্যান্য নথি খতিয়ে দেখে এই ব্যাক্তিকে চিনের গুপ্তচর বলেই মনে করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এখন পর্যন্ত তাঁকে মহদিপুর ক্যাম্পে রেখে টানা জেরা চলছে। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা স্বংস্থার আধিকারিকরা রয়েছেন ওই ক্যাম্পে। জানা গিয়েছে, মালদা তথা ভারতে প্রবেশের আগে এক সঙ্গীর সঙ্গে তিনি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনা মসজিদ এলাকায় ছিল। তার আগে ছিলেন ঢাকায়।

আরও পড়ুন: বাংলায় নাগরিকত্ব আইনের জালেই জড়িয়ে ৩৫৬ ধারার চাবিকাঠি? প্রমাদ গুনছে পদ্ম

বৃহস্পতিবার সকালে কালিয়াচকের মিলিক সুলতানপুর সীমান্ত এলাকা থেকে হান জুনেই নামে ওই ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। সন্দেহজনক ভাবে তিনি এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি করছিলেন। তা দেখেই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সন্দেহ হয়। এরপর তাঁকে কালিয়াচক পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বাংলাদেশ ও নেপালের ভিসাও পাওয়া গিয়েছে হানের কাছ থেকে।