Hooghly: ‘হরিপালে নাবালিকার নির্যাতনের প্রমাণ মেলেনি’, জানিয়ে দিল পুলিশ
Hooghly:পুলিশ সুপার জানান, "বিএনএস এর৭৫-যৌন হয়রানি,৭৬-আক্রমন বা অবৈধ বলপ্রয়োগ,১২৬(২)-বেআইনি গতিরোধ,১৩৭(২)-অপহরণ,১১৫(২)-ইচ্ছাকৃত আঘাত,৩৫১(২)-অপরাধ জনক ভীতি প্রদর্শন,এবং ৮ পকসো আইনে মামলা রুজু হয়।"
হরিপাল: অর্ধনগ্ন ও অচৈতন্য অবস্থায় নাবালিকা ছাত্রী উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল হরিপালের বিডিও অফিস সংলগ্ন গোপীনগর এলাকায়। প্রাথমিকভাবে অভিযোগ উঠছিল, নাবালিকাকে যৌন হেনস্থা করার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মেয়েটির গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়। পুলিশের দাবি, তাতে অসঙ্গতি মিলেছে। এমনকী, স্বাস্থ্য পরীক্ষাতে অপহরণ ও নির্যাতনের প্রমাণ মেলেনি। সাংবাদিক বৈঠক করে তেমনটাই জানাল পুলিশ।
শুক্রবার নাবালিকা উদ্ধারের পরই হরিপাল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।সেখানে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়।হরিপাল থানার ওসি কৌশিক সরকার নাবালিকার বাড়িতে ফোন করে খবর দেন। নাবালিকার মা জেঠু ও একজন শিক্ষক হাসপাতালে পৌঁছন। পরে থানায় গিয়ে নাবালিকার বয়ান অনুযায়ী এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। নাবালিকা পুলিশকে জানায়, “সিঙুরে স্কুল থেকে এক শিক্ষকের বাড়িতে টিউশন পড়তে যায় সে। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার সময় তাকে একটি সাদা গাড়িতে করে চারজন অপহরণ করে। তবে হরিপালে কীভাবে গেল সেটা তার মনে নেই। সিঙ্গুরে বইয়ের ব্যাগ পড়েছিল। সেটি কুড়িয়ে সিঙুর থানায় জমা দেয় দুজন।”
পুলিশ সুপার জানান, “বিএনএস এর৭৫-যৌন হয়রানি,৭৬-আক্রমন বা অবৈধ বলপ্রয়োগ,১২৬(২)-বেআইনি গতিরোধ,১৩৭(২)-অপহরণ,১১৫(২)-ইচ্ছাকৃত আঘাত,৩৫১(২)-অপরাধ জনক ভীতি প্রদর্শন,এবং ৮ পকসো আইনে মামলা রুজু হয়।”
এরপরই পুলিশ ঘটনার তদন্তে নামে। সিঙুরের যে জায়গা থেকে নাবালিকাকে অপহরণ করা হয়েছিল বলে দাবি করে সেই এলাকার সিসিটিভি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পুলিশ সিঙুর স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজে দেখে। এমনকী, যে সাদা গাড়ি থেকে তাকে অপহরণ করা হয়েছিল বলে নাবালিকা দাবি করেছিল, তারও কোনও অস্তিত্ব পায়নি পুলিশ বলে জানিয়েছে।
হুগলি গ্রামীণ পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন বলেন, “চারজন তাকে অপহরণ করেছিল বলে জানিয়েছিল নাবালিকা। একজন তার চেনা বলে জানিয়েছিল। যে যুবকের কথা না বাড়িতে জানিয়েছিল তার ছবি দেখিয়ে তাকে চিহ্নিত করা হয়। পরে ওই যুবকের মোবাইল নম্বর ট্রাক করে জানা যায় সে ঘটনার সময় ভিন রাজ্যে রয়েছে। এমনকী সে এখনো পর্যন্ত রাজ্যের বাইরেই আছে। নাবালিকা ও তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পুলিশের মনে হয়েছিল নাবালিকা যে অভিযোগ করছে সেটা ভাল করে খতিয়ে দেখা দরকার। অভিযোগ খুবই স্পর্শ কারত ছিল তাই সেই ভাবেই তদন্ত চলতে থাকে।”
পুলিশের দাবি, চন্দননগর আদালতে নাবালিকার গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়। চন্দননগর হাসপাতালে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষাও হয়। সেই গোপন জবানবন্দির মধ্যে অসঙ্গতি আছে বলে জানান পুলিশ সুপার।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)