Birbhum: ‘যাঁরা নেতাদের পায়ে তেল মালিশ করেন, তাঁদের মুখে লাথি মারি’, নাম না করে কেষ্টকে কটাক্ষ
Birbhum: সেই কথা প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই নুরুল বলেন, "কেউ কেউ ভাবছে বড় নেতার পা ধরে পদ পাওয়া যাবে। সকাল থেকে রাত অবধি, কেউ কেউ বড় নেতাদের পায়ের তেল মালিশ করছেন, কোন কোন জায়গায় গিয়ে। অনুব্রত মণ্ডল কেউ নন, একটাই নেতা তাঁর নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।"
বীরভূম: “কেউ কেউ বড় নেতাদের পায়ে গিয়ে তেল মালিশ করছেন পদের লোভে, আমি সেইসব নেতাদের মুখে লাথি মারি।” নাম না করে কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নুরুল ইসলাম। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই কটাক্ষ তিনি অনুব্রত মণ্ডলকেই করেছেন। পাশাপাশি কাজল শেখের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
বীরভূমের সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকে ধল্টেকুড়ি গ্রামে বৃহস্পতিবার একটি সভার আয়োজন করা হয়েছিল তৃণমূলের পক্ষ থেকে। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে ব্লক সভাপতি নুরুল ইসলাম বলেন, “তৃণমূলের পতাকা নিয়ে যাঁরা মিটিং মিছিলে ঢুকে অশান্তি করছেন, তাঁদের সাবধান করছি। আমি এর অনুগামী, আমি ওর অনুগামী এই সমস্ত কিছু এই ব্লকে চলবে না।”
সেই কথা প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই নুরুল বলেন, “কেউ কেউ ভাবছে বড় নেতার পা ধরে পদ পাওয়া যাবে। সকাল থেকে রাত অবধি, কেউ কেউ বড় নেতাদের পায়ের তেল মালিশ করছেন, কোন কোন জায়গায় গিয়ে। অনুব্রত মণ্ডল কেউ নন, একটাই নেতা তাঁর নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” তাঁর সংযোজন, “যেই নেতাদের পায়ের তেল দিয়ে পড়ে থাকেন, কিছু লোক সেই সমস্ত নেতার মুখে আমি লাথি মারি।”
কাজল শেখের নেতৃত্বের প্রশংসা করে তিনি বলেন, “কাজল শেখ অনেক কিছু ত্যাগ দিয়েছেন। তার পরিবারকে হারিয়েছেন তিনি।” যদিও এই নিয়ে অনুব্রত কিংবা কাজল, কেউই কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।
প্রসঙ্গত, বীরভূম, যে গড় মূলত একটা সময়ে অনুব্রতর ছিল, তা ধীরে ধীরে এখন অনুব্রত-কাজলের ‘যুগলবন্দি’ গড়ে পরিণত হয়েছে। কারণ অনুব্রত জেলে যাওয়ার পর থেকেই তৃণমূল অন্দরে কেষ্ট ‘প্রতিপক্ষ’ হিসাবে পরিচত কাজল শেখই নিজের জমি পোক্ত করেছে। সমান্তরাল বিভাজন থাকলেও অনুব্রত-কাজলের গড়ই এখন বীরভূম! দু’জনেরই সমান্তরাল সাংগঠনিক দক্ষতা।