১ বছরে ১৬০০০ ‘ইস্যু’, অনায়াসে পাসপোর্ট অফিসে ঢুকছে-বেরোচ্ছে জঙ্গিরা! সব জেনেও অসহায় আধিকারিকরা
Fake Passport: মালদহের বৈষ্ণবনগর, কালিয়াচক, হবিবপুরে ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে এপারে এসে পাসপোর্ট তৈরি করে নিচ্ছেন অনেকে। দেখা যাচ্ছে মাত্র কয়েকদিন আগে ভোটার, আধার, প্যান কার্ড তৈরি করেও পাসপোর্ট পেয়ে যাচ্ছেন কেউ কেউ।
মালদহ: খাস কলকাতাতেও পাসপোর্ট চক্রের সন্ধান চলছে। ভারতের পাসপোর্ট পেতে রাজ্য জুড়ে যে কী কী জাল ছড়ানো হয়েছে, সেই তথ্য ক্রমশ সামনে আসছে। এমনকী পাসপোর্ট অফিসের আধিকারিকরাও আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। তাঁরাই বলছেন, জঙ্গিরা এসেও পাসপোর্ট তৈরি করে নিয়ে যেতে পারেন অনায়াসে। বিশেষ করে মালদহে যে পরিমাণ পাসপোর্ট তৈরি হচ্ছে, তা রীতিমতো আতঙ্কের।
জঙ্গি বা অনুপ্রবেশকারীরা অনায়াসেই ডকুমেন্টস জমা দিয়ে যেতে পারেন পাসপোর্ট অফিসে। সেই সব ডকুমেন্টস জাল কি না, সেই তথ্য খতিয়ে দেখার পরিকাঠামোই নেই। বিস্ফোরক দাবি মালদহ জেলার পাসপোর্ট দফতরের আধিকারিকদের। জাল পাসপোর্টও ধরা পড়ছে বারবার। দালাল চক্র সক্রিয়! এমন খবরও পাওয়া যাচ্ছে মালদহের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে।
সন্দেহজনকভাবে মালদায় পাসপোর্টের জন্যে আবেদনপত্র জমা পড়ার সংখ্যা অনেক বেশি। গত এক বছরে ১৬ হাজার পাসপোর্ট তৈরি করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এত বেশি পাসপোর্ট কেন তৈরি হচ্ছে মালদহে? মালদহের পাসপোর্ট দফতরের ইনচার্জ অরুণ কুমার সরকার জানিয়েছেন, আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড ঠিক থাকলে তাঁরা পাসপোর্ট দিতে বাধ্য হন। ওই ব্যক্তি কোথাকার বাসিন্দা, কীভাবে আধার কার্ড পেলেন, কতদিন ধরে ভারতে আছেন, এই সব জানার কোনও উপায় বা পরিকাঠামো নেই তাঁদের কাছে।
এই খবরটিও পড়ুন
অন্যদিকে রাজ্যের গোয়েন্দা আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, মালদহের বৈষ্ণবনগর, কালিয়াচক, হবিবপুরে ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে এপারে এসে পাসপোর্ট তৈরি করে নিচ্ছেন অনেকে। দেখা যাচ্ছে মাত্র কয়েকদিন আগে ভোটার, আধার, প্যান কার্ড তৈরি করেও পাসপোর্ট পেয়ে যাচ্ছেন কেউ কেউ। এবার রাজ্য গোয়েন্দা দফতর আবেদনকারীদের কাছ থেকে ১৯৭১ সালের আগের নথি দেখতে চাইছে।
পাসপোর্ট হয়ে গিয়েছে, এমন কয়েকজন ব্যাক্তির নথি খতিয়ে দেখতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ গোয়েন্দাদের। দেখা অনুপ্রবেশকারী হিসেবে ভারতে এসে সব পরিচয়পত্র এমনকী পাসপোর্টও বানিয়ে ফেলেছেন তাঁরা। সেইসব পাসপোর্ট আটকে রাখার জন্যেও ডিআইবি-র তরফ থেকে রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে। শতাধিক আবেদনকারীরর আবেদন বাতিল করা হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিস্তর গরমিল দেখা গিয়েছে।
সবথেকে বেশি পাসপোর্ট তৈরি হচ্ছে হজ করতে যাওয়ার জন্য। সেই সংখ্যাও ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের। এছাড়াও চিকিৎসা ও পড়াশোনার নামে পাসপোর্ট করতে আসছেন অনেকেই। তবে সব ক্ষেত্রেই জাল বা অবৈধ ডকুমেন্টস দেওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। সূত্রের খবর, সেই কারণেই আবেদনকারীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে গোপনে তথ্য সংগ্রহ করছেন গোয়েন্দারা।