Justice: খুনের দায়ে ১০ জন অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস দিতে বাধ্য হল আদালত, কেন তার ব্যাখ্যাও দিলেন বিচারক
Justice: মামলার শুনানির সময় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক মৃতার মৃত্যুকালীন জবানবন্দি কে নিয়েছিলেন, সেই সঠিক নথি দিতে পারেননি। সরকারি আইনজীবী ইমরান কাশেম এবং আসামী পক্ষের আইনজীবী মিজানুল কবীর ধিরাজ দুজনেই স্বীকার করেন সাক্ষীর সময় চিকিৎসকের বয়ানে গাফিলতির কথা।
কাটোয়া: জবানবন্দির নথি না থাকায় ও সরকারি হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসক সহ জুনিয়র চিকিৎসকদের গাফিলতিতে খুনের দায়ে অভিযুক্ত দশ জনকে বেকসুর খালাস করল ফাস্ট ট্রাক আদালতের বিচারক। রায় শোনাতে গিয়ে কাটোয়া মহকুমা আদালতের ফাস্ট ট্রাক এজলাসের মধ্যেই বিচারক বলেন, “হাসপাতালের চিকিৎসকের গাফিলতির কারণে মৃতা পাপিয়া বিবি বিচার পেলেন না। এই ধরনের গাফিলতি যেন পুনরায় না হয়।” সেজন্য রায়ের প্রতিলিপি পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপার ও জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিককে পাঠিয়েছেন।
মামলার শুনানির সময় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক মৃতার মৃত্যুকালীন জবানবন্দি কে নিয়েছিলেন, সেই সঠিক নথি দিতে পারেননি। সরকারি আইনজীবী ইমরান কাশেম এবং আসামী পক্ষের আইনজীবী মিজানুল কবীর ধিরাজ দুজনেই স্বীকার করেন সাক্ষীর সময় চিকিৎসকের বয়ানে গাফিলতির কথা। বধূহত্যা মামলায় স্বামী ননদ-সহ ১০ অভিযুক্তকে খালাস দিতে গিয়ে ফাস্ট ট্রাক আদালতের বিচারক মন্তব্য করেন।
২৫ নভেম্বর ২০১০ সালে কেতুগ্রামের কোজলসা গ্রামে গৃহবধূ পাপিয়া বিবি আগুনে পুড়ে গুরুতর জখম হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়। মৃত্যুকালীন জবানবন্দিতে চিকিৎসক নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পাপিয়া জানিয়েছিলেন, যে তাঁকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন গায়ে কেরসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। ২৯ নভেম্বর পাপিয়ার মৃত্যু হয়।
চিকিৎসক পাপিয়ার বেড টিকিটে হোমিসাইড অর্থাৎ খুন করা হয়েছে লিখলেও জবানবন্দিকে নিয়েছিল সেই জুনিয়র চিকিৎসকের নাম বা মূল জবানবন্দির কপি আদালতকে দিতে পারেননি।