Malda: হাসবেন না কাঁদবেন বুঝতে পারছেন না মুন্না! সকালেও জানতেন না সন্ধেয় হাতে চলে আসবে ১৫০০০০০০ টাকা
Malda: ১৪ বছর ধরে দিল্লিতে প্লাস্টিকের কাজ করেন। অভাবের সংসারে স্বচ্ছলতা আনতে মাঝেমধ্যেই লটারির টিকিট কাটেন মুন্না। আর সেই মতোই এদিন তিনি লটারির টিকিট কেটেছিলেন।
মালদহ: মাত্র ১৫০ টাকা খরচ করে ভাগ্য খুলে গেল শ্রমিকের। লটারির টিকিট কেটে রাতারাতি কোটিপতি পরিযায়ী শ্রমিক। সদ্য কোটিপতি হওয়া যুবকের নাম মুন্না আলি (৩০)। তিনি মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের মারাডাঙির বাসিন্দা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ভবানীপুর ব্রিজ মোড়ে টিকিট বিক্রেতা ইসারুল হকের কাছ থেকে ১৫০ টাকা দিয়ে ২৫ সেম ডিয়ার লটারি টিকিট কাটেন মুন্না। সন্ধ্যায় ফল বেরনোর পর টিকিটের নম্বর মেলাতেই চমকে যান তিনি। মুন্না আলি দেখেন যে, তিনি এক কোটি টাকা জিতেছেন। আনন্দে আত্মহারা মুন্না সহ পরিবারের সদস্যরা।
তবে লটারিতে এত টাকা জেতার পর শুরু হয়েছে নতুন চিন্তা। নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন তিনি। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশকেও খবর দিয়েছেন মুন্না। পুলিশ বাড়ি থেকে মুন্নাকে থানায় নিয়ে যান। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বয়স্ক বাবা, স্ত্রী ও পুত্রকে নিয়েই মুন্নার সংসার। দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ব্যক্তি তিনিই।
১৪ বছর ধরে দিল্লিতে প্লাস্টিকের কাজ করেন। অভাবের সংসারে স্বচ্ছলতা আনতে মাঝেমধ্যেই লটারির টিকিট কাটেন মুন্না। আর সেই মতোই এদিন তিনি লটারির টিকিট কেটেছিলেন। আর তাতেই তিনি রাতারাতি কোটিপতি হয়েছেন। মুন্না বলেন, “লটারি টিকিট কেটে রাতারাতি কোটি টাকা জিতব আশা করিনি। এই টাকা দিয়ে সুন্দর একটা বাড়ি তৈরি করার ইচ্ছা রয়েছে। এবং কিছু জমি কিনব। পাশাপাশি ছেলের পড়াশোনার জন্য টাকা জমিয়ে রাখব।”