Maldah TMC Leader Gun Firing: টিপ করেই গুলি, মালদায় প্রকাশ্যে বন্দুক চালানো প্র্যাকটিস করছেন তৃণমূল নেতা! ছবি প্রকাশ্যে

Maldah TMC Leader Gun Firing: আরজাউল কাতলামারি এলাকার মালিওর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান তোরিনা খাতুনের দেওর বলে পরিচিত।

Maldah TMC Leader Gun Firing: টিপ করেই গুলি, মালদায় প্রকাশ্যে বন্দুক চালানো প্র্যাকটিস করছেন তৃণমূল নেতা!  ছবি প্রকাশ্যে
মালদায় বন্দুক চালানো প্র্যাকটিস করছেন তৃণমূল নেতা (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 27, 2021 | 10:30 AM

মালদা: বন্দুক চালানো প্র্যাকটিস করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা। মালদহের হরিশচন্দ্রপুরের কাতলামারিতে। টিপ করে গুলি চালানোর ছবি সামনে এল আজ। ভিডিও ফুটেজের সত্যতা যাচাই করেনি টিভি নাইন বাংলা।

তবে ওই ফুটেজ দেখেই আরজাউল হক নামে ওই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বেআইনি অস্ত্র রাখার আইনে মামলাও শুরু হয়েছে। আরজাউল কাতলামারি এলাকার মালিওর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান তোরিনা খাতুনের দেওর বলে পরিচিত।

ভিডিয়োতে যে ব্যক্তিকে দেখা যাচ্ছে, তিনি হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের মালিওর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান তোরিনা খাতুনের দেওর। তিনি ঝোপের মধ্যে বন্দুক তাক করে গুলি চালাচ্ছেন পরপর। আরজাউল দলের সক্রিয় সদিস্য।স্থানীয় নেতা। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে তাঁর হাতে বন্দুক এল? আর কেনই বা বন্দুকের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, সেটাও প্রশ্নের। তবে এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে তুমুল রাজনৈতিক বিতর্ক।

সার্বিক বিষয়কে ভীষণরকমভাবে অস্বস্তিতে তৃণমূল নেতা। বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার আগে তত্কালীন বিরোধী দলনেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্যই ছিল বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূল বেআইনি অস্ত্র শব্দটিই ভুলে গেল। সব অস্ত্রই আইনি হয়ে গেল। কারণ তৃণমূলের কাছে থাকলে, তা আইনি হয়ে যায়। গত ১০-১১ বছর ধরে এই ব্যবস্থাই চলছে। সেখানে তৃণমূল নেতার কাছে বেআইনি অস্ত্র থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক। সারা বাংলায় তৃণমূলের গুন্ডারা বোমা-গুলির প্র্যাকটিস হয়ে থাকে।” রাজ্যে যাতে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির উন্নতি হয়, সেদিকে মুখ্যমন্ত্রীকে নজর দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে,  ত্রিপুরার প্রসঙ্গে টেনে এনে তৃণমূল নেতা কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, “এখানে তো ওরা প্র্যাকটিস করছিল। ত্রিপুরায় তো গুলি করে মেরেই দিচ্ছে। আর আইনের শাসন না থাকলে কীভাবে গ্রেফতার হল ওই যুবক? পুলিশ তো তাকে গ্রেফতার করেছে। অনেকেই অনুপ্রবেশ করছে, তারাই দাবি করছে আমরা তৃণমূলের নেতা। তবে আদৌ তা কিনা, সেটাও দেখতে হবে। বিহার থেকে লোক ঢুকে পড়ছে। আর তারা তৃণমূলের নাম নিয়ে নিচ্ছে।”

দিন কয়েক আগেই ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের কাতলামারি এলাকায় বাশির ও উনসাহাক গোষ্ঠীর বিবাদে দুজন গুলিবিদ্ধ হয়। দুই গোষ্ঠীই তৃণমূলের আশ্রিত বলে অভিযোগ। গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখলকে ঘিরে ফের ওই দুই গোষ্ঠী সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ।

গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর মালিওর-২ এ বাম ও কংগ্রেস বোর্ড গঠন করে। পরে প্রধান ও বাকি সদস্যরা শাসক শিবিরে নাম লেখান। প্রধানের বিরুদ্ধে দলেরই একাংশ অনাস্থা পেশ করে। কিন্তু প্রধান আদালতের দ্বারস্থ হয়ে স্থগিতাদেশ পেয়েছেন। তা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। গ্রামে প্রচুর অস্ত্রের আমদানি করা হচ্ছে বলেও পুলিশের কাছে খবর।এরমধ্যেই খোদ তৃণমূল নেতার গুলি চালানীর ছবি বিতর্ক তৈরি করল।

আরও পড়ুন: কলকাতার পুরভোটে তৃণমূলের প্রার্থী ক্ষিতি-তনয়া বসুন্ধরা গোস্বামী