Murshidabad School: বাচ্চারা নয়! খোদ মাস্টারদের ‘দুষ্টমিতে’ রক্তাক্ত বাংলার স্কুল, একজনকে হাসপাতালে নিয়ে ছুটল পুলিশ
Murshidabad School: বিশ্বরূপ মৈত্রের অভিযোগ, বারবার বলার পরেও কর্ণপাতই করেননি অনুসূয়া দেবী। কয়েকদিন আগে একযোগে প্রতিবাদ করেন স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকেরাও। তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন অনুসূয়া দেবীর স্বামী চঞ্চল গড়াই।
মুর্শিদাবাদ: স্কুলে ‘দুষ্টু’ বাচ্চাদের বাগে আনতে গিয়ে কালঘাম ছুটছে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। কখনও বকুনি, কখনও গার্জেন কল, এসব তো লেগেই আছে। এই চেনা ছবির সঙ্গে কমবেশি আমরা সকলেই অভ্যস্ত। এসব কথা উঠলে কেউ ভাসেন স্মৃতির পাতায়, কেউ আবার হারিয়ে যান ছেলেবেলায়। কিন্তু, তাই বলে স্কুলের দামাল ছেলেদের মতো হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন শিক্ষকেরাও? রক্তাক্ত স্কুল ক্যাম্পাস? হ্যাঁ এই ছবি দেখা গিয়েছে মুর্শিদাবাদে। এমনকী পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে এক শিক্ষককে তো সোজা হাসপাতালেও নিয়ে যেতে হয়।
এদিন এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞা ব্লকের মহিষগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। বিশ্বরূপ মৈত্র নামে এক চিকিৎসককে রক্তাক্ত অবস্থায় বড়ঞা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তু, কী কারণে এই রক্তারক্তি কাণ্ড? স্কুল সূত্রে খবর, স্কুলেরই অনুসূয়া মণ্ডল নামে এক শিক্ষিকা দীর্ঘদিন থেকেই রুটিনের তোয়াক্কা না করেই নাকি স্কুলে আসছিলেন। মানছিলেন না কোনও নিয়ম। নিয়মিত স্কুলেও আসছিলেন।
এই খবরটিও পড়ুন
বিশ্বরূপ মৈত্রের অভিযোগ, বারবার বলার পরেও কর্ণপাতই করেননি অনুসূয়া দেবী। কয়েকদিন আগে একযোগে প্রতিবাদ করেন স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকেরাও। তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন অনুসূয়া দেবীর স্বামী চঞ্চল গড়াই। তিনি নিজেও শিক্ষক। বর্তমানে তেলডুমা হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত। স্ত্রীর স্কুলে ঝামেলা শুনে তিনি ছুটে আসেন মহিষগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। অভিযোগ, সেখানেই তিনি বিশ্বরূপ মৈত্রের উপরে চড়াও হন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। খবর যায় পুলিশের কাছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয় চঞ্চল গড়াইকে। পুলিশই শেষে রক্তাক্ত বিশ্বরূপকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।